মোবারক বিশ্বাস ঃ পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সদস্য, বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিষ্ট, কবি মতিয়ুর রহমান বাচ্চুর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা গতকাল প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ক্লাবের ভিআইপি অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
ক্লাব সভাপতি অধাপক শিবজিত নাগ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় স্বাগত বক্তব্য দেন প্রেসক্লাব সম্পাদক আহমেদ উল হক রানা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রবীণ সাংবাদিক ও কলামিষ্ট রণেশ মৈত্র, অধ্যক্ষ মুহম্মদ নুরুন্নবী , উপাধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেন জাহেদী, সতীর্থ মোঃ হামিদুল ইসলাম, সরকারী এডওয়ার্ড কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহনেওয়াজ সালাম, প্রয়াত মতিয়ুর রহমান বাচ্চুর ছোটভাই আনিছুজ্জামান নান্নু, সাংবাদিক আব্দুল মতীন খান, মুরশাদ সুবহানী, পাবনা চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহ সভাপতি মাহবুব উল আলম মুকুল প্রমুখ। বক্তারা প্রয়াত মতিয়ুর রহমান বাচ্চুর জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বর্তমান প্রজন্মকে তার মত আদর্শ মানুষ হওয়ার আহবান জানান
অসময়ে কপি চাষ করে লাখপতি হয়েছেন পাবনা ঈশ্বরদীর জয়নগরের কপি বারি
মোবারক বিশ্বাসঃ পাবনা ঈশ্বরদী উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের জয়-বৃষ্টি কৃষি খামার’র স্বত্তাধিকারী মোঃ আব্দুল বারী ওরফে (কপি বারী) অসময়ে কপি চাষ করে লাখপতি। কপি চাষ করে তার ভাগ্য ফিরিয়েছেন। বারী জানান, গত কয়েক বছর যাবৎ তিনি অসময়ে ফুল কপির চাষাবাদ করে আসছেন। শীতকালে এ সকল সবজি ব্যাপক মাত্রায় চাষাবাদ হওয়ার ফলে তখন সবজির ন্যায্য মূল্য পাওয়া যায় না। বিক্রি না হলে গরুকে খাওয়ান এবং অনেক সময় ফুল কপি রাস্তায় ফেলে দিতে হয়। সে কারণে কৃষক কপি বারী গত কয়েক বছর যাবৎ অসময়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মূলা, ধনিয়াপাতা আগাম চাষাবাদ করছেন। এবার তিনি তার সাড়ে ছয় বিঘা জমিতে উন্নত মানের ফুল কপি চাষ করেছেন। ফলনও হয়েছে প্রতিবারের চাইতে বেশ ভালো। এ সকল ফুল কপির গড় ওজন প্রায় ৫ থেকে ৬’শ গ্রাম করে। ফুল কপি গুলো দেখতে বেশ চমৎকার এবং খেতে সুস্বাদু। ফুল কপিগুলো অসময়ে হওয়ার কারণে বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কৃষক কপি বারী জানান, ২৫/৩০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এসব ফুল কপি জন্মে। অসময়ে ফুল কপি বাজারে ওঠার কারণে তিনি প্রায় প্রতি পিস ২৫/৩০ টাকায় বিক্রি করছেন। এছাড়া অনেক ক্রেতা তার জমি থেকেই ফুল কপি কিনে নিয়ে অন্যত্র বিক্রি করছেন বলে তিনি জানান। ঈশ্বরদীর বিভিন্ন এলাকার ও আশপাশের গ্রাম থেকে প্রতিদিনই তার জমিতে অসময়ের ফুল কপি দেখতে কৃষকেরা আসছেন এবং ফুল কপি চাষাবাদের পরামর্শ নিচ্ছেন। অসময়ে ফুল কপি চাষাবাদের কারণে কৃষক বারী ইতোমধ্যে কপি খেতাব অর্জন করেছেন তিনি মাত্র ১০ কাঠা জমি নিয়ে প্রথমে কৃষি আবাদ শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে বাউকূল, থাই পেয়ারা, লিচু, ধনেপাতা, অন্যান্য সবজি, আগাম ৩০ বিঘা কপিসহ পয়ষট্রি বিঘা জমিতে চাষাবাদ করছেন। কপি বারী বলেন, সংসারে সদস্য সংখ্যা বেশি হওয়াতে উচ্চতর ডিগ্রী নিতে পারেন নি। এইচ এসসি পাশ করার পর থেকেই কৃষি কাজের সাথে জড়িত, এই মাটিই হচ্ছে আমাদের মতো কৃষকদের প্রাণ। মা এবং মাটির সাথে আমি মিশে আছি সব সময়, সারাক্ষন। ভোর বেলা থেকে শুরু হয় কৃষকের