তৈয়বুর রহমান টনি নিউ ইয়র্কঃ- শুভ হউক বাংলা নববর্ষ-১৪২০, সেই সঙ্গে শুরু হয় বর্ষবরণের আনুষ্ঠানিকতা ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো তুমি নব রূপে এসো প্রাণে। আমেরিকার বসন্তের রিমঝিম রোদ্দুরের এক বর্ণিল পরিবেশে গত ২৬শে এপ্রিল শুক্রবার নিউইয়র্কের ব্রকন্স এ অবস্হিত আমেরিকান স্কুল “হাওয়ার্ড হেবার আর্লি লার্ণিং সেন্টারে” পালিত হলো বাংলা নববর্ষ-১৪২০।
বর্নিল সাজ আর রূপ এবং আকর্ষনীয় পরিবেশে সবাই মেতে উঠলো হাওয়ার্ড হেভার আর্লি লার্নিং সেন্টারে উচ্ছ্বাস আর উৎসবের রঙ্গের ছটায়। বাঙ্গালী অভিবাবকদের রঙ্গীন শাড়ী, কপালে লাল টিপ আর খোপায়-বেনীতে সুশোভিত ফুলের অপরুপ সজ্জা, সাথে প্রানবন্ত পুরুষদের রংঙ্গীন পাঞ্জাবীর বাহারে বর্ষ বরণে মেতে উঠলো স্কুল প্রাঙ্গন। যুক্তরাষ্ট্রের মুলধারার কোন স্কুলে বাংলা নববর্ষ উদযাপন একটি বিরল ঘটনা। স্কুলের বাঙ্গালী শিক্ষিকা মুর্শেদা কাঁকন প্রায় ৭ বছর যাবত স্কুলের দেশী বিদেশী শিক্ষীকা, ছাত্র/ছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকদের নিয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করে আসছেন অন্যান্য শিক্ষকদের নিয়ে। বিদেশের মাটিতে স্বদেশী সংষ্কৃতির মহিমাকে ও বাংলা নববর্ষের তাৎপর্য স্কুলের দেশী ও বিদেশী ছাএ/ছাএীদের কাছে প্রানবন্ত করে তুলে ধরেন। ১লা বৈশাখকে কিভাবে বরন করা হয়, বাংলা নববর্ষের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, কৃষ্ঠিকে হৃদয়ের গভীরে লালন ইত্যাদি উপস্থাপন করেন তিনি। পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত পাঠের মাধ্যমে বৈশাখ বরন অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। তেলওয়াত পাঠ করে স্কুলের এক বাংলাদেশী ছাত্রী। পরে দেশী ও বিদেশী ছাএ/ছাএীরা বৈশাখের গান, কবিতা এবং নাচ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষেকে বরন করে। সাথে ছিল বিভিন্ন রকমের দেশীয় খাবার, রকমারী পিঠার সমাবেশ। স্কুলের বাংলাদেশী অভিবাবকরা ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশী খাবার তৈরী করে আনেন। মুর্শেদা কাঁকন এই প্রসঙ্গে বলেন ইচ্ছা ও সুযোগ থাকলে বিদেশের মাটিতেও অনেক কিছু করা যায়। বিদেশীদের কাছে বাংলার সংস্কৃতি ঐতিহ্যকৃষ্ঠি তথা বাংলাদেশকে তুলে ধরতে পেরে আমি আনন্দিত এবং গর্বিত। তিনি বলেন নববর্ষ পালনের পাশাপশি আমরা প্রতি বৎসর পবিত্র ঈদ উৎসব পালন করে আসছি। তিনি আরও জানান যে-স্কুলের প্রিন্সিপাল ডন থীল্, শিক্ষিকা জেনিফার, কৃষ্টিনা, বেবী মজুমদার, লিলিয়ান, মারীয়া, ট্যানারী সহ প্রমুখ এর সহযোগিতা ও অনুপ্রেরনায় এবং সর্বোপরি অভিবাবকদের আন্তরিক সহযোগিতা ও আগ্রহের কারনে তার পক্ষে বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলা বর্ষ বরণ পালন করা সম্ভব হচ্ছে। তিনি এবং স্কুলের প্রিন্সিপাল সহ অন্যান্য শিক্ষিকা বৃন্দ প্রতিবেদক তৈয়বুর রহমান টনির মাধ্যমে সকল প্রিন্ট মিডিয়া ও ই-নিউজ কর্মকর্তাদের অশেষ ধন্যবাদ জানান তাদের নিউজ সবার কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য।
Discussion about this post