হজরত ঈসা (আ.) বা যিশুখ্রিস্ট কর্তৃক হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবের ভবিষ্যদ্বাণী সংবলিত বাইবেলের একটি প্রাচীন সংস্করণ দেখতে চেয়েছেন ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ। বৃটেনের দ্য ডেইলি মেইল এ খবর দিয়ে জানিয়েছে, ১৫০০ বছরের পুরনো ওই বাইবেল সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে; এবং তা ১২ বছর ধরে তুরস্কে গোপন রাখা হয়েছে। অনেকেই মনে করেন, এই বাইবেলই নির্ভরযোগ্য প্রাচীন ইঞ্জিল বা হজরত ঈসার (আ.) প্রাথমিক বাণী বা শিক্ষা সংবলিত বাইবেল হিসেবে খ্যাত \\\’বার্নাবাসের বাইবেল\\\’। পোপ ষোড়শ বেনিডিক্ট এই বাইবেল দেখতে চেয়েছেন বলে খবর এসেছে। ১ কোটি ৪০ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড মূল্যের এই বাইবেল স্বর্ণাক্ষরে এবং হজরত ঈসার (আ.) নিজ ভাষা তথা আরামীয় ভাষায় লিখিত। তুরস্কের পুলিশ ২০০০ সালে চোরাচালান দমনের এক অভিযানে পশুর মোটা চামড়ায় লেখা এবং চামড়া দিয়ে বাঁধাই করা এই বাইবেলটি উদ্ধার করে। ২০১০ সালের আগ পর্যন্ত বইটি কড়া প্রহরার মধ্য দিয়ে গোপন রাখা হয় এবং পরে আঙ্কারার প্রত্নতাত্তিক জাদুঘরে হস্তান্তর করা হয়। সামান্য কিছু সংস্কারের পর বইটি শিগগিরই জনসমক্ষে প্রদর্শন করা হবে। হস্তলিখিত বইটির একটি পৃষ্ঠার ফটোকপির দাম ১৫ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড। তুরস্কের সংস্কৃতি ও পর্যটনমন্ত্রী এর্তুগরোল গুনায় জানান, প্রাচীন এই বাইবেলটি ইঞ্জিল শরিফের নির্ভরযোগ্য সংস্করণ হতে পারে; এবং হজরত ঈসা (আ.) সম্পর্কিত ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে এই বাইবেলের মিল থাকায় বইটি হয়তো খ্রিস্টান গির্জার ক্ষোভের শিকার হয়েছিল। তিনি আরো জানান, ভ্যাটিকান এই পা-ুলিপিটি দেখার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন জানিয়ে প্রোটেস্ট্যান্ট পাদ্রি ইহসান ওজবেক তুরস্কের জামান পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সম্ভবত বার্নাবাসের কোনো অনুসারী এই বাইবেল লিখেছেন; এবং বার্নাবাসের বাইবেলের বিষয়বস্তুর সঙ্গে এর কোনো মিল নাও থাকতে পারে। ধর্মতত্ত্বের অধ্যাপক ওমর ফারুক হারম্যান জানান, এই বাইবেলের ওপর বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হলেই স্পষ্ট হবে, এটা কত বছরের পুরনো।
Discussion about this post