মোবারক বিশ্বাস নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেছেন, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলেই দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। বাবা শেখ মজিবুর রহমানের শাসনের সময় দেশে জাহান্নামে পরিণত হয়েছিল আর মেয়ে শেখ হাসিনার শাসনের সময় দেশে মুত্যু পুরীতে পরিণত হয়েছে। শেখ মজিবর রহমান নিহত হওয়ার পর জাতীয় সংসদের স্পীকার আব্দুল মালেক বলেছিলেন জাতী আজ ফেরাউনের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে। সে সময় শুধু সাধারন জনগন নয় অনেক আওয়ামীলীগ নেতাও উল্ল¬াসিত হয়েছিলেন। তিনি আরো বলেন, এই সরকার একটি মিথ্যাবাদী সরকার। এই সরকারের দেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব করছে দেশে দুর্ভিক্ষ চলচ্ছে। মানুষের কোন নিরাপত্তা নাই। তিনি বলেন তত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। গতকাল বুধবার বিদ্যূৎ ও জ্বালানী তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি এবং বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকটের প্রতিবাদে পাবনা জেলা বিএনপি আয়োজিত বিরাট বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিমুল বিশ্বাস এ কথা বলেন। স্বরনকালের বিএনপি’র এ বিক্ষোভ মিছিলে হাজার হাজার নেতা-কর্মী স্বতফুর্তভাবে অংশ গ্রহণ করেন। পাবনা জেলা বিএনপির সভাপতি মেজর (অব.) কে এস মাহমুদের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, পাবনা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান তোতা, পাবনা জেলা বিএনপির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট শাজাহান আলী, মির্জা আজিজুর রহমান, সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ খান মন্টু, আব্দুলল্লাহ আল মাহমুদ মান্নান, আলহাজ্ব তৌফিক হাবিব, একএম মুসা, একেএম আনোয়ারুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার, হাজারী জাকির হোসেন চুন্নু,পুণিমা ইসলাম, যুগ্ন সম্পাদক সাবির হাসান বাচ্চু, নুর মোঃ মাসুম বগা,রেহানুল ইসলাম বুলাল, যুবদল সভাপতি শেখ তুহিন, জেলা বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক, শহিদুর রহমান টুটুল বিশ্বাস, সেলিম আহমেদ, আবু বকর সিদ্দিকী মকু, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুন্নবী স্বপন, দপ্তর সম্পাদক মোঃ জহুরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক ফরহাদ জোয়াদ্দার, কোষাধ্যক্ষ মোফাজ্জল হোসেন মোশারোফ, আইন সম্পাদক এ্যাডঃ নাজমূল হক শাহিন, যুব বিষয়ক সম্পাদক আসলাম হামিদ খান, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক আবুল আহসান রেয়ন, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক আখিঁনুর ইসলাম রেমন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন মুরাদ, তপন সাহা, এরশাদুল হক সবুজ, ইসমাইল হোসেন ভুইয়া, আলাউদ্দীন চুন্নু, সহ-দপ্তর সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন মানু, মনসুর আলী, ওহিদুর রহমান, সহ-প্রচার আরজ খান, আব্দুল হান্নান মিলন, রফিকুল ইসলাম, সেচ্ছাসেবক নজরুল ইসলাম,সমবায় সম্পাদক আযম চেীধুরী, সহ-কোষাধ্যক্ষ, সোহেল রানা বিপ্লব, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শামীম আরা মুন্নী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাজি সোলায়মান হোসেন, বন সম্পাদক হারুনার রশিদ,মৎস্য সম্পাদব নেফাউর রহমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য মনোয়ার শামীম, প্রফেসর নাজিমুদ্দিন সাগর, বরজাহান বিশ্বাস, আশরাফ হোসেন রাজন, শরিফুল ইসলাম শরিফ, মোক্তার হোসেন, সুশীল তরফদার, আইয়ুব সরদার, মহিলা দলের মেহেরুননেছা শাজাহান, মিস ফারহানা পারভিন, কামাল বিশ্বাস, এ্যাডভোকেট আলী বারেক, হাবিবুর রহমান মনি, কালাম মেম্বর, শেখ ফিরোজ, মনি তালুকদার, বেলাল হোসেন, এনায়েত কবির শামীম, বাবুল বিশ্বাস, শেখ কামাল, হাবিবুর রহমান নান্নু, হান্নান সরদার, শামীমুল ইসলাম বুলু, আযম, মফে, এস এম হালিম, হিমেল রানা, মনির হোসেন, মাসুদ রানা, তসলিম হাসান সুইট, ইমতিয়াজ রাঙ্গা, মনির চৌধুরী, আজাদসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
