মুখ দেখে যায় চেনা! একদল ব্রিটিশ বিজ্ঞানী বলছেন, কেউ মিথ্যে বলেছেন কি না, সেটাও নাকি মুখে লেখা থাকে। কী ভাবে বোঝা যায় সেটা? সেই গোপন রহস্যই ওই বিজ্ঞানীরা ফাঁস করেছেন। ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা বিষয়টি নিয়ে গবেষণা চালিয়েছিলেন। তাঁদের দাবি, মুখে পাঁচটি ‘টেল-টেল’ মাসল গ্রুপ রয়েছে। সেই পেশীগুলিকেই তাঁরা খুঁজে বের করেছেন।
যাবতীয় মৌখিক প্রকাশ নিয়ন্ত্রণ করে ওই পেশীগুলি। আর মিথ্যে কথা বললে তাতে বদল দেখা যায়।
মোট ৫২ জনের মুখ-বিভঙ্গ চুলচেরা বিশ্লেষণের জন্য ২৩ হাজার ছবি খতিয়ে দেখেন একদল মনোবিদ। যাঁদের নমুনা নেওয়া হয়েছিল, তাঁদের অর্ধেক খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত, অর্ধেক নিখোঁজ আত্মীয়দের খুঁজে দেওয়ার জন্য জনতার কাছে কাতর আবেদন করছেন।
বিজ্ঞানীরা এও বলেছেন, সত্যিকারের দুঃখ বোঝা যায় ভ্রু এবং গাল-ঠোঁটের মাঝখানের দুটি পেশী দেখে। এ ভাবেই অন্য পেশীর বদল দেখা মিথ্যেবাদীকে চিহ্ণিত করা যায়। মিথ্যে বলার জন্য অধিক মনঃসংযোগ লাগে। এর ফলেই নির্দিষ্ট বদল ধরা পড়ে মুখমণ্ডলে।
Discussion about this post