মো. অলিউল্লাহ সরকার অতুল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌর এলাকার আকুবপুর গ্রামে গত শুক্রবার রাতের আধারে আশরাফুল আলম নামের এক কলেজ ছাত্রের সঞ্চয়ের টাকা দিয়ে গড়ে উঠা একটি বাগানের ৩শ ৬০টি আকাশ মনি গাছের চারা মাঝখানে কেটে দিয়েছে দুবৃত্তরা। এতে করে হতাশ হয়ে পড়েছেন ওই কলেজ ছাত্র। সরেজমিনে ঘুরে এলাকায় খোজঁ নিয়ে জানা গেছে; কসবা পৌর এলাকার আকুবপুর গ্রামে মাহফুজ মিয়ার ছেলে কলেজ ছাত্র আশরাফুল আলম ২০১১ সালে পৈতিক জমিতে একটি গাছের বাগান করেছেন। ওই বাগানে ্আকাশমনিসহ বনজ ও ফলজ জাতের বিভিন্ন রকমের ৩শ ৬০টি গাছের চারা রোপন করা হয়েছে। গত ২ বছরে গাছগুলি বেশ বড় হয়েছে। গত বৃহস্প্রতিবার (৩১ জানুয়ারি) রাতের আধারে দুবৃত্তরা সবকয়টি গাছের মাঝখানে কেটে দিয়েছে দুবৃত্তরা। শুধু বাগান নয়, আশরাফুলের বাড়ির আশে-পাশের অনেকগুলি গাছ কেটে দিয়েছে দুবৃত্তরা। গত শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে আশরাফুলসহ বাড়ির লোকজন গাছগুলি মাঝখানে কাটা দেখতে পান। বাগানের মালিক আশরাফুল ্আলম বলেন; ২০১১ সালে সে এস.এস.সি পরীক্ষা দিয়েছে। ওই পরীক্ষার সময় স্বজনরা তাকে বেশ কিছু টাকা দিয়েছে। ওই টাকা থেকে খরচ করে অবশিষ্ট টাকা দিয়ে ২০১১ সালে প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ করে বাগানটি করেছেন। আশরাফুলের বাবা মো. মাহফুজুর রহমান বলেন; তার ছেলে তাদের মালিকানাধীন আকুবপুর মৌজার ২৩২ দাগের ভ’মিতে ৩৬০ টি গাছের চারা রোপন করেছেন। কেউ শত্রুতা করে বাগানসহ বাড়ির সবকয়টি গাছ মাঝখানে কেটে দিয়েছে। তিনি বলেন; বিষয়টি খুজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের থানায় আবেদন করা হবে। তিনি আরো বলেন; ১০/১৫ বছর পর গাছগুলি বেড়ে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা বিক্রি করতে পারতেন। কসবা বন বিভাগের কর্মকর্তা (ফরেস্টার) মো. আসাদুজ্জামান খান বলেন; ঘটনাটি খুবই দু:খজনক। বাগানটি যেহেতু ব্যক্তি মালিকানাধীন, ত্ইা বাগানের মালিকই থানায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। পুলিশ দোষী ব্যক্তিদের খুজে বের করে আনবে। কসবা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোরশেদ পারভেজ তালুকদার বলেন; এটি একটি হিংস্যাতœক কার্যকলাপ। কেউ পূর্ব বিরোধের জের ধরে গাছগুলি মাঝখানে কেটে দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থতরা লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে
Discussion about this post