চলতি বছরের মে ও জুন মাসে বিভিন্ন দেশের প্রায় ৬ হাজার ৩০০ প্রবাসীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে কুয়েতের সংবাদমাধ্যমে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কুয়েতের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে রেসিডেন্সি আইন এবং শ্রম আইন সহ বিভিন্ন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে তাদের আটক করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবং দেশকে অবৈধ শ্রমিকমুক্ত করতে এই ধরনের অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে অনেককেই অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা এবং কিছু ক্ষেত্রে আদালতের রায়ের ভিত্তিতে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে ফেরত পাঠানো প্রবাসীদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি রয়েছেন অথবা কোন দেশের কতজন প্রবাসী সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। দেশটির প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ ফাহাদ ইউসুফ সৌদ আল-সাবাহ কুয়েতকে অবৈধ অভিবাসীমুক্ত করার নির্দেশনা দেন, যা গত বছরের সাধারণ ক্ষমা শেষ হওয়ার পর থেকেই কার্যকর রয়েছে। দেশটির মন্ত্রণালয় জানায়, এ ধরনের নিরাপত্তা অভিযান অব্যাহত থাকবে। কুয়েতের শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণ ও অভিবাসন আইন বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই এই কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে । সম্প্রতি কুয়েতের শ্রমবাজারে বিভিন্ন দেশের জন্য অনেক শিথিল করা হয়েছে। এতে খুব সহজেই নতুন শ্রমিকের জন্য ভিসা পাচ্ছেন নিয়োগকর্তারা। এছাড়া এখন কোম্পানির অনুমতি নিয়ে অন্য কোথাও পার্টটাইম করার সুযোগ দিয়েছে কুয়েত সরকার। কোন কোম্পানির শ্রমিক অন্য কোম্পানিতে পার্টটাইম করতে চাইলে কোম্পানি সাহেল অ্যাপের মাধ্যমে নির্ধারিত ফি দিয়ে অনুমতি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। কুয়েতের শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণে যেমন কঠিন হয়েছে দেশটি তেমন সুযোগও দিচ্ছে। অনুমতি নিয়ে অন্যত্র কাজ করার সুযোগ থাকা সত্যেও বিভিন্ন কারণে অনুমতিবিহীন অবৈধভাবে কাজ করতে গিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হন। কুয়েতের আইন অমান্য করার অভিযোগে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
Discussion about this post