কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ চিবানো তামাক জব্দ করেছে শুল্ক প্রশাসন। দুটি পৃথক ঘটনায়, কাস্টমস অফিসাররা কুয়েতে চিবানো তামাক আনার চেষ্টা করার সময় মোট চারজন বাংলাদেশী যাত্রীকে আটক করেছেন। প্রথম দিনেই একজন যাত্রীর কাছ থেকে ৪০ কেজি চিবানো তামাক উদ্ধার করা হয়। পরের দিন, বাংলাদেশ থেকে আরও তিনজন যাত্রীকে ১৫৯ কেজি তামাক সহ আটক করা হয়, যার ফলে মোট জব্দকৃত তামাক ১৯৯ কেজিতে পৌঁছে। কুয়েতে নিষিদ্ধ পণ্যের চোরাচালান রোধে চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে কুয়েতের সাধারণ শুল্ক প্রশাসন কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চার নম্বর টার্মিনাল (টি৪) থেকে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ এই চিবানো তামাক জব্দের সফল ঘোষণা করেছে। বিমানবন্দর শুল্ক বিভাগ তাৎক্ষণিকভাবে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। লঙ্ঘনকারীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করেছে। মামলার সাথে জড়িত আরও সন্দেহভাজনদের খুঁজে বের করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে অভিযান চলছে। নিষিদ্ধ উপকরণের অনুপ্রবেশ থেকে দেশকে রক্ষা করতে কুয়েত প্রশাসন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সমস্ত প্রবেশ বন্দরে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সতর্কতা এবং নিষ্ঠার সাথে কাজ করার প্রশংসা কুড়িয়েছেন।সমস্ত ভ্রমণকারীদের কুয়েতের কাস্টমস নিয়ম মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কুয়েতে পান, তামাক, জর্দা জাতীয় সব দ্রব্য বাজারজাত করণ, বেচা-কেনা সম্পূর্ণ নিষেধ। এই নিষেধ অমান্য করে কিছু প্রবাসী অবৈধভাবে এসব বেচা কেনা করে থাকেন। এসব বিক্রয় করতে গিয়ে অনেকেই দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়ে শাস্তি হিসেবে জেল জরিমানা সহ চিরতরে কুয়েত থেকে বিতারিত হয়েছেন।
নিউজটি কুয়েতে বাংলাদেশ কমিউনিটিতে আলোচনায় আসলে বিষয়টি নিয়ে ফেইসবুক ওয়ালে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব কুয়েত এর সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক মঈন উদ্দিন সরকার সুমন তিনি তার পোষ্টে লেখেন আজকের কুয়েতের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর। কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় ২০০ কেজি তামাকসহ চার বাংলাদেশি যাত্রীর আটক হওয়ার ঘটনাটি অত্যন্ত লজ্জাজনক ও উদ্বেগজনক। প্রশ্ন উঠছে এই যাত্রীরা কবে, কখন, কীভাবে বাংলাদেশ বিমানবন্দর পার হয়ে এত পরিমান তামাক বহন করে কুয়েতে পৌঁছালেন? বিমানবন্দরে দায়িত্বরত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেই সময় কী করছিলেন? এটি নিছক অবহেলা, নাকি বড় কোনো চক্রের সঙ্গে যোগসাজশ তা অবশ্যই নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে খতিয়ে দেখা জরুরি বলে মনে করি একজন সচেতন প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে। এমন কিছু অসাধু কর্মকর্তা বা অসত প্রবাসীর জন্য কুয়েতে অবস্থানরত প্রায় তিন লাখ প্রবাসী বাংলাদেশিকে কেন অপমানে ভুগতে হবে? যারা কঠোর পরিশ্রম করে কুয়েতের মাটিতে দেশের মুখ উজ্জ্বল করছেন, তাদের সম্মান যেন এই ধরনের কর্মকাণ্ডে কলঙ্কিত না হয়। এখনই সময় বাংলাদেশ ও কুয়েত উভয় দেশের কর্তৃপক্ষের উচিত দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন কাজ করার সাহস না পায়। দেশ ও জাতির স্বার্থেই এই অনৈতিক চক্রকে চিরতরে বন্ধ করতে হবে।
Discussion about this post