মোশাররফ হেসেন শুভ, ময়মনসিংহ থেকে ॥ শিক্ষানীতি ২০১০ দ্রুত বাস্তবায়নসহ ১৭দফা দাবী আদায়ের লক্ষে ময়মনসিংহ শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের উদ্দোগে গতকাল সকাল ১১টায় ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচী পালিত হয়। শিক্ষা জাতীয় করন ও জাতীয় শিক্ষা নীতি বাস্তবায়ন সহ ১৭ দাবী আদালয়ের লক্ষে সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসুচীতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি মো: আবু বকর সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ময়মনসিংহ অঞ্চলের সাধারন সম্পাদক দুকুল চন্দ্র দেব, ময়মনসিংহ শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মো: চাঁন মিঞা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: মোতাহার হোসেন, ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সভাপতি জাফর আহমেদ চৌধুরী, সম্পাদক মো: আনোয়ার হোসেন, ভালুকা শাখার সভাপতি মো: আ: রশিদ, ফুলপুর শাখার সভাপতি মো: মইনুল হক, ঈশ্বরগঞ্জ শাখার সভাপতি ক্ষমা রানী সরকার, গৌরীপুর শাখার সম্পাদক মো: আজিজুল হক, ফুলবাড়ীয়া শাখার সভাপতি মো: আ: হাই, সভাপতি মো: আ: মতিন, হালুয়াঘাট শাখার সভাপতি মো: আমজাদ আলী, সম্পাদক মো: বজলুর রহমান, মুক্তাগাছা শাখার সম্পাদক মো: জিয়াউল হক, আঞ্চলিক নেত্রী মনিরা বেগম প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন শিক্ষক নেতা মো: গোলাম হক। সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচীতে জেলার সকল স্কুল ও কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয় করনের লক্ষে শিক্ষানীতি ২০১০ দ্রুত বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। সরকারী ও বেসরকারী বৈসম্য করার লক্ষে সরকারী শিক্ষক কর্মচারীদের সমপরিমান বার্ষিক ইক্রিমেন্ট, বাড়ী ভাড়া, উৎসব ভাতা, মেডিকেল ভাতা প্রদান করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকদের অনুরুপ শিক্ষকদের চাকুরী বয়স ৬৫ বছর উন্নীত করা এবং ডিগ্রী কলেজ শিক্ষকদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসাবে স্বীকৃতিদান, বেসরকারী কলেজ øাতক ( সম্মান) ও øাতোকত্তর শ্রেনীর জন্য নিযোক্ত শিক্ষকদের এমপিও ভুক্ত করতে হবে। জনবল কাঠামো ২০১০ অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে। শিক্ষার মান উন্নয়ন ও শিক্ষা প্রসারে শিক্ষা বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশ সমুহ অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে। তারা আরো বলেন, কলেজ শিক্ষকদের সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে অনুপাত প্রথা বাতিল, ০৪.০২.