বগুড়া জেলা প্রতিনিধি : বগুড়ার কাহালু উপজেলার মুরইল ইউনিয়নের ইসবপুর (টুপিপাড়া) গ্রামে পাষান্ড স্বামী হাতে স্ত্রী খুন হয়েছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী ও শ্বশুর-শ্বাশুড়ী পলাতক রয়েছে। জানা গেছে, শনিবার সকালে উপজেলার ইসবপুর (টুপিপাড়া) গ্রামের আব্দুল খালেকের পুত্র আতিকুর রহমান (২৮) তার স্ত্রী সাবিনা (২২)কে বেদম মারপিটের পর শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। পরে নিজ ঘরের ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে আতœহত্যা বলে প্রচার করার চেষ্টা করে। পরে ঘটনা জানাজানির পর স্বামী আতিকুর, শ্বশুর আব্দুল খালেক ও শ্বাশুড়ী পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে কাহালু থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাবিনার লাশ উদ্ধার করে মর্মে প্রেরন করেন। জানা যায় গত ৩ বছর পূর্বে শিবগঞ্জ উপজেলার বেলঘোচা গ্রামের সাইফুল ইসলামের কন্যা সাবিনার সাথে কাহালু উপজেলার ইসবপুর (টুপিপাড়া) গ্রামের আব্দুল খালেকের পুত্র আতিকুর রহমানের বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে যৌতুকের টাকার জন্য স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ীর নির্যাতনের শিকার হন সাবিনা। দম্পতি জীবনে তাদের এক বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সাবিনার দরিদ্র পিতা সাইফুল ইসলাম জানান মেয়ের বিবাহের সময় যৌতুক বাবদ ৭০ হাজার টাকা ও দেড় ভরি স্বর্ণ দিয়ে বিবাহ দেন। পরে মেয়ের সুখের জন্য আরও ১০ হাজার টাকা তার জামাইকে দেন। তার পিতা কান্নাস্বরে বলেন এতকিছু দেওয়ার পরও ওরা আমার মেয়েকে বাঁচতে দিলনা । এ ঘটনায় সাবিনার পিতা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে কাহালু থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে হত্যার কিছু আলামত পাওয়া গেছে। তবে ময়না তদন্ত রিপোট না পাওয়া পর্যন্ত আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না হত্যা না আত্মহত্যা।
বগুড়ায় জমি নিয়েসংঘর্ষে যুবক নিহত
বগুড়া জেলা প্রতিনিধি : বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার জালশুকা উত্তরপাড়া গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত শুক্রবারের সংঘর্ষে আহত বাদল ইসলাম (২২) ভোর রাতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। সে ঐ এলাকার ইবরাহিম কেরাণীর ছেলে। জানা গেছে, জমিজমা নিয়ে প্রতিবেশি প্রতিপক্ষ এর সাথে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের চাচা আব্দুল খালেক বাদী হয়ে ৯জনকে আসামী করে শাজাহানপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহতের লাশ জানাযা শেষে নিজগ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। শাজাহানপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (তদন্ত) মোসলেম উদ্দিন জানান, আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Discussion about this post