বাংলার বার্তা রিপোর্টঃ রোববার ২৭ জুলাই দেশটির গনমাধ্যমের একটি রিপোর্টের তথ্যমতে ১ জানুয়ারী ২০২৫ থেকে জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের পুরুষ ও নারী অবৈধ বাসিন্দা এবং শ্রম আইন লঙ্ঘনকারী ১৯,০০০ এরও বেশি বিভিন্ন দেশের প্রবাসীকে কুয়েত থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। চলতি বছরের শুরু থেকে আইন প্রয়োগকারীর অভিযানে কুয়েতের বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয়েছিলো তাদের। বহিষ্কৃত ব্যক্তিদের মধ্যে পলাতক মামলায় অভিবাসী, হকার, ভিক্ষুক এবং বসবাস ও শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ছিলেন। মদ্যপান, মাদক বা মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার সম্পর্কিত অপরাধের জন্যও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল অনেককে, জনস্বার্থে তাদেরও নির্বাসন দেওয়া হয়েছিল । বেশিরভাগ বহিষ্কৃত ব্যক্তি তাদের গন্তব্য এবং ফ্লাইটের প্রাপ্যতার উপর নির্ভর করে এক সপ্তাহের মধ্যেও তাদের প্রস্থান সম্পন্ন করে, অভিযানে আটককৃতদের নিজ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়াটি সাধারণত দ্রুত হয় । বিতারিতদের আঙুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক) সংগ্রহ করা হয় এবং তাদের নাম স্থায়ীভাবে ‘কালো তালিকায়’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তারা আগামীতে আর কখনো কুয়েতে প্রবেশ করতে পারবেন না।কুয়েতে ভিক্ষাবৃত্তি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং এটি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। তবুও প্রতিবছর রমজান মাস এলেই কিছু বিদেশি নাগরিক এই নিষিদ্ধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। গত রমজানে কুয়েত প্রশাসন ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে বিভিন্ন দেশের ৬০ জন পুরুষ ও নারীকে আটক করে। তদন্ত শেষে তাদের সকলকে দেশ থেকে চিরতরে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কৃতদের কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আঙুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক) সংগ্রহ করা হয় এবং তাদের নাম স্থায়ীভাবে ‘কালো তালিকায়’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর ফলে তারা আর কখনো কুয়েতে প্রবেশ করতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জনসাধারণকে আহ্বান জানিয়েছে ভিক্ষাবৃত্তি কিংবা অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে নিরাপত্তা বাহিনীকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে।
Discussion about this post