মাঠের কাজ। কাঠ ফাটা রোদ কিংবা অঝোর বৃষ্টিতে ভিজেও মাঠে কাজ করতে হয়। আমার আত্ম বিশ্বাস পরিশ্রম এবং সততার সাথে কাজ করলে বিধাতা একদিন তার ভাগ্যের পরিবর্তন করবেই। কপি চাষ করার কারণে স্থানীয় কৃষি অফিসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে কপি বারী সম্মাননা ও বিভিন্ন পদকে ভূষিত হয়েছেন। কপি চাষ করে এখন তিনি স্বাবলম্বী। সংসারের অভাব কাটিয়ে এখন আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছেন। একজন প্রান্তিক কৃষক থেকে আজ বড় মাপের খামারের মালিক বনে গেছেন। সেই সাথে তার খামারে প্রতিদিন প্রায় চলি¬শ থেকে পঞ্চাশজন শ্রমিক নিয়মিত ভাবে কাজ করে থাকেন। এর মধ্যে ১২ জন নারী শ্রমিক এবং সাত জন প্রতিবন্ধী শ্রমিক রয়েছে। তিনি আরও বলেন, সততা, নিষ্ঠা এবং পরিশ্রম আজ তার ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছে। বারী জানান, শিক্ষিত বেকার যুবকেরা চাকুরী নামের সোনার হরিণের পিছে পিছে না ঘুরে কৃষি কাজে এগিয়ে এলে তারা আরও বেশি ভালো করবে। তিনি অভিযোগে জানান, বীজ বিক্রেতারা তাদের ইচ্ছে মাফিক কখনো-কখনো বীজের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে সাত হাজার টাকা কেজির বীজ দশ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেন। তিনি আরও জানান, চাষাবাদ করতে গিয়ে মাঝে মধ্যে সার বিষের কারণে নানা সমস্যাতে পড়তে হয়। প্রয়োজনের সময় সার বিষ না পেলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তিনি বলেন, আমার স্ত্রী আমাকে সার্বিক ভাবে বন্ধুর মতো সহযোগীতা করে থাকেন। তার সহযোগীতা পেয়ে আজ আমি এতোদুর এসেছি। বারী বলেন, ঈশ্বরদী উপজেলার কৃষি কর্মকর্তারা তাকে এবং অন্যান্য কৃষকদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা এবং পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সেই সাথে দেশকে আরও একটু এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় নিয়ে কৃষক ভাইদের কৃষি কাজের দিকে আরও বেশি নজর দেয়ার জন্য আহবান জানান এবং উৎসাহিত করেন।
পাবনা চাটমোহরে এখনো সরকারি ভাবে ধান ক্রয় শুরু হয়নি ॥ মিলাররা চাল দিতে পারছেন না
মোবারক বিশ্বাসঃ পাবনার চাটমোহরে এখনো সরকারি ভাবে ধান ক্রয় শুরু হয়নি। মিলাররাও চাল দিতে পারছেন না। খাদ্য গুদামে জায়গা না থাকায় এমনটি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। এদিকে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ রানা জানান, খাদ্য গুদামে জায়গা না থাকার কারনে যেমন ধান ক্রয় করা যাচ্ছে না, তেমনি মিলারদের কাছ থেকেও চাল নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। চাটমোহরে ৬৬জন মিলারের সাথে সরকারের চুক্তি হয়েছে। তারা চাল প্রস্তুত করলেও নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরো জানান, খাদ্য স্থানান্তরের চেষ্টা চলছে। কিন্তু পরিবহন খরচ বেশি হবার কারণে সেটাও বিলম্বিত হচ্ছে। চাটমোহরসহ আশপাশের উপজেলায় প্রতিমন ধান ৫২০ থেকে ৫৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে কৃষকদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। কৃষকরা সরকারি ভাবে ধান ক্রয় করার দাবি জানিয়েছেন। তারা জানান, সরকার প্রতিমণ ধানের দাম ৭২০ টাকা নির্ধারন করলেও হাটবাজারে ধানের দাম মাত্র ৫২০ টাকা মণ।
প্রতিবন্ধী যুবক নিখোঁজ
