ঢাকা: যে গুমের গুজবে আশুলিয়ায় শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ সেই ‘গুম হওয়া’ কারখানা শ্রমিক সালমানকে মিডিয়ার সামনে হাজির করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
রোববার দুপুর ২টায় মিডিয়ার সামনে হাজির করার পর সালমান বলেন, “আমাকে গুম করা হয়নি, কোনও নির্যাতন বা পুলিশি হয়রানী করা হয়নি।”
সালমান জানান, গত বৃহস্পতিবার হা-মীম গ্রুপের একটি কারখানা থেকে চুরির দায়ে কারখানার অন্য শ্রমিকরা তাকে আটক করে এবং পরে তাকে এক পর্যায়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পরে পুলিশ আদালতের মাধ্যমে সালমানকে জেল হাজতে পাঠায়। মিডিয়ার সামনে কথা বলার পর আশুলিয়া থানা পুলিশ সালমানকে শিল্প পুলিশের হাতে হস্তান্তর করে।
এ সময় সালমান বলেন, ‘আমি এই মুহূর্তে বেশি কিছু বলতে পারছি না। বলার মতো পরিস্থিতি নাই। আমি সরকারের কাছে আমার নিরাপত্তা চাই।’
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ বদরুল আলম বলেন, ‘চুরির মামলায় গতকাল সালমানকে আটক করে আদালতে পাঠানো হলে বিকেলে তিনি জামিনে চলে আসেন। আজ সকালে তিনি কর্মস্থলে আসতে দেরি করলে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে সালমানকে ‘গুম’ করা হয়েছে এবং তার শোকে তার মা মারা গেছেন, এমন খবর রটানো হয়। এতে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানা থেকে বেড়িয়ে এসে ভাংচুর শুরু করে।’
সালমানকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন তাদের কাছেই আছে। এই ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি এবং গত দিনের খোয়া যাওয়া অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
ঢাকা জেলার এসপি মিজানুর রহমান বলেন, ‘সালমানকে গতকালই জামিনে আনা হয়েছে। এটি কারখানা কর্তৃপক্ষ জানেন। তার সাথে যারা কাজ করেন তারাও তাকে দেখেছেন। এখন মিডিয়ার সামনেও তাকে হাজির করা হলো। সুতরাং এই বিষয় নিয়ে আর দ্বিধাদন্দ্ব থাকার কথা নয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘একটি স্বার্থান্বেষী মহল এই ধরনের গুজব ছড়িয়ে শ্রমিক অসন্তোসের সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে। র্যাব ও পুলিশসহ আমাদের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কাজ শুরু করেছে। যারা এ ধরনের নৈরাজ্যকর ঘটনার সৃষ্টি করেছে এবং শ্রমিকদের ইন্ধন যোগাচ্ছে, অবিলম্বে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
Discussion about this post