২০১০ তারিখ সরকার ঘোষিত সহযোগী অধ্যাপক পদ অবিলম্বে চালু এবং অধ্যাপক পদ প্রবর্তন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ২টি স্টাইমস্কেল প্রদান করতে হবে। বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুন্য ও সৃষ্ট পদে নিয়োগ প্রাপ্তিদের অবিলম্বে এমপিও ভুক্ত করতে হবে এবং বিভিন্ন পদে বিধি মোতাবেক স্টাইমস্কেল প্রাপ্তিদের অবিলম্বে স্টাইমস্কেল প্রদান ও সহকারী অধ্যাপক পদে প্রদোন্নতি যোগ্যদের সক্রিয়ভাবে প্রদোন্নতি করহে হবে। শুন্য পদে নিয়োগ প্রাপ্ত ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বেতন বন্ধ করা বা কমদেয়া যাবে না। সহকারী প্রধান শিক্ষকদের ১২ হাজার টাকার স্কেল বন্ধ করা যাবেনা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীদের জন্য চাকুরী বিধি চালু এবং কমপক্ষে ২টি স্টাইমস্কেল প্রদান করতে হবে। সরকারী ও বেসরকারী নির্বিশেষে শিক্ষক -কর্মচারীদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রদান করতে হবে। বেকরকারী কারিগরী কলেজ( বি এম ভোকশনাল) এবং এস এস সি (ভোকেশনাল) প্রত্যেক কোর্সের বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক, আয়া ও নাইট গাইট নিযোগের ব্যবস্থা গ্রহন এবং সতন্ত্র কারীগরি কলেজ সমুহের ট্রেড এক সাথে এমপিও ভুক্ত করতে হবে। বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারী নিযোগের জন্য অবিলম্বে পৃথক একটি শিক্ষা সার্ভিস কমিশন গঠন ও সতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৭৩ সালে অধ্যাদেশ চালু করা এবং অধ্যাদেশ আইন আরো গনতান্তিক করার উদ্দোগ গ্রহন। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যলয়ে সরকারী নীতিমালা যথাযত ভাবে কার্যকর করতে হবে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাইব্রেরীর জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে বই পুস্তক শিক্ষা উপকরন, গভেষনার সরঞ্জামাধী, অর্থ বরাদ্ব ও সরর্বরাহ করা । লাইব্রেরিয়ান হিসাবে নিয়োগ প্রাপ্তদের এমপিও ভুক্তকরন এবং পরবর্তীতে শিক্ষক প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। একাডেমিক সীকৃতি প্রাপ্ত সকল প্রতিষ্ঠানকে অবিলম্ভে এমপিও ভুক্ত করতে হবে। বেসরকারী কারিগরী কলেজ (বিএম ভকেশনাল) অধ্যক্ষদের বেতন স্কেল প্রদান করতে হবে। বেসরকারী কারিগরী কলেজ সহকারী লাইব্রেরিয়ান এর পদ পুনরায় চালু করতে হবে। পাহাড়ী এলাকায় কর্মরত সকল শিক্ষক কর্মচারীদের সরকারী শিক্ষক কর্মচারীদেও ন্যায় ৩০% পাহাড়ী ভাতা প্রদান করতে হবে। ২০০৯-২০১২ অর্থ বছরের ১৬২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাদ পড়া ১৪৪১ জন প্যাটার্নভুক্ত শিক্ষককে এমপিও ভুক্ত করতে হবে।
জমে উঠেছে ময়মনসিংহ জেলা মটরযান কর্মচারী ইউনিয়নের নির্বাচনী প্রচারনা ॥ ১০টি পদে ৩৬ জন প্রার্থীর প্রতিদন্দিতা
নাজমুল হুদা মানিক ॥ আগামী ১৮ মে ময়মনসিংহ জেলা মটরযান কর্মচারী ইউনিয়নের নির্বাচন। ত্রি-বার্ষিক সাধারন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শ্রমিক কর্মচারীদের মাঝে বইছে নির্বাচনী আমেজ। ময়মনসিংহ জেলা মটরযান কর্মচারী ইউনিয়নের অফিস বড় বাজার এলাকায় সকল প্রার্থীরা চালিয়েছে নির্বাচনী প্রচারনা । বড় বাজার শ্রমিক ইউনিয়ন অফিস, উপজেলা ও বিভিন্ন শাখা অফিসে পিছিয়ে নেই নির্বাচনী প্রচারনা। নির্বাচন আমেজে মুখরিত বড় বাজার এলাকা। ১০টি পদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রতিদন্দিতা করছেন ৩৬ জন প্রার্থী। ময়মনসিংহ জেলা মটরযান কর্মচারী ইউনিয়নের নির্বাচনে ভোটার হয়েছেন ৬ হাজার ৫ শত ৩৯ জন। তাদের মাঝে ৫ হাজার ৮৬ জন ড্রাইভার ও ১ হাজার ৪ শত ৫৩ জন সহকারী ড্রাইভার রয়েছেন। নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন সাবেক সভাপতি মো: আ: ছালাম (প্রতিক-হারিকেন) ও মো: নজরুল ইসলাম (প্রতিক- মটর গাড়ীর টায়ার), কার্যকরী সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন মো: আবুল হাশেম (প্রতিক-প্রজাপ্রতি), মো: কামাল হোসেন (প্রতিক- মোরগ), মো: তোরাব আলী (প্রতিক- কুলা), মো: মোজাম্মেল হক মানিক (প্রতিক- গরুর গাড়ী), সহ-সভাপতি পদে মো: আ: গফুর (প্রতিক- কলস), মো: নজরুল ইসলাম নান্নু (প্রতিক- দাড়িপাল্লা), মো: মাসুম অলী (প্রতিক- বটগাছ), মো: জসিম উদ্দিন (প্রতিক- মোমবাতি), মো: হেলাল উদ্দিন (প্রতিক- মাছ), সাধারন সম্পাদক পদে মো: আলমগীর হোসেন (প্রতিক- দেয়ালঘড়ি), মো: আ: বারেক (প্রতিক – ছাতা), মো: আইয়ুব আলী (প্রতিক- সাইকেল), মো: রফিকুল ইসলাম (প্রতিক- আনারস), যুগ্ন-সম্পাদক পদে মো: আ: রহমান (প্রতিক- কুড়ে ঘর), মো: মজিবর রহমান (প্রতিক- মই), মো: সানোয়ার হোসেন (প্রতিক- পতাকা), সহ-সম্পাদক পদে মো: কামরুজ্জামান বেলা (প্রতিক- আম), মো: তফাজ্জল হোসেন (প্রতিক- ময়ুর), মো: রমজান আলী (প্রতিক- তালা চাবি), মো: রতন মিয়া (প্রতিক- টেলিভিশন), মো: সাজ্জাত হোসেন (প্রতিক- হরিন), সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো: আ: মান্নান (প্রতিক- হুক্কা), মো: ইখতিয়ার উদ্দিন (প্রতিক- টিয়াপাখি), এ বি এম জিয়া উদ্দিন বাশার (প্রতিক- মটরগাড়ী), শ্রী বিকাশ চন্দ্র ঘোষ (প্রতিক- ফুটবল), প্রচার সম্পাদক পদে মো: আলী হোসেন (প্রতিক- চশমা), মো: আবু সাইদ (প্রতিক- হাতপাখা), নুর মোহাম্মদ খান (প্রতিক- তলোয়ার), কোষাদক্ষ পদে মো: আ: কাদির (প্রতিক- মশাল), মো: মোজাম্মেল হক গোলাপ (প্রতিক- হাতুরী), মো: সিরাজুল ইসলাম (টেবিল), দপ্তর সম্পাদক পদে মো: আ: মান্নান (প্রতিক- ডাব), মো: কাজল মিয়া (প্রতিক- ঢোলক), মো: নুরুল ইসলাম (প্রতিক- হাঁস)। বড় বাজার অফিস সহ সকল অফিসে প্রচারনা চালাচ্ছেন ময়মনসিংহ জেলা মটরযান কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মো: আ: ছালাম। পিছিয়ে নেই বর্তমান সভাপতি প্রার্থী মো: নজরুল ইসলাম। প্রচারনার তুঙ্গে রয়েছেন তিনি। জোরে সোরে প্রচার চালাচ্ছেন দুই বারের সাবেক সাধারন সম্পাদক মো: নজরুল ইসলাম ও তাঁর সমর্থকরা। সভাপতি প্রার্থী মো: নজরুল ইসলাম জানান, আমার পক্ষে যে গন জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে এটি আমার একার নয়, শ্রমিক সমাজের। বিগত দিনে শ্রমিকদের উপর যে অত্যাচর – নির্যাতন হয়েছে। এটিই তার ফসল। সভাপতি প্রার্থী নজরুল ইসলামের পক্ষে শত শত শ্রমিক মটর গাড়ীর টায়ার প্রতিকের পক্ষে কাজ করছে বলেও জানান। এছাড়া সাধারন সম্পাদক প্রার্থী মো: রফিকুল ইসলামের আনারস প্রতিকের পক্ষে শ্রমিকরা গন জোয়ার সৃষ্টি করেছে বলে জানা গেছে। তারা আনারস প্রতিকের পক্ষে ভোট প্রত্যাশা করেছেন।
Discussion about this post