মোবারক বিশ্বাসঃ পাবনার চাটমোহর থেকে জন্মগত প্রতিবন্ধী এক যুবক নিখোঁজ হয়েছে। গত ১৪ জুন উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের চিরইল গ্রামের মোঃ আবুল কাশেমের প্রতিবন্ধী ছেলে ময়নুল হোসেন (৩০) বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু আর ফিরে আসেনি। অনেক খোঁজাখুজির পরও তার সন্ধান মেলেনি। সে কথা বলতে পারে না। তার গায়ের রং শ্যামলা, উচ্চতা ৪ ফুট ১০ ইঞ্চি, শরীরের বিভিন্ন অংশে আচলী আছে। পড়নে ছিল লুঙ্গি ও সাদা হাফ শার্ট। এ ব্যাপারে চাটমোহর থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। সন্ধানপ্রার্থী তার পিতা মোঃ আবুল কাশেম। মোবাইল-০১৭৪৯-৭২৬৮৫৫।
পাবনা চাটমোহরে নিমগাছি সমাজ ভিত্তিক মৎস্য প্রকল্পের জলাশয় ইজারা প্রদানে দূর্নীতির অভিযোগ
মোবারক বিশ্বাসঃ পাবনার চাটমোহরে ‘নিমগাছি সমাজ ভিত্তিক মৎস্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে”র আওতাধীন পুকুর/জলাশয় ইজারা প্রদানে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে জানা গেছে, সম্প্রতি গ্রামীণ ব্যাংকের লীজের মেয়াদ শেষ হবার পর চাটমোহর উপজেলার ১শ’টি পুকুর মৎস্য অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এই পুকুর গুলো সুফলভোগীদের মাঝে বাৎসরিক ইজারা প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেয় হয়। সে মোতাবেক মৎস্য দপ্তর প্রতিটি পুকুর এলাকা জরীপ করে তৈরি করা হয় সুফলভোগীদের তালিকা। গনতান্ত্রিকভাবে দলনেতা নির্বাচন করে পুকুরগুলো ইজারা দেবার কথা। কিন্তু চাটমোহর উপজেলা মৎস্য দপ্তর ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির আশ্রয় নিয়ে প্রভাবশালীদের কাছে পুকুর ইজারা দিয়েছে। সরকারের ইজারা মূল্য ২ হাজার টাকা হলেও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ২০/৩০ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়ে সুফলভোগীর তালিকা করে পুকুর ইজারা দিয়েছেন। এ নিয়ে পুকুর পাড়ের হতদরিদ্র মানুষ ও জনপ্রতিনিধিরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাসহ মৎস্য দপ্তরের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মাহবুব হোসেন খাঁন জানান, চাটমোহরের ১শ’টি পুকুরের মধ্যে ২৪টি পুকুর ইতোমধ্যে ইজারা দেয়া হয়েছে। সুফলভোগীদের প্রকৃত তালিকা করা সম্ভব হয় নাই। রাজনৈতিক চাপসহ এমপি-উপজেলা চেয়ারম্যানের নির্দেশনা রয়েছে। সে কারনে প্রকৃত সুফলভোগী বাদ গেছে। ইজারা প্রদানে অনিয়ম ও অর্থ আদায়ের ব্যাপারে মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, কিছু টাকা বেশি নেয়া হয়, সেটা এমন কিছু না। তিনি জানান, গত ডিসেম্বরে এ সংক্রান্ত কমিটির সভা হয়েছে। সিদ্ধান্ত কিছু হয়েছে। ইউএনও সাহেবের সাথে পরামর্শক্রমে ইজারা দেয়া হয়েছে। মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, বেশ কিছু পুকুর আমাদের দখলে নেই, আদালতে মামলা রয়েছে। চাটমোহর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মৎস্য কর্মকর্তা ইচ্ছেমতো এগুলো করছেন। সুফলভোগীদের তালিকা ইচ্ছেমতো করা হচ্ছে। তিনি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।
আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠা না হলে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হতো না————-স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
মোবারক বিশ্বাসঃ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ্যাড. শামসুল হক টুকু বলেন, আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠা না হলে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হতো না। আবার বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে আওয়ামীলীগ, স্বাধীনতা বা বাংলাদেশ কল্পনা করা যায় না। গতকাল শনিবার দুপুরে পাবনার সাঁথিয়ায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৬৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। মন্ত্রী আরো বলেন, খালেদা – নিজামী দেশে জঙ্গিবাদের জন্ম দিয়েছিল। বর্তমান সরকার জঙ্গিবাদ দমন করে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে। দেশের প্রতিকুল পরিস্থিতিতে আপনারা আওয়ামী লীগে ছিলেন। আগামী দিনে আওয়ামী লীগের বিরোধী শক্তিকে মোকাবেলা করার জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংগঠিত থাকতে হবে।
সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ারের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম আহবায়ক হাসান আলী খান,রবিইল করিম হিরু, আ’লীগ নেতা আলমগীর হোসেন, হেদায়েত আলী খান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জহুরুল হক প্রমুখ। এর আগে মন্ত্রী কেক কেটে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর উদ্ধোধন ঘোষনা করেন এবং বর্নাঢ্য র্যালীতে নেতৃত্ব দেনএ
পাবনা ফরিদপুরে বাতির আগুনে চারবাড়ি পুড়েছে
মোবারক বিশ্বাসঃ গত শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে উপজেলার গোপালনগর গ্রামে বাতির আগুনে চার বাড়ি পুরে ছাই হয়েছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায় ঐ সময় বিদ্যুৎ না থাকার করণে গোপালনগর গ্রামের সাইফুলের স্ত্রী ঘরে কাপুরের আলনার পাশে বাতি জ্বালিয়ে রেখে অন্যত্র কাজে যায়। দুর্ঘটনা ক্রমে হঠাৎ করে আলনায় রাখা ঝুলন্ত জামায় আগুন ধরে যায়। এতে একই গ্রামে পাশাপাশি সাইফুল, হামেদ আলী, শহিদুল ইসলাম ও খোয়াজ প্রমানিকের বিধবা স্ত্রী সালেহার বাড়ী পুড়ে নগদ টাকা, ধান চাল, কাপড় চোপর, হাঁস মুরগীসহ প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার পরদিন শনিবার উপজেলা চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম বকু, ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুঞ্জামান রঞ্জু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবিহা শারমিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডি.এম আতিকুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যপক গোলাম হোসেন গোলাপ ও সম্পাদক খলিলুর রহমান ক্ষতি গ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করে নগদ টাকা চাল ডাল কাপড় চোপর ত্রাণ সহায়তা প্রদান করে। এছাড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুঞ্জামান রঞ্জু ৫ জন ছাত্রের স্কুল ড্রেস নিজ উদ্দ্যোগে তৈরী করে দেন এবং তাদের বই পত্র কিনে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
পাবনা চেম্বারের পক্ষ থেকে তরুন ব্যবসায়ী মাহমুদ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী ও শোক প্রকাশ
মোবারক বিশ্বাসঃ পাবনা শহরের শালগাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা ও শাহ-আলম মার্কেটের মাহমুদ টেলিকমের স্বত্তাধিকারী আব্দুল্লাহ আল-মাহমুদ শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় তার বাড়ীর অদূরে একদল সন্ত্রাসী ও দু®কৃতিকারীর ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছে। জানা যায়, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে নির্মম এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। পাবনা চেম্বার অব কমার্সের পক্ষ থেকে এই তরুন ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি। একই সাথে প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার সাথে জড়িত খুনীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
আওয়ামীলীগের ৬৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রলীগ সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ শাখার উদ্দ্যেগে আনন্দ মিছিল
