ওমানের আল সুবাখী বাংলাদেশ মসজিদে পবিত্র মিরাজুন্নবী (সঃ) উপলক্ষে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা। হাজী আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এইচ এম হুমায়ুন কবির (্সাংবাদিক আরটিভি)। প্রকৌশলি শামছুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন হাজী মাহবুব আলম ও হাফেজ মোস্তাক সহ আরো অনেকে।
এসময় রাসুল (সঃ) এর জীবনী ও ইসলামি রাষ্ট্র ব্যাবস্থার উপকরন সমৃদ্ধ মিরাজে মোস্তফা নামের একটি বইয়ের মোরক উন্মোচন করেন এইচ এম হুমায়ুন কবির (সাংবাদিক আরটিভি)।
পুস্তকটির লেখক প্রকৌশলী সামশুল হক জানিয়েছেন এটি বাংলায় রচনা করায় ও বিভিন্ন বাস্তব ও কোরআন এবং হাদিস সম্মত তথ্য সম্বলিত হওয়ায় বইখানা অগনিত বাংলাভাষাভাষী দেশ বিদেশের জনগোষ্ঠির কাছে সমাদৃত হবে।
বইটির লেখক প্রকৌশলি সামশুল হক ১৯৬১ সালে বাশখালি থানার সরল ইউনিয়নের উত্তর সরল গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন তার পিতা গোলাম রহমান ও মাতা আলমাস খাতুন। তিনি উত্তর সরল প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু করেন এবং সরল আমেরিয়া জুনিয়র হাইস্কুল থেকে জুনিয়র সার্টিফিকেট নিয়ে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক কাজেম আলী হাইস্কুল থেকে মেট্্িরক পাস করেন। পরে তিনি চট্টগ্রাম কারিগরী প্রশিক্ষন কেন্দ্রে ইউএনডিপির অধিনে অটো মোবাইস বিভাগ থেকে স্টার মার্ক নিয়ে ই টি সি কোর্স সমাপ্ত করেন ও চট্টগ্রাম ওমর গনি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট এবং বি এস সি সমাপ্ত করেন। পরিক্ষা চলাকালীন সময়ে এরশাদ সরকারের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলে থাকার কারনে উচ্চ মিক্ষার পথ গতিরুদ্ধ হয়। অবশেষে চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার ইনষ্টিটিউটের এম আই ই কোর্স অসমাপ্ত রেখে মধ্য প্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ দেশ ওমানে পাড়ি জমান। শিক্ষা কালিন সময়ের শুরুতে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলিগের রাজনিতীর সাথে জরিত ছিলেন ও গুরুত্বপুর্ন দায়িত্বও পালন করেন বিশেষ করে ছাত্র লীগ আমিরিয়া হাইস্কুল শাখার সভাপতি,সরল আঞ্চলিক শাখার সাধারন সম্পাদক ও স্কুল ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
চট্টগ্রাম শহরে যাওয়ার পর কোতয়ালী ছাত্রলীগের নির্বাহী সদস্য ও কাজেম আলী হাইস্কুলের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
তিনি চট্টগ্রাম আবর্তন সাহিত্য মজলিসের সভাপতি ও দৈনিক জমানার সাহিত্য কলামে নিয়মিত লিখতেন। তিনি বাংলাদেশ কারিগরী ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও কারিগরি ছাত্র সংসদের নাসিরাবাদ কেন্দ্রের সহ সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন। ১৯৭৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ছয় তারিখে কোন বিশেষ একটি কারনে ইসলামি ছাত্র শিবিরের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের হাতে সদস্য সপথ গ্রহনের পর দলে যোগদান করেন এবং পরবর্তিতে পাচলাইস থানা শাখার সাধারন সম্পাদক,ওমর গণী কলেজের সভাপতি,হাজী মোহাম্মদ মহশিন কলেজ শাখার সভাপতি চট্টগ্রাম মহানগরী শাখার প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের সম্পাদকের দায়ত্বি পালন করেন। বর্তমানে তিনি ওমান বন্ধু সমাজ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্বও পালন করছেন। অবশেষে চট্টগ্রামের পটিয়ার কুসুমপুরার ওমান প্রবাশী বিশিষ্ঠ ব্যাবসায়ী আলহাজ মোহাম্মদ আলীর সার্বিক সহযোগীতায় তিনি ওমানে ব্যাবসা শুরু করেন। ওমানে দির্ঘ দিন প্রবাশ কালীন সময়ে তিনি উদার মনে প্রবাশী বাংলাদেশীদের কল্যানে বিভিন্ন কল্যানমুখী কার্যক্রম অব্যহত রেখেছেন এবং শহ¯্রাধিক বেকার বাংলাদেশীকে কর্ম সংস্থানের ব্যাবস্থা করে দেন। এ ছাড়াও ওমানের মিউনিসিপ্যালিটিতে দুই শতাধিক বেকার অভিবাসিদের ওমান গভঃমেন্টের অধিনে চাকুরির ব্যাস্থা করেন।
তিনি ওমান দুবাই হাইওয়ে সংলগ্ন স্থানে সুবাখী বাংলাদেশ মসজিন নামে একটি মসজিও প্রতিষ্ঠা করেন অবস্য মসজিদের জন্য যে জায়গাটি প্রয়োজন হয়েছে তা তিনি নিয়েছেন সেখানকার স্থানীয় শেখ সাঈদ বীন সালে আল সাদির কাছ থেকে। দুই যুগেরও বেশি পুরানো এই মসজিদটি কালের বিবর্তনে আজ পরিনত হয়েছে সেখানকার প্রবাশী বাংলাদেশীদের মিলন মেলায়। স্বপরিবারে বসবাসরত প্রবাশী বাংলাদেশীদের সন্তানদের শিক্ষা ব্যাবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষে তিনি বাংলাদেশ স্কুল সুইক নামে একটি মাধ্যমিক স্কুলও প্রাতষ্ঠা করেন।
অধিকার বঞ্চিত প্রবাশী বাংলাদেশীদের পাওনা আদায় ও ক্ষতিপূরন উদ্ধারের জন্য ওমানের বিখ্যাত দুইটি আইনী প্রতিষ্ঠান আব্দুল্লাহ আল কাশেমী ও সুলাইমান আল বুসাইদির প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দির্ঘ দিন যাবৎ আইনি উপদেষ্ঠা হিসাবে সহযোগীতা অব্যহত রেখেছেন এ ছাড়াও তিনি নানা মুখি কল্যান মূলক কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত। সেখানকার ওমান প্রবাশীদের কাছে তিনি নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন নিঃসার্থ ভাবে।
তার সততা ও নিষ্ঠায় খুশি হয়ে সেখানকার ওমানিরাও তাকে সমীহ করেন। ওমান প্রবাশীদের কাছে তিনি দানশীল ও একজন পরোপকারি হিসাবেই স্ব-গুনে ক্ষেত। লেখক,সাহিত্যিক,রাজনৈতিক ও প্রকৌশল বিদ্যার অধিকারি এই মহৎ মানুষটি সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি যেন শারা জীবন মানুষের উপকারে নিজেকে পরোপুরি উৎসর্গ করতে পারেন।
Discussion about this post