আল আমিন রানা: প্রবাসী’ মানে বৃক্ষের শিকড় রেখে উপড়ে ফেলা এক গুচ্ছ ডালপালা, যে র্সবক্ষণ শিকড়ের সন্দ্বানে হাতছানি দিয়ে ডাকে । অন্তত ব্যক্তি প্রবাসী হিসাবে র্দীঘ অভজ্ঞিতায় আমার কাছে তা-ই মনে হয় ।প্রবাসীদরে জীবন কেমন কাটে? এ প্রশ্নটা অনেকেরেই । কারো কারো রয়েছে বিশষে কৌতুহল। অন্তত যারা প্রবাসী নয়। কৌতুহলটা তাদরেই বেশি যাদরে স্বজনরা প্রবাসী। আমজনতার আগ্রহ যে নেই তা নয়।তা ক্ষত্রে বশিষে। তাদরেও কৌতুহল হয়,যখন কোনো প্রবাসী হয়ে উঠে আমরা বাঙালি প্রবাসীরা কমেন আছ?ঘুরিয়ে ফরিয়িে বললে কিভাবে কাটছে আমাদরে জীবন? দেশেরে অস্থতিশিল ঘুমোট রাজনতৈকি পরবিশের বাইরে থকেে আমরা কী খুব ভালো আছি?দেশে ও স্বজনদরে দুরে রেখে আমাদের প্রবাস জীবন কী খুব স্বস্তিতে কাটছে? নাকি সোনার হরিনের পিছনে দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে আমারও ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত। এই প্রশ্নগুলো করার পিছেন অন্য কোনো অযাচতি উদ্দশ্যে নেই । সুখ, দুঃখ আর কষ্টরে অনুভূতগিুলো বলবার প্রয়াস মাত্র।কারণ,কারো কাছে যাপতি জীবন বড্ড বেশি কষ্টের । কারো কাছে বেচেঁ থাকাটাই বড় চ্যালঞ্জে । হোকনা সে প্রবাসী কিনবা অন্য কেউ? কুয়েতে প্রবাস জীবনরে অভজ্ঞিতা ও উপলব্ধি থেকেইে আজকরে এই লেখা, প্রতিটি মানুষের জীবনে কোন না কোন স্বপ্ন থাকে, আশা থাকে, ভালোবাসা থাকে। থাকে প্রেম বিরহ বেদনা, হতাশা দুঃখবোধ আর কষ্টের নিলাখেলা। তবুও জীবন থেমে থাকে না, জীবন চলে তার নিজস্ব গতিধারায়। কেউ সুখের সাগরে গাঁভাসিয়ে প্রহরের পর প্রহর অতিবাহিত করছে। আবার কেউ কষ্টের তীব্রতায় জ্বলে পুড়ে ছাড়খার হয়ে যাচ্ছে। এসব কষ্টের মাঝেও মানুষ খুঁজে বেড়ায় একটু ভালোবাসা। একটু প্রেমের ছোঁয়া, যে ছোঁয়ার জন্য মানুষ প্রতিক্ষা করে দিনের পর দিন। অনেকে অল্প সাধনায় পেয়ে যায় গভীর ভালোবাসা আবার কেউ বছরের পর বছর ধরেও পায়না। পৃথিবীতে মানব জীবনে বিধাতার গড়া অপরূপ সুন্দর নয়নাভিরাম অপূর্ব এক সৃষ্টি। আর মানুষের জীবন চলার পথটা নানা রূপে বৈচিত্র ভরা। এ জীবন চলার পথে কখনও,কখনও আসে সুখ-আবার কখনও আসে দুঃখ। সুখ নামক সোনার হরিণ যখন মানুষের জীবনে এসে ধরা দেয় তখন পৃথিবীটাকে খুবই সুন্দর বলে মনে হয়। মনে হয় এটাই বুঝি ফুলে ফুলে সাজানো স্বর্গ, তখন মনে জাগে নানারূপ স্বপ্ন আর মনের কল্পনাগুলো যেন ডানা মেলে নীল আকাশে উড়ে বেড়ানো পাখির মত উড়ে বেড়ায় সর্বদা। কিন্তু শুধু সুখ নিয়েই তো মানুষের জীবন সাজানো নয়। জীবন চলার পথে কখনও কখনও নেমে আসে অসহনিয় দুঃখ। তখন মনে হয় সমস্ত জ্বালা যন্ত্রণার নীড় বুঝি এ পৃথিবী। পৃথিবীর কোন সৌন্দর্যকে তখন দুচোখ মেলে দেখতে ইচ্ছে হয় না। ইচ্ছে হয় না কোন সুন্দরের আমন্ত্রণ গ্রহন করতে। সারাটা মনে সুন্দরের প্রতি কেমন যেন অনিহা তৈরি হয়। অর্থ সম্পদের অভাবে কখনো কখনো মানুষকে