মোবারক বিশ্বাসঃ শনিবার, সকাল ১১.০০ ঘটিকার সময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ শাখা ছাত্রলীগের উদ্দ্যেগে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ৬৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক বিশাল আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি কলা ভবন চত্বর হয়ে বিজ্ঞান ভবনে চত্বর হয়ে শহরে আব্দুল হামিদ রোড প্রদক্ষিণ করে পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। উক্ত মিছিলটি নেতৃত্ব দেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এম.এ সজিব ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লা আল মামুন। আরও উপস্থিত ছিলেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-রোকনুজ্জামান রাকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক- শফিকুল ইসলাম রনি প্রমূখ।
পাবনা কমিউনিটি-বেজড পুলিশিং এর ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত
মোবারক বিশ্বাসঃ জনগন ও পুলিশের যৌথ সহযোগিতায় জননিরাপত্তার উন্নয়ন, জন-নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ ও জনগণের যৌথ উদ্যোগে কমিউনিটি পুলিশ কার্যক্রম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ পুলিশের এই প্রচেষ্টাকে এশিয়া ফাউন্ডেশন কমিউনিটি বেজড পুলিশিং (সিবিপি) কর্মসূচির মাধ্যমে সহায়তা দিচ্ছে। এই কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য গতকাল পাবনায় পুলিশ সুপারের মিলনায়তনে কমিউনিটি বেইজ পুলিশিং প্রোগ্রামে তৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা সমন্বয় কমিটি পাবনার আয়োজনে সভায় সভাপতিত্ব করেন পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর পিপিএম। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার শামিম হোসেন।
স্বাগত বক্তব্য দেন প্রজেক্ট ম্যানেজার মিজানুর রহমান, লাইট হাউস বগুড়া পাবনা। আরো বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সামসুন্নাহার রেখা, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রফেসর শিবজিত নাগ, পাবনা চেম্বার অব কর্মাসের সিনিয়র সহ সভাপতি মাহাবুল আলম মুকুল, বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আুবল কালাম, ট্রাক মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক খন্দকার ফারুক আহম্মেদ, এডওয়ার্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুস সালাম, পাবনা মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল করিম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হক কবির, পাবনা সদর থানা এস.আই জিয়াউর রহমান, প্রাক্তন উপাধাক্ষ্য শাহনেওয়াজ সালাম, ডঃ ক্যাপঃ অবঃ সরওয়ার জাহান ফয়েজ প্রমুখ।
পাবনা মহিলা কলেজের কোচিং বিষয়ে সভা
মোবারক বিশ্বাসঃ পাবনা সরকারি মহিলা কলেজে “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালাÑ২০১২” সম্পর্কে শিক্ষকদের অবহিতকরণ ও বাস্তবায়নের লক্ষে গত ২৩ জুন, ২০১২ খ্রি. তারিখে দুপুর ২ টায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অধ্যক্ষের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মো. শফিকুল ইসলাম। সভায় “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা Ñ২০১২” পাঠ করে সবাইকে অবহিত করা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষে সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত ও প্রচারিত এই নীতিমালাকে যুগোপযোগী বলে অভিহিত করা হয়। সভায় বিধিমালার সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য অধ্যক্ষ মহোদয় সংশ্লি¬ষ্ট সকলকে আহ্বান জানান এবং