সর্বজনীন পেনশন চালু হচ্ছে এর সুযোগ পাবেন প্রবাসীরাও। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেটে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি চালুর প্রস্তাবে প্রবাসীরাও পাবেন পেনশন, শুধু তাই নয় প্রবাসীদের ক্ষেত্রে চাঁদার বিপরিতে ২.৫% হারে প্রণোদনা যুক্ত হবে। অর্থাৎ কোনো প্রবাসী যদি ৫,০০০ টাকার স্কিমে যোগ দেন, তাহলে তার প্রকৃত চাঁদা জমা হবে ৪,৮৭৫ টাকা।
সর্বজনীন পেনশন চালু করতে যাচ্ছে সরকার। প্রাথমিকভাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় প্রবাসী বাংলাদেশি সহ চারটি শ্রেণিকে যুক্ত করা হচ্ছে। অন্যরা হলেন বেসরকারিখাতের চাকরিজীবী, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কর্মী এবং অস্বচ্ছল ব্যক্তিসমূহ। আগামী অর্থবছরেই এর কার্যক্রম চালু হবার কথা রয়েছে। প্রবাসীরা দীর্ঘদিন থেকে পেনশনের দাবি করে আসছিল। এতে আনন্দিত প্রবাসীরা।
সর্বজনীন পেনশনের চাঁদার হার জনপ্রতি মাসিক সর্বনিম্ন ১,০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫,০০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অস্বচ্ছল হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তির জন্য মাসিক চাঁদার হার নির্ধারণ করা হয়েছে ১,০০০ টাকা। তবে অস্বচ্ছলদের জমা দিতে হবে ৫০০ টাকা, বাকি ৫০০ টাকা সরকার থেকে ভর্তুকি দেওয়া হবে। অন্যদিকে
প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য মাসিক চাঁদার সর্বনিম্ন হার ৫,০০০ টাকা, এছাড়া, ৭,৫০০ টাকা এবং ১০,০০০ টাকার আরো দু’টি স্কিমও থাকবে প্রবাসীদের জন্য। তবে প্রবাসীদের বিদেশি মুদ্রায় এই চাঁদা দিতে হবে। চাঁদার বিপরিতে প্রবাসীরা ২.৫% প্রণোদনাও পাবেন অর্থাৎ কোনো প্রবাসী যদি ৫,০০০ টাকার স্কিমে যোগ দেন, তাহলে তার প্রকৃত চাঁদা জমা হবে ৪,৮৭৫ টাকা।
এই প্রস্তাবিত কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হলে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী একজন সুবিধাভোগী ৬০ বছর পর্যন্ত এবং ৫০ বছরের বেশি বয়স পর্যন্ত একজন সুবিধাভোগী ন্যূনতম ১০ বছর পর্যন্ত চাঁদা দিলে আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। আর পেনশনে থাকাকালে ৭৫ বছরের আগে কেউ মারা গেলে তাঁর নমিনি বাকি সময়ের পেনশন পাবেন। এ ছাড়া চাঁদা দেওয়ার ১০ বছরের মধ্যে কেউ মারা গেলে জমাকৃত টাকা মুনাফাসহ নমিনিকে ফেরত দেওয়া হবে। যে সব প্রবাসী দীর্ঘ সময় প্রবাস জীবনের ইতি টেনে দেশে চলে গেছেন তাদের দিকটিও দেখার অনুরোধ করেন প্রবাসীরা।
Discussion about this post