মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল প্রতিনিধি:যশোরের শার্শা উপজেলার মহিষাপীর আব্দুস ছোবহান আলীম মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুস সালাম এর স্ত্রী নিয়োগ পরীক্ষায় ফেল করার কারনে তিনি পিস্তল ঠেকিয়ে পরীক্ষার চূড়ান্ত শিটে সই নেয়ার মিথ্যা অভিযোগটি করেছিলেন।
অভিযোগকারী মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুস সালাম বলেন, আমার স্ত্রী ফেল করার কারনে আমি মানসিক ভাবে দুশ্চিন্তা ছিলাম যার কারনে আমি শুধু মাত্র মাদ্রাসার পিন্সিপাল এর বিরুদ্ধে পিস্তল ঠেকিয়ে সই নেয়ার মিথ্যা অভিযোগটি এনেছিলাম। এদিকে মাদ্রাসার সভাপতি’র মিথ্যা অভিযোগকে পুঁজি করে কিছু স্বার্থন্বেষী মহল স্থানীয় চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ টিংকু’র বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপ-প্রচার চালানো হয়।
মাদ্রসার পিন্সিপাল সাইফুর রহমান আজমী বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে আমি মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি’র সভাপতি বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে পরীক্ষার চূড়ান্ত শিটে সই নিয়েছি এটা মিথ্যা এবং বানোয়াট কথা তার স্ত্রী পরীক্ষায় ফেল করার কারনে তিনি ক্ষোপে আমার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। পরীক্ষা হয়েছে যশোরে কোন চায়ের দোকান অথবা বাগানে হয়নি। এই নিয়োগে কোন অর্থের লেনদেন হয়নি এবং কেউ কোন অভিযোগ করেনি।
মাদ্রাসার হিসাব রক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়া হযরত আলী বলেন, এই প্রতিষ্ঠানে যে নিয়োগ হয়েছে এখানে কোন অর্থ বানিজ্য হয়নি। আমরা স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগ পেয়েছি। আমাদের চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে যে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এটা সম্পুর্ন মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।
মাদ্রার নিয়োগপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ বলেন, গত ১০ তারিখে আমি যশোর মাদ্রাসা বোর্ডে স্বচ্ছতার সাথে পরীক্ষা দিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করি এবং নিয়োগ প্রাপ্তি হই।আমি কোন ব্যক্তির সাথে অর্থ লেনদেন করেনি।নিজের যোগ্যতায় আমি নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ন হই।
এবিষয়ে কায়বা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে সেটি সম্পুর্ন মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। অভিযোগকারী সভাপতি নিজেই নিয়োগদান করেছেন। নিয়োগের ব্যাপারে আমার কোন হাত নেই। এটা সভাপতিসহ ম্যানেজিং কমিটি’র কাজ।কিন্তু সামনে ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে আমার জনপ্রিয়তায় ঈশ্বানিত হয়ে পরাজিত শক্তি ও কিছু কুচক্রী মহল নানা ষড়যন্ত্র করে আমার জনপ্রিয়তাকে ধস নামানোর চেষ্টা করছে ।আসলে কখনো এই জনপ্রিয়তায় কখনো ধস নামাতে পারবেনা। কারন আমি সৎ এবং ন্যায়ের পথে আছি। আর এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইনে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে অপপ্রচার করেছে। তিনি এমন সংবাদের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে এ ধরণের মিথ্যা, ভুয়া ও কাল্পনিক সংবাদের কোন সত্যতা ও ভিত্তি নেই বলে তিনি জানান।
Discussion about this post