কলেজের শিক্ষকবৃন্দ এই নীতিমালা বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকবেন বলে তাকে আশ্বস্ত করেন। অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক জনাব মো. আব্দুস ছামাদ এর তত্ত্বাবধানে সরকারি মহিলা কলেজে “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালাÑ২০১২” এর সুষ্ঠু বাস্তবায়ন হওয়ার লক্ষে একটি মনিটরিং কমিটি গঠনেরও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়াও চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই কলেজে ছাত্রীদের ক্লাসে ৭৫% উপস্থিতি না থাকলে তাকে আভ্যন্তরীণ ও বোর্ড পরীক্ষা থেকে বিরত রাখা হবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক জনাব মো. শাহাদাৎ ইকবাল, জীববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক জনাব মিন্না ইয়াসমিন, রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক জনাব মো. আক্তারুজ্জামান, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব মিম মাসাদ, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও প্রভাষক জনাব মো. আশরাফুজ্জামান, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক জনাব মো. আলী আজমল, গণিত বিভাগের প্রভাষক দেওয়ান মোহাম্মদ শফিউল¬াহ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও প্রভাষক জনাব মো. জহুরুল ইসলাম মানিক, বাংলা বিভাগের প্রভাষক জনাব মো. আব্দুল খালেক, ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক খোন্দকার মো. হাসান হাফিজুর রহমান।
শিক্ষা সেবায় বিশেষ স্বীকৃতি এ্যাওয়ার্ড পেলেন অধ্যক্ষ ইকবাল হুসাইন
মোবারক বিশ্বাসঃ দেশ সেরা পাবনার সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাবনা ইসলামিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইকবাল হুসাইন শিক্ষা সেবায় অবদান রাখায় বিশেষ স্বীকৃতি এ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান তার হাতে এই এ্যাওয়ার্ড তুলে দেন। গত ১৮ জুন ঢাকার সেগুনবাগিচা কচিকাচার মেলা মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাস্কৃতিক পরিষদ (বাসপ) এর ১৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ২০১২ উপলক্ষে এই এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এবিষয়ে অনুভুতি জানতে চাইলে তিনি বলেন এই কৃতিত্ব শুধু আমার একার নয় গোটা পাবনাবাসীর। সকলের সার্বিক সহযোগিতার ফলে আমি আজ এই এ্যাওয়ার্ড অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি এজন্য ইসলামিয়া মাদরাসার সকল শিক্ষক, অভিভাবক এবং পাবনাবাসীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আরো বলেন এর আগে আমি শিক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় বাংলদেশ থেকে একমাত্র আমাকে লন্ডনে যাবার আমন্ত্রন জানালে আমি লন্ডন সফর করেছিলাম। সে সৌভাগ্যও অর্জন করেছিলাম পাবনারবাসীর দোয়া ও সহযোগিতার ফলে।
অধ্যক্ষ ইকবাল হুসাইনের এই সাফল্যের জন্য মাদরাসার গভর্নিং বডির সদস্য, শিক্ষক, কর্মচারী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা অভিনন্দন জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, অধ্যক্ষ ইকবাল হুসাইনের অক্লান্ত পরিশ্রম আর প্রজ্ঞার ফলে পাবনা ইসলামিয়া মাদরাসা দেশ সেরা মাদরাসার কৃতিত্ব অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই শিক্ষার্থীরা শতভাগ সাফল্য অর্জন করে আসছে। ফলে বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের প্রধানমন্ত্র্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিভিন্ন পুরস্কারে পুরস্কৃতি করেছেন।
Discussion about this post