বগুড়া জেলা প্রতিনিধি : বগুড়ার গাবতলীতে আম পারাকে কেন্দ খলিলুর রহমান খলিল খাঁ (৪৮) নামের ১ ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। শনিবার রাত আনুমানিক ৯ টায় উপজেলার বালিয়াদিঘী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত খলিল খাঁ ঐ গ্রামের মৃত ছমির উদ্দিন খাঁ’র ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই ধলু খাঁ বাদী হয়ে মজনু সাকিদারকে প্রধান আসামী করে ৭ জনের বিরুদ্ধে গতকাল রবিবার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করেছে। এছাড়া নিহতের ছেলে মিনহাজুল (১৮) ও ধলূ খাঁ (৪৪) গুরুতর আহত হয়েছে। তবে মিনহাজুলের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। মামলার বিবরনে প্রকাশ, গত ৩ মে বিকেল ৪ টায় স্থানীয় বালিয়াদিঘী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আম গাছে নিহতের ভাতিজা স্বপন আম পারতে গেলে আসামী শহিদুল তাকে গাছ থেকে টেনে হেঁচড়ে নিচে নেমে নিয়ে মারপিট করে। এ ঘটনায় ঐ স্কুল মাঠে গত ৫মে সন্ধ্যায় শালিশ বৈঠকে বিষয়টি মিমাংসা হলে তারা বাড়িতে যাওয়া পথে আসামীরা র্প্বূ পরিকল্পিত ভাবে লোহার রড, সাবল, লাঠিসোটা, অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের উপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে বেদম মারপিট করে গুরুতর আহত করে। আহতদের মধ্য খলিলুর রহমান খলিল খাঁকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। এ ব্যাপারে বাগবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আশরাফ আলীর সাথে কথা বললে তিনি মামলা দায়ের হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বগুড়ায় তুচ্ছ ঘটনায় মারপিটে মহিলা নিহত
বগুড়া জেলা প্রতিনিধি : বগুড়া সদরে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের মারপিট ও ইটের আঘাতে সায়েবা বেওয়া নামের এক মহিলা নিহত হয়েছেন। রোববার সন্ধ্যায় বগুড়া সদরের রাজাপুর ইউনিয়নের হটিলাপুর পানাতে পাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, নিহত সায়েবা বেওয়া (৫৫) ওই গ্রামের মৃত অছিমদ্দিনের স্ত্রী।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাহমুদুল আলম জানান, ওই গ্রামের প্রতিবেশী মকবুল নামের এক ব্যক্তির সাথে নিহতের পরিবারের রাস্তা নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। এই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার আনুমানিক ৬ টার দিকে প্রতিপক্ষের লোকজনের সাথে কথাকাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে ছুড়া ইটের আঘাতে সায়েবা বেওয়া (৫৫) নামে ওই মহিলা নিহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে।
Discussion about this post