এম.শাহজাহান চৌধুরী শাহীন- কক্সবাজারের টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ বিজিবির সদস্যরা অভিযান চালিয়ে দেশীয় তৈরী বন্দুক ও ৭ রাউন্ড তাজা কার্তুজ সহ রোহিঙ্গা ডাকাত সিরাজকে আটক করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে সশস্ত্র ডাকাত দল সাগরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘোলা পাড়া নামক স্থান থেকে এ অভিযান চালায়। শাহপরীর দ্বীপ বিজিবির কোম্পানী কমান্ডার সিরাজুল হক জানান, ৭ জুন রাতে সশস্ত্র ডাকাত দল সাগরে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ খবরের ভিত্তিতে বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালান। অন্যান্য ডাকাতেরা পালিয়ে গেলেও আটক করা হয় লেদা রোহিঙ্গা টালের ‘‘বি ”ব্লকের ১১৯ নং সাইডের (নুর মোহাম্মদ মাঝির আওতাধীন) কালা মিয়ার পুত্র সিরাজ মিয়া (২৭)। তিনি আরো জানান,এসময় তার কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরী একনালা বন্দুক ও ৭ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। তার সাথে ছিল একই ব্লকের শুক্কুর ও কালু কৌশলে পালিয়ে যায়। আটক ডাকাতকে টেকনাফ থানায় সোর্পদ করা হয়েছে। ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনে থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে বলে ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর সুত্র জানিয়েছেন।
কক্সবাজারে ২ দিনব্যাপী ‘বে অব বেঙ্গল ফস্টিভ্যাল’ শুরু
বিশ্ব মহাসমুদ্র দিবস উপলক্ষে ৮ জুন শুক্রবার সকালে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত নগরী কক্সবাজারে শুরু হয়েছে ২ দিনব্যাপী ‘বে অব বেঙ্গল ফেস্টিভ্যাল’ । সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার সৈকতের লাবনী পয়েন্টে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ট্যুরিজম বোর্ড ও সেইফ আয়োজিত এ উৎসবের উদ্বোধন করেন, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন এর চেয়ারম্যান মো. হেমায়েত উদ্দিন তালুকদার। এ সময় ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নিবার্হী আখতারুজ্জামান খান, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ জয়নুল বারী, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, বিজ্ঞাপন সংস্থা মাত্রার সিইও খোন্দকার আলমগীর, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সৈয়দ মো. নুরুল বাসির, সেইফ এর প্রান নিবার্হী মশিউর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে অর্ধশত তরুণ-তরুণী কলাতলির দরিয়া নগর থেকে ইনানী রেজু ব্রিজ পর্যন্ত দি লংগেস্ট বিচ ম্যারাথনে অংশ নেন।
চকরিয়ায় ১৩টি মাদার গর্জন গাছ কেটে পাচারের ঘটনায় মামলা হয়নি
কক্সবাজারের চকরিয়ায় দিনে-দুপুরে ১৩টি শতবর্ষী মাদার ট্রি গর্জন কেটে ট্রাক ভর্তি করে পাচারের ঘটনায় ৪দিনেও মামলা হয়নি। ৬ জুন বুধবার দুপুরে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ফজলুল করিম সাইদী ও নাছির উদ্দিন চকরিয়া-মহেশখালী সড়কের রামপুর এলাকায় ১৫/২০ জন শ্রমিক নিয়ে গাছ গুলো কেটে ট্রাক যোগে প্রকাশ্যে পাচার করে নিয়ে যায়। এ দৃশ্য সাংবাদিক,থানা পুলিশ ও শত শত জনতা অবলোকন করেন। জানা যায়, চকরিয়া উপজেলার আওয়ামীলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন চেয়ারম্যানের দু‘সহোদর জসিম উদ্দিন ও নাছির উদ্দিন এবং সাবেক কমিশনার ফজলুল করিম সাইদী কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফাসিয়া খালী রেঞ্জের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে শতবর্ষীয় মাদার গর্জন গাছ কেটে পাচার করে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। পুলিশের পাহারায় ট্রাক ভর্তি করে চট্টগ্রামের বাশঁখালী,কুতুবদিয়ার বিভিন্ন ফিশিংবোট মালিকদের নিকট বিক্রি করে আসছে বলেও সুত্রে প্রকাশ। এরই ধারাবাহিকতায় ওই দিন ১৩ মাদার গর্জন গাছ কেটে দিন দুপুরে চকরিয়া-মহেশখালী সড়কের রামপুর এলাকায় চকরিয়া থানা পুলিশের এএসআই ইউনুছ সহ দুই পুলিশের উপস্থিতিতে ট্রাকে বোঝাই করার এ দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে যান চকরিয়ার সাংবাদিকসহ শত শত জনতা। ফাসিয়াখালী রেঞ্জের পক্ষ থেকে ঊর্ধবতন কর্তপক্ষের দোহায় দিয়ে কোন ধরনের আইনগত ব্যবস্থা এখনো নেননি বলে রেঞ্জ কর্মকর্তা জানান। কিন্তু ধরনের ঘটনায় গত ৩ দিনেও কোন ধরনের আইনগত পদক্ষেপ নেননি বন বিভাগ। এ ব্যাপারে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আব্দুল খালেক খান এর বক্তব্য নেয়ার জন্য বার বার মোবাইল করার পর তিনি রিসিভ করেননি। অভিযোগ উঠেছে ,স্থানীয় বনদস্যুদের সাথে সিন্ডিকেট করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গাছের যোগান দিচ্ছে স্বয়ং বনরক্ষীরা। এ ছাড়াও বনবিটে সৃজিত বাফার জোন বাগানের ২০০৩-৪-৫-৬-৭ সালের সামাজিক বনায়নের স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী বাগানের মূল্যবান গাছ গুলো বনকর্মীরা ইতিমধ্যেই স্থানীয় গাছ চোর সিন্ডিকেটের হাতে তুলে দিয়েছে। ডুলাহাজারায় বনের ভিতরে অবৈধ করাত কলে ওই সব বনের গাছ প্রকাশ্যে চেরাই করে ফিশিং বোট তৈরীর হিড়িক পড়েছে কিন্তু বন রক্ষায় নিরব ভূমিকা পালন করে বনবিভাগ।
Discussion about this post