সেলিম আহমেদ, সৌদি আরব :: বিয়ের পর প্রতারনার শিকার সৌদি প্রবাসী আব্দুল কুদ্দুস। আব্দুল কুদ্দুস (৩৭) মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার পুরুষরামেরচক গ্রামের আব্দুল মালিকের পুত্র। একই থানার মাইজ পাড়া গ্রামের আব্দুল গনির মেয়ে মোছাঃ হাজেরা আক্তার তামান্না পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় একে অপরের সাথে দেখা সাক্ষাত হয় , একসময় উভয়ের মধ্যে প্রেম ভালবাসা সম্পর্ক হয়। উক্ত প্রেমের সম্পর্ক গভীর থেকে গভীর হওয়ায় তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিল। পরিবারের অমতে ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৩ ইং সুনামগঞ্জ আদালতে বিয়ে হয়। আদালতের বিয়ের হলফনামার পেপারে লাখা আছে যে তারা উভয়ই সাবালিকা, এটাও লেখা আছে পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় একে অপরের সাথে দেখা সাক্ষাত হয়, দীর্ঘ দিন যাবত দেখা সাক্ষাতের কারনে এক ধরনের প্রেম ভালবাসা সম্পর্ক হয় ।
যেহেতু ২জন সাবালিকা থাকায় বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ও অধিকার আইনগত ভাবে তাদের আছে । শরিওত মতাবেক ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দেনমহর ধার্য্য করে আব্দুল কুদ্দুস এর সাথে আদালতের মাধ্যমে বিয়ে হয় মোছাঃ হাজেরা আক্তার তামান্না । বিয়ের ১ মাস পরে মেয়ের ভাই বাদি হয়ে আব্দুল কুদ্দুসকে আসামী করে বড়লেখা থানায় মামলা করেন। গ্রেফতার হন আব্দুল কুদ্দুস। আব্দুল কুদ্দুস বড়লেখা থানার ওসিকে বিয়ের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে চাইলে ওসি আদালতের কাগজ পত্র না দেখে তাকে মৌলভীবাজার আদালতে পাঠিয়ে দেন। পরে আদালতে জামিন না দিয়ে আব্দুল কুদ্দুসকে জেলে পাঠিয়ে দেন।
আব্দুল কুদ্দুস জানান, বার বার আদালতে জামিনের আবেদন করলেও ৪ মাসের ভিতরে জামিন না পেয়ে আব্দুল কুদ্দুসের সৌদি আরবের ভিসা মেয়াদ চলে যায়। আব্দুল কুদ্দুস সৌদি আরবে যেতে পারেন নি।
পরে আব্দুল কুদ্দুস অনেক কষ্ট করে কাতার চলে যান।
আব্দুল কুদ্দুস জানান, তার বাড়িতে বৃদ্ধা মা। তার মাকে দেখার কেউ নাই। তিনি বিয়ে করেছিলেন অনেক আশা নিয়ে। তিনি দাবি করেন তার স্ত্রীকে আটক করে রাখা হয়েছে। তার স্ত্রী আব্দুল কুদ্দুসের বাড়িতে আসতে চাইলে তাকে আসতে দেয়া হচ্ছে না। তার বাবা ও ভাই ঘরে বন্দী করে রেখেছেন এবং তারা আব্দুল কুদ্দুসের বিয়ে করা স্ত্রীকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
Discussion about this post