পাবনা আদালতে হামলায় মামলা দায়ের গ্রেফতার-২৩
মোবারক বিশ্বাস নিজস্ব সংবাদদাতাঃ পাবনা আদালতের এজলাশে হামলার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল দুপুর সাড়ে ১১ টায় একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের নাজির মোঃ মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। ক্ষতিগ্রস্থ, প্রত্যক্ষদর্শী ও আদলতে কর্মরত ব্যাক্তিরা জানান, বুধবার দুপুর সাড়ে ১১ টায় বিএনপি’র একটি খন্ড মিছিল পৌরসভার অর্ন্তগত চামড়া গোডাউন থেকে বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ের দিকে যাবার সময় আদালত চত্বরের ১ নং গেটের কাছে স্থানীয় সন্ত্রাসী মোহাম্মদ আলী ক্লে’র নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী গ্র“প মিছিলে অংশগ্রহনরত জনৈক মুকাইকে মারার জন্য মিছিল থেকে টেনে হিচরে বের করার চেষ্টা করে। এ সময় মিছিলে উপস্থিত সদর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের মোঃ আলাউদ্দিনের ছেলে মোঃ রকি ইসলাম (২০) সন্ত্রাসীদের বাধা প্রদান করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা রকিকে ছুরিকাঘাত করে। রকিকে রক্তাক্ত দেখলে মিছিলে অংশগ্রহণরত অন্য নেতা-কর্মীরা উক্ত সন্ত্রাসীদের ধরতে ধাওয়া করে। সন্ত্রাসী মোহাম্মদ আলী ক্লে দৌড়ে আদালত ভবনের ২য় তলায় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ গোলজার হোসেনের কগনাইজং-২ এর আদালত এজলাশে ঢুকে পড়েন। মিছিলে অংশ গ্রহণরত নেতা-কর্মীরা এ সময় এজলাশে ঢোকার চেষ্টা করলে কর্তব্যরত ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য ও পিয়নদেরকে দরজা বন্ধ করে দিতে বলেন। উত্তেজিত নেতা-কর্মীরা এজলাশের দরজার কাঁচ ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করতে গেলে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়। এসময় খবর পেয়ে আদালতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হন। এ সময় কং নং-১০২৪ মোঃ আলামীন নামে এক পুলিশ সদস্য আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যকে সহকর্মীরা উদ্ধার করে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। মিছিলে নেতৃত্বদানকারী কয়েকজন নেতা জানায়, আমরা কর্মীদের হামলা ঠেকাতে আদালতের লোহার গেট বন্ধ করে দিলেও সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনায় উত্তেজিত কর্মীরা প্রাচীর টপকে ভিতরে প্রবেশ করে । এ ব্যাপারে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের নাজির মোঃ মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা বিএনপি নেতা-কর্মীদের আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-২৫, তাং-১১-০৪-১২ইং। পাবনা থানা সুত্রে জানা গেছে, পুলিশ ঘটনার পর শহর থেকে ২৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে জনি (২০),রাজ্জাক(৩৫), মিলন(২৪), রবিউল(২২)সহ আরো অনেকে। একটি সুত্র জানায়, বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর হমালার ঘটনায় বিএনপি’র পক্ষ থেকে একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার পর থেকে পাবনা জেলা বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে গ্রেফতার আতংক বিরাজ করছে।
Discussion about this post