আবু সাদেক রিপন, কুয়েতঃ কুয়েতের হানিফ ও দেশে তার সহযোগী মোতালেব বিরুদ্ধে ২ বছর পর সাইফুল ইসলাম ফারুকের বাবা ফয়েজ আহম্মদ বাদী হয়ে প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। সোমবার ১৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম অতি: চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল্লাহ কায়সার এর আদালতে এ মামলা করেন। সি.আর.মামলা নং ১১/১৭ ধারা ৪০৬/৪২০/৫০৬ দন্ডবিধি। অতি:চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পিবিআই কে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন। মামলার বাদীর পক্ষে সর্বাত্বক সহযোগিতা করেন এডভোকেট অভিজিৎ ঘোষ ও শিক্ষানবীশ আইনজীবী মামুন উদ্দিন। কুয়েত জেলে আটক সাইফুল ইসলাম ফারুকের ভাই জানান, এবিষয়ে জোরারগঞ্জ থানা যোগাযোগ করলে তারা মামলা নিতে রাজি হয়নি। থানা মামলা করতে ব্যর্থ হয়ে কোর্টে মামলা করেন। মামলার দুই আসামীরা হলেন চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের করেরহাট ইউনিয়নের (৫ নং ওয়ার্ডের) দক্ষিন অলিনগরের সুলতান আহম্মদের পুত্র হানিফ ও তার খালাতো ভাই বারইয়ারহাট পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের নুর আহম্মদের পুত্র মোতালেব। প্রসঙ্গ গত ২০১৫ সালের ২০ মার্চ শুক্রবার বাড়ি থেকে কুয়েতে উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার ৩০ মিনিটি পূর্বে হানিফের এক খালাতো ভাই মোতালেব গরুর মাংস নিয়ে আসে হানিফকে দেয়ার জন্য। প্যাকেটে মাংসের গন্ধ দেখে পাশবর্তী এলাকার লোক তাই সরল মনে চেক না করে ব্যাগে রাখে। কে জানতো মাংসের চালানির বদলে ১ কেজি গাঁজা দিয়ে সাইফুল ইসলাম ফারুকের জীবনকে এভাবে এলোমেলো করে দিবে। বাংলাদেশে ইমিগ্রেশনে ধরা না পড়লেও কুয়েত ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে তল্লাশি করতে ধরা পড়ে ১ কেজি গাঁজা। মাদক মামলায় ফারুক কুয়েতের সেন্টার জেলে পাঠানো হয়েছে। তার দুই মাস পর হানিফ কে মাদক ও চুরির মামলায় আটক করে কুয়েত পুলিশ সেখান থেকে কয়েক মাস জেল খেটে টাকার মাধ্যমে ওয়াস্তা দিয়ে দেশে চলে আসে। বর্তমানে সে এলাকায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে। কুয়েতে আদালতে বিচারাধীন মামলার আইনজীবি তালাল অ্যানাজি বলেন, হানিফ দেশে চলে যাওয়ার কারণে মামলার জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে যার ফলে সাইফুল ইসলাম ফারুক কে বাহির করা যাবে তবে সময় লাগবে এবং অনেক টাকা পয়সার ব্যাপার। বর্তমানে সাইফুল ইসলাম ফারুক প্রায় ২ বছর যাবৎ কুয়েত সোলাবিয়া খাত সেন্ট্রাল জেলে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।
Discussion about this post