সংস্থার পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার এক দফা দাবি আদায়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মীরা প্রয়োজনে ধর্মঘটের মতো কর্মসূচি দিতে পারেন। এ কর্মসূচির মাধ্যমে শুধু বিমানই নয়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও অচল করে দেওয়া হতে পারে। পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার দাবিতে বিমানের আন্দোলনরত কর্মীদের একাধিক নেতা এ ধরনের কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার আভাস দিয়েছেন। অবশ্য এর আগেই সরকার তাদের দাবি মেনে নেবে বলে আশাবাদী তারা। বিমানের বৈমানিক, কেবিন ক্রু, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘বিমান বাঁচাও ঐক্য পরিষদ’র ব্যানারে সম্প্রতি এ আন্দোলন শুরু করেছেন। এ দাবিতে সোমবার বিকেল ৩টায় মহাসমাবেশ কর্মসূচি পালন করবে ‘বিমান বাঁচাও ঐক্য পরিষদ’। দাবি আদায়ে ঐক্য পরিষদের নেতারা আন্দোলনের পাশাপাশি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করছেন। এরই অংশ হিসেবে রোববার তারা বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খানের সঙ্গে দেখা করেন। `বিমান বাঁচাও ঐক্য পরিষদ`র সদস্য সচিব ক্যাপ্টেন এসএম হেলাল বাংলানিউজকে জানান, সোমবারের মহাসমাবেশ থেকে তারা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এক দফার কর্মসূচি ঘোষণার পাশাপাশি দাবি আদায়ে বিমানের প্রধান কার্যালয় ঘেরাও, ধর্মঘটের মতো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে। তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের প্রতিটি ধাপে ধাপে কর্মসূচি বেগবান হবে। সেই সঙ্গে কঠোর থেকে কঠোরতর কর্মসূচি আসবে।’ আন্দোলনকারীদের এক নেতা নাম না প্রকাশের শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, ‘যদি বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং’র কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতি বা ধর্মঘটে যায় তাতে শুধু বিমানই অচল হবে না, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও অচল হয়ে পড়বে। কারণ, বিমানই দেশের প্রধান এই বিমানবন্দরটির সব এয়ারলাইন্সের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং’র কাজ করে থাকে।’ প্রসঙ্গত, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিতে ঐক্য পরিষদ ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল। এ সময়ের মধ্যে দাবি মেনে না নেওয়ায় ঐক্য পরিষদ মহাসমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করে। এর আগে ‘বিমান বাঁচাও ঐক্য পরিষদ’ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার দাবিতে বিমানের প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।
Discussion about this post