নজরুল ইসলাম মিন্টু বগুড়া জেলা প্রতিনিধি ঃ বগুড়ায় গত তিন দিন ধরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। শনিবারও নতুন করে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সারিয়াকান্দিতে বিপদ সীমার ৭৯ সেন্টিমিটার এবং ধুনটে ৮৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার কমপক্ষে ৩৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আকস্মিক বন্যার কারণে এই দু’টি উপজেলার ১০ হাজার পরিবারের ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে চরাঞ্চলের কাজলা, হাটশেরপুর, বোহাইল, চন্দনবাইশা, মথুরাপাড়া, কর্নিবাড়ি, চালুয়াবাড়ি ইউনিয়ণ সম্পন্ন বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে করে প্রায় তিন হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বাকি ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে তিনটি ইউনিয়ন আংশিক তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, যমুনায় পানি বৃদ্ধির ফলে ধুনটের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধের পূর্ব পাশের রাধানগর ও বৈশাখীর চরসহ মিমুলবাড়ী, শহরাবাড়ি, ভান্ডারবাড়ি, কৈয়াগাড়ি, ভূতবাড়ি, কচুগাড়ি, বানিয়াযান, পুকুরিয়া, বড়ইতলী সহ ১২টি গ্রাম তলিয়ে গেছে। এতে ঐ গ্রামের এক হাজার বাড়ি ঘর তলিয়ে গেছে। বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী জানান, গত কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে।
সারিয়াকান্দি যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ৯০ সিন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপর দিকে ধুনটে যমুনা নদীর পানি বিপদ সীমার ৯৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি বৃদ্ধির মাত্রা কম হলেও আগামী তিন দিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।
Discussion about this post