আবু ছাদেক রিপন,কুয়েত প্রতিনিধি: কৃষির অপার সম্ভাবনাময় দেশ ছেড়ে প্রবাসে এসেও নানা প্রতিকূলতা মধ্যেও কৃষি ক্ষেত্রে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন বাংলা মায়ের সূর্য সন্তান প্রবাসী বাংলাদেশিরা মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম দেশ দৌলতে কুয়েত। দেশটিতে প্রায় আড়াই লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছে তার মধ্যে প্রায় ৩০-৪০ হাজার প্রবাসী এদেশের মাজার বা কৃষি কাজের সাথে জড়িত। প্রবাসী কৃষকরা রোদে পোড়ে বৃষ্টি ভিজে তাদের অকøান্ত পরিশ্রমে। বাংলাদেশিদের ছোঁয়ায় মরুর বুকে সবুজের হাসি। ধুধু মরুভুমির এই বিশাল বুকজুড়ে লাল-সবুজের মনমুগ্ধকর দৃশ্যের হাতছানি। দেখেই মন জুড়িয়ে যায়। ২২ এপ্রিল শনিবার কুয়েতে সীমান্তবর্তী এলাকা আবদালি এলাকায় কৃষি খামার পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ কুয়েত দূতাবাসের মান্যবন রাষ্ট্রদূত এস এস আবুল কালাম ও দূতাবাস প্রধান ও রাজনৈতিক সচিব আনিছুরজ্জামান, শ্রম কাউন্সিলর আব্দুল লতিফ খাঁন, সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন পাটোয়ারী, ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। আবদালি এলাকায় কৃষি কাজে নিয়োজিত কৃষিজীবী প্রবাসীদের খোঁজ খবর নেন এবং সেখানে শ্রমিকরা তাদের সুখ-দুঃখ ও সমম্যা সম্ভাবনার কথা রাষ্ট্রদূতকে অবগত করেন।তিনি তাদের যেকোন ধরনে সমস্যা সহযোগিতা করার আসস্ত করেন এবং পরে তাদের উৎপাদিত কৃষি খামার গুলো ঘুরে দেখেন। রাষ্ট্রদূত বলেন বাংলাদেশিদের ছোঁয়ায় মরুর বুকে সবুজের হাসি। বাংলা মায়ের সূর্য সন্তানেরা কৃষি খামারের গৌরবোজ্জ্বল দৃষ্টান্তে ও সাফল্যে উদ্ভাসিত হোক গোটা দেশ,জাতি। স্বার্থক এবং সফল হোক কৃষিজীবী মানুষদের অক্লান্ত পরিশ্রম।
প্রায় জনশূন্য এই বিশাল ধুধু মরুর বুকে কৃষকেরা মনের আনন্দে চাষাবাদ করছে- টমেটো, শসা, কাকরল, ফুলকপি,বাঁধা কপি, পালং শাক, লাল শাকসহ বিভিন্ন সবজি ও আবাদি ফসল। এই মরু বুকে সবজি চাষ কীভাবে সম্ভব হয়েছে? জানতে চাইলে কৃষিকাজে নিয়োজিত চট্টগ্রামের জয়নাল আবেদিন দিদার বলেন, দেশে থাকতে বাবার সাথে ক্ষেতে কৃষি কাজে সহযোগিতা করতাম করতে করতে অবিজ্ঞতা হয়েছে। দেশে অর্থের অভাবে জানলেও ভাল ফসল উৎপাদন করতে পারিনি । প্রবাসে এসে দেশের অবিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ও কৃষি কাজে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আবিষ্কার হওয়া নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারে মাধ্যমে চেষ্টা ও শ্রম দিলে এটি কোনো ভাবেই অসম্ভব নয়। তবে পরিশ্রমের তুলনায় তাদের পারিশ্রমিক একেবারেই কম বলে জানালেন সেখানকার অনেক কৃষি কাজে নিয়োজিত কৃষিজীবী প্রবাসীরা।
আরো বলেন, ওয়াফরা ও আবদালি মরুর বুকে এ দুটি এলাকাকে কুয়েতের গ্রামাঞ্চল বলা হয়ে থাকে। আর এই গ্রামাঞ্চল গুলোতে কুয়েতের নাগরিকরা শহরের ইট দালান ঘেরা কোলাহল মুক্ত শান্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পরিবার পরিজন ও বন্ধু বান্ধব নিয়ে প্রতি সাপ্তাহে বৃহস্পতিবার শুক্রবার ঘুরতে আসেন।
Discussion about this post