মোশাররফ হোসেন শুভ, ময়মনসিংহ ঃ ফুলবাড়ীয়া পৌরসভার অফিস ভবন নির্মাণের জন্য গত ২২ মার্চ/১১ তারিখ অনুষ্ঠিত মাসিক সাধারণ সভায় প্রস্তাবিত স্থানে পৌর ভবন নির্মাণ করার জন্য গৃহিত হয়। পৌর ভবন নির্মাণ করার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ হইতে গত ৮ ডিসেম্বর/১১ জমি ক্রয়ের জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া যায়। অনুমোদনের প্রেক্ষিতে ২৮ মে/১২ মাসিক পৌরসভায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট উপ-কমিটি গঠন করে জমির মূল্য নির্ধারণ করা হয়। মূল্য নির্ধারণ কমিটি স্থানীয় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গত ১ বছর মূল্য তালিকা অনুমোদনের প্রতি শতক জমির মূল্য ২ লক্ষ টাকা হিসাবে .৩২ শতক জমির মূল্য ৬৪ লক্ষ টাকা নির্ধারণ করেন যাহা ১৬ জুলাই/১২ অনুষ্ঠিত মাসিক সভায় অনুমোদিত হয়েছে। উক্ত সভায় উলে¬খিত জমি পৌরসভার পক্ষে রেজিঃ করার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। পৌর পরিষদ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ১৯ জুলাই/১২ তারিখে উক্ত জমি ফুলবাড়ীয়া পৌরসভার নামে রেজিঃ করে। পৌর মেয়র ও সচিব এর একক ভাবে কোন কিছু করার সুযোগ নেই। যাহা পৌর পরিষদের মাসিক সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। জানা যায়, কতিপয় স্বার্থনেষী মহলের তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ আদায় না হওয়ায় পৌর ভবন যাতে নির্মাণ না হয় এ জন্য মেয়র কে জড়িয়ে অন্যায় ভাবে মিথ্যা অপবাধ করা হচ্ছে।
নান্দাইলের গৃহবধুকে গণধর্ষন অভিযোগ
মোশাররফ হোসেন শুভ, ময়মনসিংহ- ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের তালজাংগা গ্রামের রেললাইন সংলগ্ন স্থান থেকে এক গৃহবধূকে জোর পূর্বক উঠিয়ে নিয়ে ৮ ব্যক্তি কতৃক সারারাত ব্যাপী গণধর্ষন করার এক অভিযোগ পাওয়া যায়। বিয়ারা গ্রামের মৃত মোজাফর আলীর পুত্র মোঃ জসিম উদ্দিন কর্তৃক নান্দাইল থানায় দায়ের করা এজাহার থেকে জানা গেছে মোছাঃ রুপালী বেগম (৩৫) নামক এক মহিলা গত(১৫ জুলাই) রোববার তার বাড়িতে বেড়াতে আসে। বাশঁহাটি বাজার থেকে তার বাড়িতে আসার পথে গাংগাইল ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামের রেনু মিয়া, শুক্কুর আলী, আব্দুল্লাহ, মিন্টু মিয়া, বাচ্চু মিয়া, আপ্তর মিয়া, ফিরুজ আলী ও বনুড়া গ্রামের করিম উল্লাহ অস্ত্র দেখিয়ে উঠিয়ে নিয়ে গৃহবধূকে গন্ডবপুর পাড়ার দক্ষিণ পার্শ্বে একটি রাস্তায় নিয়ে পালাক্রমে রাত ভর ধর্ষন করে। যাবার সময় আসামীরা গৃহবধূর নিকট রক্ষিত টাকা, স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। রাত ৩টার দিকে গ্রামবাসী ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। উক্ত বিষয়ে নান্দাইল থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার সহিদুল ইসলামের সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানান এবং সিনিয়র এস. আই মোঃ নুরুল ইসলাম বিষয়টি তদন্ত করছেন বলে জানান। মামলার বাদী মোঃ জসিম উদ্দিন অভিযোগ করেন এজহার দায়ের করার পর থেকে বিবাদীরা তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকী দিচ্ছে। ।
নান্দাইলের পল্লীতে সন্ত্রাসী হামলা
মোশাররফ হোসেন শুভ, ময়মনসিংহ- ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজগাতী ইউনিয়নের বনাঢী গ্রামে গত রোববার বেলা একটার দিকে কতিপয় সন্ত্রাসী দা, কিরিচ, লোহার রড ও লাঠি নিয়ে মৃত বাবর আলীর পুত্র মোঃ আবুল হাসেম ভূঞার বাড়িতে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র, মালামাল ভাংচুর ও লুটপাট করে। এছাড়া নগদ টাকা স্বর্ণালংকার সহ প্রায় দের লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। কথিত সন্ত্রাসীরা আবুল হাসেমের স্ত্রী তাহেরা বেগম, ভাই আব্দুল হাকিম, চাচা সুরুজ আলী ভূঞাকে লোহার লড দিয়ে বেদম মারপিট করে। এলাকার কথিত সন্ত্রাসী রহমত আলী, নিজাম উদ্দিন ওরফে নিশাম উদ্দিন, হাসিম উদ্দিন ও বাবুল মিয়া এই হামলা ও লুটপাটের সাথে জড়িত। এদের বিরুদ্ধে নান্দাইল মডেল থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে । মামলা নং ১৬ ধারা ৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩৭৯/৩৮০/৪২৭৫০৬ মামলার আসামী নিজাম উদ্দিন ওরফে নিশাম উদ্দিন ইতিপূর্বে ডাকাতী মামলায় দীর্ঘদিন জেল-হাজতে আটক ছিল।মামলা দয়ের করার পর থেকে বাদীদের মামলা তুলে আনার জন্য আসামীরা নানা ভাবে হুমাকি দিয়ে যাচ্ছে। এতে করে বাদী মোঃ আবুল হাসেম ভূঞা সন্ত্রাসীদের ভয়ে নিজ বাড়িতে অবস্থান করতে পারছেনা। বিষয়টির প্রতি পুলিশের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের জরুরীভাবে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন বলে এলাকাবাসী জোর দাবী জানিয়েছেন।
Discussion about this post