কসবা উপজেলার মনিচং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক রিতা ইসলাম (৩৩) সিএনজি যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্বামীর বাসায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। জানা যায়, গত শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা সিলেট মহাসড়কের উরশিউড়া নামক স্থানে সিএনজি ও দিগন্ত বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে শিক্ষক রিতা ইসলাম গুরুতর আহত হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়। সাথে থাকা তার একমাত্র মেয়ে তাজরিয়ান পারভীন (৩) গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে শিক্ষক রিতা ইসলামের লাশ দেখতে সহকর্মীগণ তার বাবার বাড়ি কসবা পৌর সদরের শীতলপাড়ায় ভীড় করছে। অসুস্থ্য পিতা মো.তাজুল ইসলাম মুতি মিয়া বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন। উল্লেখ্য রিতা ইসলামের স্বামী আবদুল হাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্র্যাক ব্যাংক কর্মকর্তা। দৈনিক ভোরের কাগজ’র প্রতিনিধি ও কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি মো.সোলেমান খানের ভাগ্নী। আরোও উল্লেখ্য থাকে যে, নিহত শিক্ষক রিতা ইসলামের কসবাস্থ শীতলপাড়ার বাসায় গত ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ইং বুধবার লিমা আক্তার (১৪) নামে এক কাজের মেয়ে রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছিল। ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া উপজেলার
ঘোষগাঁও ইউনিয়নের গানই গ্রামের সোহরাব হোসেনের মেয়ে লিমা। কাজের মেয়ে লিমার মৃত্যুর তিন মাস ১৬ দিন পর রিতা ইসলাম (৩৩) সিএনজি যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্বামীর বাসায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন।
Discussion about this post