নজরুল ইসলাম মিন্টু, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি : বগুড়া-জয়পুরহাট মহাসড়কের কয়েকটি পয়েন্টে নিত্যদিনের তীব্র যানজটে পথচারী ও যাত্রীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। ওই পয়েন্টের মধ্যে মহাস্থান, চন্ডিহারা, মোকামতলা, রহবল, ফাঁসিতলা, আমতলি, কিচক, পুনট ও কালাই এলাকা অন্যতম। বিশেষ করে মহাসড়কের উপর বিশাল আলুর হাট বসায় দিনে-দুপুরে এমন কি গভীর রাত পর্যন্ত এ যানজোট লেগেই থাকছে। ফলে এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারি যানবাহনের যাত্রীরা পড়ছেন চরম বেকায়দায়। অসহনীয় যানজটের কবলে পড়ে নিজ গন্তব্যে যাওয়ার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষায় বসে থাকতে হচ্ছে। বগুড়া-জয়পুরহাট মহাসড়কের উপর কিচকে সপ্তাহে ৩ দিন বিশাল আলুর হাট বসচ্ছে। হাটের ভিতরে সুবিশাল জায়গা পড়ে থাকলেও মহাসড়কের পাশে দোকানপাট, অটোরিক্সা-সিএনজি, টেম্পু ও রিক্সার ষ্ট্যান্ড এবং মুল সড়কের উপর সবজি বাজার বসানো হয়েছে। চালকরা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মহাসড়কের যেখানে-সেখানে ট্রাকে মালামাল লোড আনলোড ও যাত্রী উঠানো নামানো করার কারণে প্রতিদিন এ যানজট অব্যাহত থাকতে দেখা যায়। মোকামতলায় মহাসড়কের পাশে বাজার বসা ছাড়াও দুই পাশে বাস, ট্রাক, অটোরিক্সা সিএনজি, টেম্পু ও রিক্সার ষ্ট্যান্ড এবং পুনট-কালাইয়ে সপ্তাহে ২দিন করে রাস্তার উপর আলুর হাট বসায় যানজট প্রকট আকার ধারণ করছে। মোকামতলা থেকে কালাই পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার রাস্তায় ওই স্টেশনগুলোতে প্রতিদিন কোনো না কোনো সময় দীর্ঘক্ষণ যানজট লেগেই থাকছে। যানজটের ফলে ২৫-৩০ মিনিটের রাস্তা যাতায়াত করতে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা সময় লেগে যাচ্ছে। শুধু বাসযাত্রীরাই নয় যানজটে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থী, অফিসগামী কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন এনজিও কোম্পানীর মাঠকর্মী ও ব্যবসায়ীসহ নানা পেশার লোকজনকে হতে হচ্ছে ভোগান্তির শিকার। কিচক হাটে আলু বিক্রি করতে আসা কৃষক আহসান কবির জানান, এ হাট থেকে সরকারের লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়। অথচ উন্নয়নে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয় না। আলু ব্যবসায়ী রতন মিয়া জানান, দেশের বিভিন্ন হাটে আলু কিনা-বেচা করেছি কিন্তু কিচক হাটের মতো এত সমস্যা কোথাও চোখে পড়েনি। এসব কি কর্তৃপক্ষের নজরে পড়েনা, জমা-খাজনা তো ঠিক মতই নেওয়া হয়। স্থানীয় দোকানদার শ্রী অমল জানান, সপ্তাহের রোববার, বুধবার ও শুক্রবার ৩দিন আমাদের দোকানে কোন বেচা-কিনা হয়না। কারণ দোকানের সামনে দিনভর আলুর স্তুপ ও সারি সারি বস্তা রাখা হয়। এ ব্যাপারে কিচক হাট ইজারাদার কর্তৃপক্ষ জানান, আলু কেনাবেচার জন্য হাটের ভেতরে প্রচুর জায়গা রয়েছে আমাদের নিষেধ থাকা সত্বেও সাধারণ কৃষক রাস্তার উপর তাদের আলু বিক্রি করছেন। যা কোনো ভাবেই রোধ করা যাচ্ছে না। এব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা আব্দুল মালেক কিচকের আলুর হাটের কারণে মহাসড়কে যানজট হচ্ছে বিষয়টি শিকার করে জানান, যানজট নিরসনে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
Discussion about this post