কঠিন বিপদের সম্মুখিন হতে হয়। সংসারে নেমে আসে অভাব অনটন যন্ত্রণার আগুন। আর সে যন্ত্রণার আগুন নিয়ে মানুষ সামনের দিকে পথ চলতে থাকে স্বপ্নীল জীবনটাকে সুন্দর করে সাজাতে। মানুষের আয়ের উৎস না থাকলে দুঃখ কষ্টে অভাবে দিন কাটাতে হয়। আর আয় করতে হলে চাই ব্যবসা বাণিজ্য,চাকুরী। একটি চাকরীর জন্য কত যায়গায় র্ধন্যা দিলাম। বর্তমানে তীব্র প্রতিযোগিতা চলছে চাকুরীর ক্ষেত্রে। যে খানে একজন নিয়োগ দেওয়া হবে সেখানে প্রার্থী এসে ভীড় করছে শত-শত। না এতে অশ্চর্য হবার কিছুই নেই, এটাই বাস্তব। অনেক যুবক শিক্ষিত হয়েও বছরের পর পছর ঘুড়েও চাকুরী পাচ্ছেনা। অবশেষে হাজার কষ্ট বুকে চেপে মাতৃভূমির মায়ামমতা আত্মীয় স্বজনদেও ছেড়ে পরাজিত সৈনিকের ন্যায় দেশ থেকে চলে আসি প্রবাসে। পনর বছর আগে যখন প্রবাসের উদ্দেশ্যে বাড়ী থেকে রওনা দিচ্ছি অনেক আত্মীয়স্বজন বেচে ছিলেন,কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তারাও চলে গেছেন পরপারে। এক দেড় বছর পর দেশে যাই অতিথি হয়ে। নিজ ভূমি হয়ে গেলো পরবাস। আবার চলে আসি কর্মক্ষেত্রে। রয়ে যায় আপনজনরা। মাসের পর টাকা পাঠানো,ফোনে ভালমন্দ জেনে নেয়া। এই ভাবেই চলছে জীবন। দীর্ঘ সময়ে দেশের অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে। কাঁচা রাস্তা পাকা হয়েছে, পাকা রাস্তা গর্ত হয়েছে, ছোটরা বড় হয়েছে আরো কি কত এখান থেকে দেশের আলোচিত অনালোচিত খবর শুনতে পাচ্ছি। ঘটনা ঘটার মুহূর্তে ইথারে ভেসে আসছে খবর। ভালো পুলিকিত হই। দুঃসংবাদে খবরে দুশ্চিন্তার সাগরে হাবুডুবু খাই। শেষ প্রর্যন্ত বুঝেই নিলাম আমাদের প্রাণ প্রিয় বাংলাদেশ থেকে ভালো খবরের সম্ভাবনা আর নেই। অহরহ লেগে আছে সন্ত্রাস,চাদাবাজি, ধাপ্পাবাজি , বোমা হামলা,জিনিস পত্রের আকাশচুম্বী দামের কথা পরিবার পরিজন অনাবরত আমাদেরকে পীড়া দেয় তারও উত্তর খুঁজে পাচ্ছি না। তাই রাজনৈতিক অঙ্গণে ক্ষমতায় বা ক্ষমতার বাইরে যারাই আছেন বাংলার সাধারণ শান্তি প্রিয় জনগন আপনাদের দিকেই চেয়ে আছে। ইতিহাস বলে যুগে যুগে জাতির দূর্যোগের মুহূর্তে রাজনীতিবিদ-রাই বুক পেতে দিয়েছে, নিজেকে বিপন্ন করে জাতিকে সংগঠিত করেছে, পরিত্রাণ দিয়েছে । আজো কি তেমন কেউ বেরিয়ে আসবে না? নিশ্চয়ই এই ক্লান্তি লগ্নের অবসান হবে। বাঙালী অপশক্তির কাছে মাথা নত করতে জানে না। আমরা প্রবাসীরা শত কষ্টের মধ্যে থেকেও দেশের উন্নয়নে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে যাচ্ছি দেশের উজ্জল ভবিষ্যৎ ও আমাদের পরিবারের কল্যাণে।প্রবাসীদরে ভালো থাকা, মন্দ থাকা অনকেটাই নির্ভর করে দেশেরে মানুষগুলো সুস্থ ও শান্ততিে থাকার উপর । প্রবাসীরা তো পরবাসী । তবু মন আর হৃদয়টা যে কখনই ‘পরবাসী’ হতে চায় না । ভালো লাগা, না লাগার পুরো আবেগটাই যেন জড়িয় থাকে দেশের জন্য, দেশের স্বজনদের জন্যে ।
Discussion about this post