প্রতিবছর ৮ মার্চ বিশ্বজুড়ে পালিত হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস। `Think Equal, Build Smart, Innovate fo Change’- প্রতিপাদ্য সামনে রেখে পালিত হচ্ছে বিশ্ব নারী দিবস-২০১৯। অর্থাৎ এই বছর নারী দিবসে জেন্ডার ব্যালেন্স বা লিঙ্গ ভারসাম্য তৈরির ওপরই জোর দেওয়া হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন অঞ্চলে নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা, তাঁদের কাজের প্রশংসা এবং ভালোবাসা প্রকাশ করে নারীদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সাফল্য অর্জনের উৎসব হিসেবেই পালন করা হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস।
১৯০৯ সালের ২৮ ফেব্রয়ারি আমেরিকায় প্রথম আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়। ১৯০৮ সালে বস্ত্রশমিকরা নিউইয়র্কে তাঁদের কাজের সম্মান আদায়ের লক্ষ্যে ধর্মঘট শুরু করে। নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী কাজ আর সমমানের বেতনের দাবিতে চলে হরতাল। প্রথমবার নিউইয়র্ক শহরে ১৯০৯ সালে একটি সমাজতান্ত্রিক রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে নারী দিবস পালন করা হয়। ১৯১০ সালে কোপেনহেগেনের উদ্যোগের পর, ১৯ মার্চ অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি এবং সুইজারল্যান্ডে প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক নারী দিবস চিহ্নিত হয়েছিল। নারীর কাজের অধিকার, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ এবং কাজের বৈষম্যের অবসান দাবি করে জমায়েত হয় লক্ষাধিক মানুষ।
একই সঙ্গে রাশিয়ান নারীরাও প্রথমবার ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘রুটি ও শান্তির দাবিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বিরোধিতা করেন।
Discussion about this post