কুয়েতে মোট শ্রমবাজারের অর্ধেকই নিয়ন্ত্রণ করে ভারতীয় ও মিশরীয়রা, বাংলাদেশ রয়েছে চতুর্থ স্থানে। শ্রমবাজার বৃদ্ধি করতে অদক্ষের পাশাপাশি বেশি করে দক্ষ জনশক্তি রফতানি করা প্রয়োজন বলে মনে করেন প্রবাসীরা
কুয়েতে কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান বিভাগ দ্বারা জারি করা পরিসংখ্যান অনুসারে, ভারতীয় এবং মিশরীয় প্রবাসীরা কুয়েতের শ্রম বাজারের অর্ধেক নিয়ন্ত্রণ করে, যেখানে স্থানীয় নাগরিকরা তাদের নিজ দেশে রয়েছে তৃতীয় স্থানে। এমন তথ্য প্রকাশ করেছে স্থানীয়গণ মাধ্যম। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা পরিসংখ্যাটিতে বলা হয়েছে দেশটিতে স্থানীয় নাগরিক ও প্রবাসীরা সরকারি এবং বেসরকারী খাতে মোট ১৯৭৭০১৯ জন কর্মী বিভিন্ন পেশায় কর্মরত আছে। যার মধ্যে ৪৭৬৩৩৫ জন ভারতীয় মোট শ্রমবাজারের ২৪.১% এবং ৪৬৭০৭৪ জন মিশরীয় মোট শ্রমবাজারের ২৩.৬% শতাংশ দখল করে আছে। মোট ৪৩৮৮০৩ জন বা ২২.২% শ্রমবাজারের কুয়েতিরা নিজ দেশে শ্রমবাজারের তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
দেশটির জনসংখ্যা এবং শ্রম বাজার সূচক সর্বশেষ তথ্য মতে কুয়েতে বর্তমানে প্রায় আড়াই লাখের মত বাংলাদেশি আছে। এর মধ্যে সরকারি ও বেসরকারী খাতে কর্মরত আছেন বাংলাদেশের মোট ১৫৮৯১১জন প্রবাসী কর্মী । উভয় খাতে শ্রম বাজারের শতকরা হিসেবে সরকারি খাতের ২শতাংশ এবং বেসরকারী খাতের ১১শতাংশ নিয়ে শ্রম বাজারের চতুর্থ স্থানে বাংলাদেশ। এছাড়াও ৫ম স্থানে পাকিস্থান, ৬ষ্ঠ স্থানে ফিলিপাইন, ৭ম সিরিয়া, অষ্টম নেপাল, ৯ম জর্ডান, ১০ম স্থানে লেবানন। দেশটিতে বর্তমানে মোট ৮৬৩০৮৯ জন ভারতীয় ও ৬১০৮৬০ জন মিশরীয় রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে বেশি করে দক্ষ জনশক্তি আসলে তারা কুয়েতিদের সাথে কাজ করলে বাংলাদেশের ভাল দিক গুলি তুলে ধরলে কুয়েতে দেশের সুনাম বৃদ্ধি সহ শ্রমবাজারেও প্রভাব বিস্তার করা যাবে বলে মনে করেন অনেকে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মত বাংলাদেশী কর্মীদেরও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে কুয়েতে। কিন্তু চাহিদা মতো দক্ষ কর্মী পাচ্ছে না । কুয়েতে বর্তমানে অনেক প্রবাসী আছেন যারা এক সময় অদক্ষ শ্রমিক হিসেবে কুয়েতে এসে আজ নিজ মেধায় প্রতিষ্ঠিত। অনেক প্রবাসী মনে করেন দক্ষ জনশক্তির পাশাপাশি অদক্ষ জনশক্তির দিকেও নজর রাখতে হবে।
পোশাক খাতের পরপরই দেশের জিডিপিতে সবচেয়ে বেশি অবদান রেমিটেন্স যোদ্ধাদের। বিদেশে শ্রমবাজারের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে প্রয়োজন দক্ষ জনশক্তি যা দেশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান রেমিট্যান্স আয় অব্যাহত রাখতে বিদেশে কর্মরত দক্ষ প্রবাসীদের কাজে লাগানো সহ নতুন অদক্ষ এবং অপ্রশিক্ষিত শ্রমিক পেরণ অব্যাহত রাখতে হবে বলে মনে করেন বিজ্ঞ প্রবাসীরা।
Discussion about this post