বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েত এবং ইউএন-হ্যাবিট্যাট এর যৌথ উদ্যোগে রক্তদান কর্মসূচিতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতের উপস্থিতি অনুপ্রাণিত করেছে প্রায় দুই শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশী রক্তদাতাদের। শোকের মাসে রক্তদান প্রচারাভিযান জাতির পিতাকে দেশে এবং বিদেশে শ্রদ্ধা জানানোর অন্যতম উদ্যোগ বলে মনে করেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। এই কর্মসূচি কুয়েতে একটি মাইল ফলক হয়ে থাকবে বলে মন্তব্যও করেন তিনি । পুরো আগস্ট মাসটিকে শোকের মাস হিসেবে দেশ বিদেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে পালিত হয় দিবসটি। এবছরের শোক দিবসটি কুয়েতেও স্বরণীয় করে রাখতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পাশাপাশি প্রবাসীদের সেচ্ছায় রক্তদান কর্মসুচির আয়োজন করে বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েত। ২৬ আগস্ট শনিবার কুয়েতে জাতিসংঘ মানব বসতি কর্মসূচি (ইউএন-হ্যাবিট্যাট) যৌথভাবে কুয়েতের জাবরিয়া সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাংকে এই রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ঐদিন দুপর দুইটায় রক্তদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান এবং জাতিসংঘ মানব বসতি কর্মসূচি (ইউএন-হ্যাবিট্যাট) জিসিসি আঞ্চলিক অফিসের হেড অফ মিশন ডক্টর আমিরা আল হাসান।
স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালের সকল শহীদদের। তিনি আরো বলেন এ বছর জাতির পিতার শাহাদাত বার্ষিকীতে রক্তদান প্রচারাভিযান আমাদের জাতির পিতাকে দেশে এবং বিদেশে শ্রদ্ধা জানানোর অন্যতম প্রধান উদ্যোগ । এমন মহতি উদ্যোগ কে সফল করায় সবাইকে ধন্যবাদ জানান। এবং রক্তদাতাদের অনুপ্রাণিত করার জন্য উপস্থিত রাষ্ট্রদূত ও তাদের প্রতিনিধিদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অন্যদিকে (ইউএন-হ্যাবিট্যাট) জিসিসি আঞ্চলিক অফিসের হেড অফ মিশন ডক্টর আমিরা আল হাসান বলেন এমন একটি যুগান্তকারী রক্তদান কর্মসূচিতে অংশ নিতে পেরে তারা গর্বিত। তিনি বলেন এটি স্বাস্থ্যকর শহর গড়ে তোলার চলমান প্রচেষ্টার একটি অংশ। কুয়েত বাংলাদেশ দূতাবাস এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সহয়তায় তাদের অংশগ্রহনের লক্ষ্য মানবতার সেবায় সহযোগিতা ও সহানুভূতির মনোভাব গড়ে তোলা।
রক্তদাতাদের অনুপ্রাণিত করা সহ রক্তদান কর্মসূচিকে স্বাগত জানাতে ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, আফগানিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা সহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের প্রতিনিধিগন সহ দেশ বিদেশি মিডিয়া কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সে সময় অতিথি কুটনৈতিকরা এমন উদ্যোগ খুবই মহতী উদ্যোগ বলে ভুয়সী প্রশংসা করেন প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটি সহ বাংলাদেশ দূতাবাস কে। তারা মানব কল্যানে এই রক্তদান কর্মসূচিতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান করেন। এমন উদ্যোগে আগামীতে তারাও পাশে থাকবেন বলে জানান।
রক্তদান কর্মসূচিতে কুয়েতে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছুটে আসেন অসংখ্য প্রবাসী। ক্যাম্পেইন চলাকালীন দুই শতাধিক পুরুষ মহিলা প্রবাসী বাংলাদেশী স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত এমন বৃহত্তম রক্তদান কর্মসূচি কুয়েত এবং বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
Discussion about this post