প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বলেছেন, বিদেশ গমনেচ্ছুক কর্মীদের শতভাগ বীমার আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া, প্রবাসী কর্মীদের সন্তানদের জন্য আবাসিক স্কুল ও স্বজনদের জন্য হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে। রবিবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রবাসী কর্মী ও তাদের পরিবার পরিজনের সুচিকিৎসার জন্য হাসপাতাল তৈরি পরিকল্পনা রয়েছে। প্রবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের জীবনমানের উন্নয়ন ও বহুমুখী কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘প্রবাসী কল্যাণ বোর্ড আইন ২০১৭’ প্রণয়ন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা সবসময় দক্ষ কর্মী তৈরি ও তাদের বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে আসছি। ২০১৬ সালে ৬টি আইএমটি ও ৬৪টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ মোট ৭০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যম ৩ লাখ ৭ হাজার ৮ শত ৪৯ জন কর্মীকে দেশে ও বিদেশে কর্মসংস্থান লাভের উদ্দেশ্যে ৪৮টি ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে ১৯.৩৭ শতাংশ বেশি কর্মীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে ৪৮.৭৭ শতাংশ বেশি দক্ষ কর্মী কর্মসংস্থান নিয়ে বিদেশে গিয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম শামছুন নাহার, অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আজহারুল হক, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. সেলিম রেজা, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ জুলহাস, বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (বোয়েসেল)ব্যবস্থাপনা পরিচালক মরণ কুমার চক্রবর্তীসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post