এম.আমজাদ চৌধুরী রুনু কুয়ালালামপুর : রোববার মালয়েশিয়া আওয়ামীলীগের উদ্যোগে রক্তাক্ত ৩ নভেম্বর, ৩৮তম জেলহত্যা দিবষের আলোচনা সভা দোয়া অনুষ্টিত হয়। মালয়েশিয়া আওয়ামীলীগের উদ্যোগে হোটেল সাঈদ বিস্টো হোটেলের হলরুমে মালয়েশিয়া আ’মীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মকবুল হোসেন মুকুলের সভাপতিত্বে যুগ্ন-সম্পাদক হুমায়ন করীর ও প্রচার সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন জোসেফের যৌথ সঞ্চালনায় মোঃ মাহতাব খন্দকারের পবিত্র কোরান তেলায়াত ও দোয়ার মধ্যে দিয়ে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়া আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযুদ্ধা শওকত হোসেন পান্না ।
প্রধান অতিথি বক্তিতায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত হোসেন পান্না বলেন বাংলাদেশ যখন উন্নত বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ক্রমাগত উন্নয়ন হচ্ছে তখন ১৮দলীয় জোট সে উন্নয়ন নসাৎ করার জন্য ও যুদ্ধাঅপরাধীদের বাচানোর জন্য দেশে আজ একটার পর একটা অহেতুক হরতাল দিচ্ছে যাহাকিনা আমাদেও দেশের সাধারণ জনগনের দৃর্ভোক ভয়ে আনে , আজকে অত্যন্ত দুৎখের বিষয় তারা জেএসসি-জেডিসির পরিহ্মার কথা ও চিন্তা করলনা তারা কেমন দেশ প্রেমিক, জাতীয় চার নেতার স্মৃতি উল্লেক করে প্রধান অতিথি বলেন একটা শিশুর যেমন সবচেয়ে নিরাপদ স্থান মায়ের কোল তেমনি একজন কয়েদির নিরাপদ স্থান হল জেল , আজ ৩রা নভেম্বর ১৯৭৫ সালের এদিনে জাতীয় চার নেতা কে দৃষ্ট্রত কারীরা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ভিতওে ডোকে নির্মম ভাবে হত্যাকরে, পরবর্তীতে স্বৈরাচার জিয়া সরকার তাদের কে বিভিন্ন দেশের রাষ্টদূত হিসেবে নিয়োগ দান করেন, আমরা প্রবাস থেকে তৎকালীন এ স্বৈরশাসক জিয়া কে ধিক্কার জানাই , আমরা প্রবাস থেকে অনতিঅভিলম্বে জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচারের রায় কার্যকর করার জন্য সরকারের প্রতি উদার্থ আহবান জানাচ্ছি এবং পরিশেষে আমি বিরোধীদলের উদ্দেসে বলতে চাই আপনারা এখন বলেন শেখ হাসিনা অধিনে নির্বাচন সুস্থ ও নিরেপেহ্ম হবেনা তাহলে পাচ পাচঁটি সিটি নির্বাচন কেমন ভাবে আপনারা বিজয়ী হলেন সে নির্বাচন নিরপেহ্ম হলে এখন কেন হবেনা চলচাতুরী ছেড়ে সোজা রাস্তায় আসুন তাই এখন বলছি আমাদের জননেএী ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার অধিনেই নির্বাচন হবে সে নির্বাচনে আপনাদের অংশ নিতে হবে ।
বক্তব্য রাখেন মালয়েশিয়া আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাসেদ বাদল, যুগ্ন-সম্পাদক মাহতাব খন্দকার, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন সর্দার, তথ্য ও গভেষনা সম্পাদক এম.আমজাদ চৌধুরী রুনু, সহ-প্রচার সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সিরাজ, আ’লীগ নেতা আনসার আলী, যুবলীগ নেতা আবু হানিফ, যুবলীগ নেতা মনসুর আল বাসার সোহেল, যুবলীগ নেতা বিজন মজুমদার, যুবলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম জহির, যুবলীগ নেতা শেখ কাইয়ুম, যুবলীগ নেতা রেজাউল হক লায়ন, ছাএলীগ নেতা জাকির হোসেন প্রমূহ ।
দোয়া ও আলোচনা সভায় বক্তারা জাতীয় চাঁর নেতার জীবনি নিয়ে আলোচনা করেন ।৩রা নভেম্বর ১৯৭৫ সালের এই দিনে ভোর রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিহত হন মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী বাংলাদেশের প্রথম অস্হায়ী রাস্ট্রপ্রতি স্য়ৈদ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রী সভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জমান।
কারাগারে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্হায় এই ধরনের বর্বরোচিত হত্যাকান্ড পৃথীবির ইতিহাসে দ্বিতীয়টি আছে কিনা সন্দেহ। ৭৫’র ১৫ই আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মাধ্যমে আওয়ামীলীগ সরকারকে উৎখাতকারীদের ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর এই চার জাতীয় নেতাকে জেলের অন্ধ প্রকষ্টে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব শুন্য করার যে প্রয়াস ৭১’ পরাজিত শক্তি এবং দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা নিয়েছিল তার ফল আজকের এই বাংলাদেশ।
উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়া আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল করীম, শ্রমিক লীগ সভাপতি হাজ্বী লিটন আজিজ দেওয়ান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হোসেন সেরডাং শাখা আ’মীলীগের সহ-সভাপতি আবুল কাসেম, যুগ্ন-সম্পাদক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক মিয়া প্রমূহ ।
Discussion about this post