নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবারই কিছু ব্যক্তিগত বিষয় থাকে। সম্পর্ক, তা সে যত গভীরই হোক, বন্ধুত্বের বা প্রেমের, সে সম্পর্কের মধ্যেও একটা সীমানা থাকে, যা পার না হওয়াই ভালো। এটা যেমন সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করে, তেমনি এর ফলে ব্যক্তির নিজস্বতাও বজায় থাকে। একান্ত ব্যক্তিগত এ বিষয়গুলো প্রেমিক বা প্রেমিকাকে জানানোর চেয়ে না জানালেই সমস্যা কম হয়।
বন্ধুর গোপন কথা
সে আপনার বন্ধু, তার গোপনীয়তা আপনি আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকার কাছে বলে দেবেন না। আপনি ঘনিষ্ঠতম বন্ধু বলেই সে অন্য কাউকে না জানিয়ে আপনার সঙ্গে তার নিজের কথা বলেছে, সমস্যা বা সুখের কথা জানিয়েছে। আর আপনিও তো কখনো কখনো একইভাবে তার কাছে বা আপনার অন্য কোনো বন্ধুর কাছে নিজের কথা জানান। তাই বন্ধুর গোপন কথার এই আড়াল সঙ্গীর কাছে ভেঙে দেওয়া ঠিক হবে না। আর আসলে হয় কি, একটা ঘটনার অনেক দিক থাকে, যার পুরোটা না জানলে, না বুঝলে আপনার সঙ্গী কেন যে কেউই সে বিষয়ে ভুল বুঝতে পারে। তাই বন্ধুর গোপন কথা গোপনই থাক।
আপনার পাসওয়ার্ড
পাসওয়ার্ড এখনকার দিনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ শব্দ। ই-মেইল, ফেসবুক, টুইটার বা এমন যেকোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনার অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ডটি অবশ্যই চূড়ান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। এটা সঙ্গী বা প্রেমিক-প্রেমিকার সঙ্গে শেয়ার করার মতো কোনো বিষয় নয়। আপনি যেমন তাঁর পাসওয়ার্ড চাইতে পারেন না, সেও আপনারটা চাইতে পারে না। এটা বিশ্বাস করা বা না করার বিষয় না, এটা একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। এই সীমানা পার হওয়াটা কোনো পক্ষের জন্যই স্বাস্থ্যকর হবে না, বরং আরও সমস্যা তৈরি করবে।
পরিবারকে অপছন্দ
কোনো যুক্তিসংগত কারণে সঙ্গী বা প্রেমিক-প্রেমিকার কোনো একজনের পরিবারের কোনো বিশেষ বিষয় অপরজনের পছন্দ না-ই হতে পারে। কিন্তু পরিবার প্রত্যেক ব্যক্তির কাছেই এতটাই স্পর্শকাতর যে এ সম্পর্কে সামান্যতম কটু কথাও মারাত্মক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। ফলে বিষয়টা যদি গুরুতর না হয় তাহলে স্রেফ মানিয়ে নিয়ে চলার চেষ্টা করুন এবং মুখে কুলুপ এঁটে রাখুন। আর যদি সমস্যা এমন হয় যা দূর না করলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে তাহলে তা নিয়ে ভালো করে ভাবুন। ভেবে বিষয়টা খুবই স্বাভাবিক ভঙ্গিতে সঙ্গীকে বলুন। তবে লক্ষ রাখবেন, আপনার কথায় যেন আপনার অপছন্দের বিষয়টি সামনে না আসে বা প্রকাশিত না হয়। আপনি শুধু সমস্যাটির কথা জানান।
অতীতের বিস্তারিত
সঙ্গী অবশ্যই আপনার অতীত সম্পর্কে জানতে চাইবেন। যেমন আপনিও তাঁরটা জানতে চান। এটাই স্বাভাবিক। জীবনসঙ্গীরা অবশ্যই পরস্পরের অতীত জীবনের নানান বিষয়-আশয় সম্পর্কে জানবেন। এই জানাটা অনেক ক্ষেত্রেই প্রয়োজনও। কিন্তু যে বিষয়ে সতর্ক থাকা দরকার তা হলো অতীত প্রেম বা দাম্পত্যের খুঁটিনাটি অনেক কিছু বিশদভাবে বা বিস্তারিত বিবরণে না বলা। এমন কিছু বিষয় না জানাটাই দুজনের জন্য স্বাস্থ্যকর, জানলে তা বরং অনেক সমস্যা তৈরি করতে পারে।
Discussion about this post