পণ্যের বিজ্ঞাপন বা কোম্পানির প্রচারণার জন্য ফেসবুকের ‘লাইক’ পেতে অনেক প্রতিষ্ঠান বিপুল অঙ্কের টাকা ঢালছে। আপাত দৃষ্টিতে এতে ফলও পাচ্ছেন তারা। তবে সম্প্রতি বিবিসির জরিপে ভয়ানক হতাশাজনক পর্যবেক্ষণ পাওয়া গেছে। কোম্পানিগুলো আসলে এসব টাকা জলে ঢালছে! যাদের অসংখ্য লাইক পেয়ে আত্মতুষ্টিতে ভুগছে আসলে তাদের বেশিরভাগেরই ওই সব পণ্যের প্রতি কোনো আগ্রহই নেই! এমনকি লাইক বাটনে অহরহ ক্লিক করে এমন অনেকে ব্যক্তিগত ব্যাপারে মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকে। এ ব্যাপারে একজন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বলেছেন, “ফেসবুকে অনেক অ্যাকাউন্ট আসলে ভুয়া। স্প্যাম ছড়ানোর উদ্দেশ্যে এটা করা হয়।” তবে ফেসবুক বলছে, এসব নিয়ে তারা এখনো উল্লেখযোগ্য কোনো সমস্যার মুখোমুখি হয়নি। উল্লেখ্য, অনেক বড় বড় কোম্পানির বিপণন বিভাগের জন্য ফেসবুক লাইকের গুরুত্ব অনেক বেশি। একজন ব্যবহারকারী যখন কোনো কোম্পানির লিঙ্ক সম্বলিত লাইকে ক্লিক করেন তখন কোম্পানিটি তার নিউজফিডে তাদের কনটেন্ট বা বার্তা পোস্ট করতে পারে। এবং একই সঙ্গে তার বন্ধুদের এ ব্যাপারে একটি অ্যালার্ট দিতে পারে। নতুন নতুন লাইক- এ ব্যবহাকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য বিজ্ঞাপন নির্মাণের মাধ্যমে ফেসবুক কোম্পানির কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমানে অর্থ আদায় করে। এমন অনেক কোম্পানি আছে যারা কয়েক লাখ পর্যন্ত লাইক পেয়েছে। এতে করে তারা অনেক ব্যবসায়িক ফায়দা করতে পারে। কিন্তু সম্প্রতি এক বিপণন কনসালটেন্ট তার ক্লায়েন্টদের তাদের লাইকের বাস্তবমূল্যের ব্যাপারে সতর্ক করে দেন। তার উদ্বেগের জের ধরেই বিবিসি জরিপ চালায় এবং এর সত্যতা খুঁজে পায়। ফেসবুকের আয়ের বেশিরভাগই আসে বিজ্ঞাপন থেকে। প্রতিষ্ঠার পর এ-ই প্রথম আগামী ২৬ জুলাইয়ে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে যাচ্ছে তারা। এর আগে চলতি বছরের প্রথম দিকে ফেসবুক জানায়, বিশ্বব্যাপী তাদের ৯০ কোটি ১০ লাখ ব্যবহারকারীর মধ্যে ৫ থেকে ৬ শতাংশ ভুয়া। এসব ভুয়া ব্যবহারকারীর প্রোফাইল রয়েছে মোট ৫ কোটি ৪০ লাখ।
Discussion about this post