বাংলার বার্তা রিপোর্টঃ কুয়েতে শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণ ও বৈধতার বাইরে থাকা কর্মীদের চিহ্নিত করতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পাবলিক অথরিটি ফর ম্যানপাওয়ার (PAM) যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করছে। ২৭ জুলাই দেশটির আরব টাইমস পত্রিকায় খবরে প্রকাশিত আল-নাঈম হাউজিং প্রকল্প এলাকায় কুয়েতের প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ ফাহাদ ইউসুফ সৌদ আল-সাবাহ’র নির্দেশে এক আকস্মিক অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানে মোট ৪৪ জনকে আটক করা হয়েছে, যারা বিভিন্ন ধরণের শ্রম আইন লঙ্ঘনের সাথে জড়িত ছিলেন। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন ১২ জন গৃহকর্মী (ধারা ২০ আকামা), ১ জন রাখাল আকামার অধীনে, ২৮ জন অন্য আকামা নিয়ে কর্মরত, ৩ জন আকামাবিহীন অবৈধভাবে বসবাসকারী। পাবলিক অথরিটি ফর ম্যানপাওয়ার জানিয়েছে, আটককৃতদের কেউ কেউ তাদের আকামায় উল্লেখিত পেশার সঙ্গে মিল না রেখে অন্য পেশায় কাজ করছিলেন। কেউ কেউ ভিন্ন স্পনসরের আকামা নিয়ে কাজ করছিলেন, যা কুয়েতের শ্রম আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এক সরকারী বিবৃতিতে পাবলিক অথরিটি ফর ম্যানপাওয়ার PAM উল্লেখ করেছে, এই অভিযান কুয়েতের শ্রম আইন প্রয়োগের অংশ। আমাদের উদ্দেশ্য একটি নিরাপদ, নিয়মতান্ত্রিক এবং সুসংগঠিত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা, যাতে সব পক্ষ উপকৃত হয়। তারা আরও জানায়, এই অভিযান চলমান থাকবে এবং যারা আইন লঙ্ঘন করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আটককৃতরা কোন দেশের নাগরিক তা উল্লেখ্য করেনি রিপোর্টে। এদিকে ‘ফ্রি ভিসা’ প্রতারণার ফাঁদে কুয়েতগামী বাংলাদেশিরা এখনো পরছেন। যদিও কুয়েতে ‘ফ্রি ভিসা’ বলে কিছু নেই, তারপরও একটি চক্র “ফ্রি ভিসার” প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এই প্রতারণার শিকার হয়ে অনেকেই কুয়েতে এসে দিকহারা হয়ে পড়ছেন। কেউ কেউ অজানা গন্তব্যে ছুটে বেড়াচ্ছেন কাজের সন্ধানে। ভাগ্যক্রমে কেউ কেউ কাজ পেয়ে গেলেও, বেশিরভাগের ভাগ্যে জোটে শোষণ ও হয়রানি। কুয়েত সরকারের এই অভিযান প্রবাসী শ্রমবাজারের স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। পাশাপাশি ভিসা জালিয়াতি ও অবৈধ দালাল চক্রের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারেরও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া জরুরি, যাতে সাধারণ মানুষ আর এই ধরনের প্রতারণার শিকার না হয়।
Discussion about this post