নজরুল ইসলাম মিন্টু বগুড়া জেলা প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘির বেজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্র শাওন (৯) রহস্যজনক নিখোঁজের ৫ দিন পর গত শুক্রবার ভোরে গ্রামের জনৈক সাহের আলীর বাড়ীর গরুর খর খাওয়ানো উঠান থেকে শাওনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মাযের পরকীয়ার কারনে শিশু শাওনকে গলায় ফাঁস দিয়ে স্বাশরোধে খুন করে ওই স্থানে ফেলে রাখা হয়েছে বলে পুলিশ ও গ্রামবাসীরা জানান। এ ঘটনায় বেজার গ্রামের জিনের বাদশা পরিচয় দানকারী খবির উদ্দিনের পুত্র আব্দুল লতিফকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া মর্গে গ্রেরন করেছে। এ ব্যাপারে নিহতের দাদা কোরেশ আলী বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়, আদমদীঘির বেজার গ্রামের আব্দুল কুদ্দুছের একমাত্র শিশু পুত্র স্কুল ছাত্র শাওন (৯) গত ২৮ জানুয়ারী বিদ্যালয় থেকে ফিরে দুপুরের খাবার পর সহপাটীদের সাথে খেলতে মাঠে গিয়ে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়। গত কয়েক দিন ধরে আত্মীয় স্বজনদের বাড়ী সহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খুঁজেও শাওনের কোন সন্ধান না পাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার নিহতের দাদা থানায় একটি জিডি করেন। এদিকে নিখোঁজের ৫ দিন পর শুক্রবার ভোরে গ্রামের প্রতিবেশী সাহের আলীর বাড়ীর গরুর খর খাওয়ানো উঠান থেকে শাওনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের পিতা আব্দুল কুদ্দুছ জানান আটক লতিফ কয়েক দিন ধরেই নিজেকে জিনের বাদশা দাবী করে আসন বসিয়ে শাওন বেঁেচ রয়েছে এবং তাকে জিন লুকিয়ে রেখেছে ২/১ দিনের মধ্যে বের হবে বলে কালক্ষেপন করে। আটক কথিত জিনের বাদশা লতিফ ওই বাড়ীতে নিয়মিত যাতায়াত করছিল। নিহতের মায়ের সাথে পরকীয়ার কারনে শিশু শাওনকে খুনের শিকার হতে হয়েছে বলে গ্রামবাসী ও পুলিশের ধারনা।
অপরদিকে, শুক্রবার দুপুরে পুলিশ আদমদীঘির সান্তাহারের সান্দিড়া বিলের কচুরিপানা দিয়ে ঢাকা অজ্ঞাত (৬০) এক মহিলার অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করে মর্গে গ্রেরন করা হয়েছে। পূর্ব শক্রতার জের ধরে কেবা কারা হত্যা করে ওই স্থানে ফেলে রেখেছে বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ ধারনা করছেন। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত বৃদ্ধার পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।
Discussion about this post