হাটহাজারী, চট্টগ্রাম : বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর মহাপরিচালক ড. মো: রফিকুল ইসলাম মন্ডল বলেছেন, দেশ স্বাধীনতা লাভের পর ৩০ লক্ষ টণ খাদ্য ঘাটতি ছিল। তখন দেশের লোক সংখ্যা ছিল সাড়ে ৭ কোটি। স্বাধীনতার ৪০ বছর পর দেশের লোকসংখ্যা ১৬ কোটি। এ বিপুল সংখ্যক লোকের আবাসন চাহিদা পূরণ করতে অনেক ফসলি জমি নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে ফসলি জমির পরিমাণ কমে যাওয়ায়, বর্তমানে খাদ্য ঘাটতি ভয়াবহ হওয়ার কথা। কিন্তু দেশে খাদ্য ঘাটতি নেই। বরং দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তাছাড়া অনেক কৃষি পণ্য এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। এর পেছনে কৃষি বিজ্ঞানিদের ভূমিকা অপরিসীম। কৃষি বিজ্ঞানিদের নিরন্তর গবেষণার ফলে উদ্ভাবিত উন্নত বীজ কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে। ভালো ফসল উৎপাদনের জন্য উন্নত বীজের প্রয়োজন। বিজ্ঞানিরাই উন্নত জাতের বীজ ব্যবহারে কৃষকদের পরামর্শ প্রদানের কারণে খাদ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই ফসলি জমি কমে গেলেও বর্ধিত জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা পূরণ হচ্ছে। তিনি গতকাল শুক্রবার (২৯ মার্চ) আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র হাটহাজারীতে সবজির মান সম্পন্ন বীজ উৎপাদন কলাকৌশল শীর্ষক এক কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উল্লেখিত অভিমত ব্যাক্ত করেন। আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র হাটহাজারীর উদ্যান তথ্য সেমিনার কক্ষে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আমিন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো: আব্দুল মালেক, উপ-পরিচালক মো: খসরু মিয়া ও হাটহাজারী কৃষি ইন্সিষ্টিটিউটের অধ্যক্ষ তজ্জাফল হোসেন। এ সময় প্রশিক্ষণে ৬০ জন কৃষক-কিষানী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। পরিদর্শন কালে কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মনোরঞ্জণ ধর বারি লাউ-২ জাতের বৈশিষ্ট ও উন্নত চাষ কৌশল বর্ণনা করেন এবং কৃষক-কিষাণীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। মাঠ পরিদর্শন শেষে কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আমীন উচ্চ ফলনশীল এই জাতের লাউ এর চাষাবাদ বৃদ্ধিতে আগ্রহী কৃষকদের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রদান ও এই জাতের বীজ কেন্দ্র থেকে সরবরহের আশ্বাস প্রদান করেন। উক্ত প্রশিক্ষণে উপস্থি কৃষকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মাষ্টার ওমর চৌধুরী ও মো: সিরাজ উদ্দিন। শুরুতে কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন মাওলানা মো: নুরুল হক।
Discussion about this post