বগুড়া জেলা প্রতিনিধি : ঢাকার মিরপুরের বহুল আলোচিত ভূতের বাড়ির বাসিন্দা সিজোফেনিয়ায় আক্রান্ত ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার দুই বোন রিতা মিতা কে বগুড়ার একটি আাবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
রিতা ও মিতা দীর্ঘ প্রায় ৪ মাস পূবে ২০ ফেব্রয়ারী বগুড়ায় এসে শহরের কেন্দ্রস্থল আকবরিয়া আবাসিকের ২১ নাম্বার কক্ষ ভাড়া নেয়। সেই থেকেই তারা আকবরিয়া আবাসিক হোটেলে অবস্থান করছে। আকবরিয়া হোটেলের ম্যনেজার জানান, আবাসিকে থাকার সময় তারা ঘর থেকে বের হতেন না। খাওয়া দাওয়াও ঠিক মত করতেন না। এদের মধ্যে এক বোন শুধুমাত্র খাবার সংগ্রহ করতে হোটেল থেকে বের হতেন। নিয়মিতভাবে তারা আকবরিয়া আবাসিকের ভাড়াও পরিশোধ করেন। এর মধ্যে ৫/৬ দিনের ভাড়া পরিশোধ করতে না পারায় হোটেল কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। এসময় তারা অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকেন। আবাসিক কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেন। পুলিশ হোটেলে গিয়ে তাদের সাথে কথা বলে সন্দেহ হলে তারা নারী সংগঠনকে খবর দেন। বগুড়ার মহিলা আইনজীবী সমিতির সহায়তায় বগুড়া সদর থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে সামাজিক প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে বগুড়ায় হস্থান্তর করেন।
আকবরিয় আবাসিকে তারা তাদের ঠিকানা হিসাবে পরিচয় দিয়েছেন নূরূন নাহার (৪৫) প্রকৌশলী, এবং আইনুর নাহার (৪৯) ডাক্তার। পিতা মৃত শরফুদ্দিন, গ্রাম মন্ডল পাড়া, নাসিম নগর, ব্রাক্ষন বাড়িয়া। তারা দুইজনই সালোয়ার কামিজ পড়তেন। তবে বড় ওড়না দিয়ে সব সময় মুখ ঢেকে রাখতেন। বগুড়া সদর থানার এস এই আনোয়ার জানান, উদ্ধারকৃতদের বিবরন এবং আচরণ দেখে বোঝা যায়, তারা দুজন ঢাকার আলোচিত সেই রিতা মিতা দুই বোন।
উল্লেখ্য, রিতা মিতা নামের আলেচিত দুই বোন ঢাকার মিরপুরে তাদের বসবাস। সিজোফেনিয়ায় আক্রান্ত ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ার দুই বোন রিতা মিতাকে মানবধিকার কর্মীরা উদ্ধার করেছিল। তাদের বাড়িতে কেউ যাতায়াত করতো না এবং বাড়ির বাহিরে বের হতেন না। সেই সময় থেকেই তাদের বাড়িটি ভুতের বাড়ি হিসাবেই পরিচিতি পায়
Discussion about this post