মশার উৎপাতে আত্বচিৎকার ঝামেলার অবসান ঘটাতে এবার নতুন মাত্রা যোগ করেছেন বিশ্ব শান্তি পুরস্কার প্রাপ্ত মানব তথা ক্ষুদ্র ঋণের বাস্তবায়ক ডঃ মুহম্মাদ ইউনুস। তিনি প্রথমবারের মতো দেশে ‘আশ্চর্য মশারি’ উৎপাদন ও বাজারজাত করার ঘোষণা দিয়েছেন। এটি বিএএসএফ গ্রামীণের সামাজিক ব্যবসায়ের প্রথম প্রকল্প। গ্রামীণ লিমিটেডের গ্রামীণ হেলথকেয়ার ট্রাস্ট অব বাংলাদেশ এবং বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় রাসায়নিক দ্রব্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান জার্মানির বিএএসএফের একটি অংশীদারিমূলক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বিএএসএফ গ্রামীণ। তিনি এমনই এক মশারি উৎপাদন ও বাজারজাত করতে যাচ্ছেন যাতে ঐ মশারিতে মশা বসলেই মশার নির্ঘাত মৃত্যু নিশ্চিত হবে। এমনকি যে ঘরে এ মশারি থাকবে, সেখানে পারতপক্ষে মশা কম ঢুকবে। এ মশারি সব ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া রোগের জীবাণু বহনকারী মশক নিধনেও সক্ষম। এটি ব্যবহারে বিছানার ছারপোকা পর্যন্ত মারা যাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সনদপ্রাপ্ত প্রযুক্তির এ মশারি মানবদেহের জন্য কোনো ক্ষতির কারণ হবে না। এটির উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের দায়িত্বে আছে গ্রামীণ ফেব্রিক্স অ্যান্ড ফ্যাশনস লিমিটেড। আশ্চর্য মশারিটি বহুবার অর্থাৎ ২০ বার ধোয়ার পরও এর কার্যকারিতা সক্রিয় থাকবে। বড় একটি মশারির দাম পড়বে প্রায় ৬৫০ টাকা। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, দুটি ইউনিটের মধ্যে স্বল্প পরিসরে একটি ইউনিট চালু হয়েছে। পুরোপুরি চালু না হওয়ায় এখন দেশি বাজার থেকে মশারির কাপড় কিনে প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে। এ বছরের মধ্যেই পুরোদমে কারখানা চালু হবে। এ ছাড়া বিএএসএফের অনুমোদন পেলে আগামী বছরই রপ্তানির জন্য দ্বিতীয় ইউনিট চালু করা হবে।
Discussion about this post