বগুড়া জেলা প্রতিনিধি : মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে মাওঃ দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে দায়ের করা যুদ্ধাপরাধী ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহবান করেছে। হরতালের সমর্থনে বুধবার সন্ধ্যায় জামায়াত শিবির বগুড়া শহরের বিভিন্ন স্থানে খন্ড খন্ড মিছিল বের করে। এসময় বিভিন্ন পয়েন্টে ১৫/২০টি ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে এবং দু’একটি গাড়ী ভাংচুর করা হয়। এদিকে বগুড়া জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাও আলমগীর হোসাইন ও জামায়াত নেতা ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল কুদ্দুস ডিলুকে গ্রেফতার করেছে আইন শৃংখলা বাহিনী। বিষয়টি আইন শৃংখলাবাহিনী ও একাধিক দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, মাওঃ দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে আজ রায়ের ঘোষণার প্রতিবাদে আজকের হরতালের পে সন্ধ্যায় সাতমাথার অদুরে বাণিজ্যিক কলেজ সংলগ্ন শেরপুর রোডে জামায়াত শিবির একটি বিােভ মিছিল বের করে ইয়াকুবিয়া স্কুল মোড় হয়ে মফিজ পাগলার মোড়ের দিকে যায়। এসময় বাণিজ্যিক কলেজ এলাকা, ইয়াকুবিয়া স্কুল মোড় ও মফিজ পাগলার মোড়ে ৭/৮টি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। একই সময় বড়গোলা মোড়েও ৫/৬টি ককটেল বিস্ফোরিত হলে বড়গোলা, সাতমাথা, শেরপুর রোড, স্টেশন রোডসহ বিভিন্ন সড়কে মানুষ দ্বিক-বিদিক ছুটা ছুটি করে এবং দোকান পাঠ বন্ধ হয়ে যায়। মানুষের মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করে। কিছুণের জন্য সাতামাথা ফাঁকা হয়ে যায়। পুলিশ ও র্যাব সতর্ক অবস্থান নেয়। এর কিছুণের পরই কলোনী এলাকায় ২/৩টি ককটেল বিস্ফোরিত হলে এলাকায় চরম আতংক বিরাজ করে। এদিকে বগুড়া জেলা জামায়াতের আমীর মাও আলমগীর হোসাইনকে মালগ্রাম মধ্যপাড়াস্থ তার বাড়ী থেকে তাকে আইন শৃংখলা বাহিনী গ্রেফতার করে। অন্যদিকে বগুড়া পৌর সভার ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও জামায়াত নেতা রুহুল কুদ্দুস ডিলুকে বগুড়া শহরের কলোনী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে আইন শৃংখলা বাহিনী। অপরদিকে এব্যাপারে বগুড়া সদর থানার ওসি সৈয়দ শহিদ আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন ২ জামায়াত নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরো গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে। কেউ যাতে কোন নাশকতামূলক কর্মকান্ড করতে না পারে সে জন্য পুলিশ সতর্ক রয়েছে।
Discussion about this post