কক্সবাজারে একটি অসম বিয়ে নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে। গোপনে বিয়ে করার তিন মাস পর ফাঁস হয়ে গেছে এ ঘটনা। বর নূর আহমদ সিকদারের বয়স ৮৪। কনে রোজিনা বেগমের ২৪ । অসম এ বিয়ের ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজার সদর উপজেলা কাজী অফিসে। দীর্ঘদিন গোপন থাকার পর সমপ্রতি এ অসম বিয়ের খবর জানাজানি হলে সর্বত্র ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। উৎসুক লোকজন বর-কনেকে দেখতে তাদের বাসাবাড়িতে ভিড় করছে। এ ঘটনায় রসালো আলোচনা চলছে পাড়া-মহল্লায়। বর নূর মোহাম্মদ সিকদার টেকনাফ সদর ইউনিয়নের লেঙ্গুরবিল গ্রামের মৃত লাল মোহাম্মদের ছেলে। তার স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। বড় স্ত্রীর নাম তমবিয়া খাতুন। বয়স ৫৫ বছর। ওই স্ত্রীর ঘরে রয়েছে ৮ ছেলে ও ৬ মেয়ে। মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। ছেলেদেরও বিয়ে করিয়েছেন। ছেলে মেয়েদের ঘরে ৩০ জনেরও বেশি নাতি-নাতনি রয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় বিয়ের কথা স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, নাতি-নাতনি কাউকে জানাননি। তোপের মুখে পড়ার ভয়ে তার এ গোপনীয়তা বলে জানা গেছে। অনেক লুকোচুরির পরও এটি গোপন থাকেনি। অবশেষে তা ফাঁস হয়ে গেছে। গত ৩০শে ডিসেম্বর ১ লাখ টাকার দেনমোহরে সদর উপজেলার ভারুয়াখালীর উল্টাখালী গ্রামের নুরুল ইসলামের কন্যা রুজিনা বেগমের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় কনের পক্ষে ফুফা জাফর আলম উপস্থিত ছিলেন। বরের পক্ষে ছিলেন আবুল কাশেম নামে তার এক নিকটাত্মীয়। বিয়ের পর নববধূর জন্য জেলা শহরে আলাদা বাসা নেন বর নূর মোহাম্মদ। ওই বাসাতে মাসের বেশির ভাগ সময় স্ত্রীর সঙ্গে থাকেন তিনি। নূর মোহাম্মদ বলেন, ছোট বউ তাকে অনেক ভালবাসেন। আদর যত্ন করেন। তাকে ছেড়ে অন্য কোথাও থাকতে নিষেধ করেন। ছোট বউকে রেখে কোথাও গেলে মন টেকে না তার। যেখানে যান হৃদয়ের টানে ছুটে আসেন ছোট বউয়ের কাছে। যত্ন করে প্রিয়তমা স্ত্রীর ছবি রেখেছেন মানি ব্যাগে। বড় বউয়ের কাছে গেলে অথবা দূরে কোথাও থাকলে মানি ব্যাগে থাকা ছবি দেখেন তিনি। তিনি বলেন, মানি ব্যাগে ছবি থাকা মানে প্রিয় স্ত্রীকে সঙ্গে রাখা। এতে তার ভাল সময় কাটে। স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে দিনে অন্তত ১০-১৫ বার ছবি দেখা হয় বলে জানালেন নূর মোহাম্মদ। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বড় স্ত্রীর সেবা যত্ন না পেয়ে অপমানে তিনি এ বিয়ে করেছেন। তার যে এখনও শক্তি সামর্থ্য রয়েছে সেটি বোঝাতে নতুন বউয়ের সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন। তবে যে স্ত্রীকে নিয়ে এত কথা তাকে রেখেছেন লোকচক্ষুর অন্তরালে। অনেক চেষ্টা করেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। লুকিয়ে রাখার কারণ জানতে চাইলে বলেন, প্রকাশ হয়ে গেলে হারানোর ভয়, তাই।
Discussion about this post