
কুয়েতে প্রথমবারের মতো ‘এমিরেটস ওয়ার্ল্ড ফ্যালকন রেসিং কাপ’ চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধন হয়েছে। এমিরেটস এবং আন্তর্জাতিক ফ্যালকন ফেডারেশনের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতা কুয়েতের কাবাদে উট রেসিং ক্লাব সংলগ্ন মাঠে চলছে এই প্রতিযোগিতা। শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর রোববার পর্যন্ত চলবে। টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটির সদস্য, কুয়েত ফ্যালকনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও পপুলার গেমসের সভাপতি এবং আন্তর্জাতিক ফ্যালকনার্স ফেডারেশনের সদস্য সাইফ আল শালাহি জানান, এই প্রতিযোগিতায় সাতটি ভিন্ন রাউন্ড রয়েছে, যেগুলোর প্রতিটিই এক বছরের কম বয়সী বাজপাখির জন্য নির্ধারিত ‘ছানা বিভাগে’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তিনি বলেন, মূল চ্যাম্পিয়নশিপ কাপের ফাইনাল রাউন্ড ছাড়াও বিশেষ দুটি বিভাগ রাখা হয়েছে একটি মুক্ত পরিবেশের বাজপাখির জন্য এবং আরেকটি খামারে জন্ম নেওয়া বাজপাখির জন্য। প্রতিটি বিভাগ থেকে পাঁচটি করে বাজপাখি মূল পর্বে ‘পিওর গের’, ‘গের শাহিন’, ‘কারমুশা’ এবং ‘গের তাবা’ বিভাগে প্রতিযোগিতা করবে। আল-শালাহি জানান, এই চ্যাম্পিয়নশিপ প্রথমবারের মতো সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাইরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং মহামান্য কুয়েতের আমির শেখ মেশাল আল আহমদ আল জাবের আল সাবাহর নির্দেশনায় কুয়েত রাষ্ট্র এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এর লক্ষ্য হলো আগামী বছরগুলোতে কুয়েতকে সূচনা কেন্দ্র হিসেবে রেখে পরবর্তীতে বিশ্বের বিভিন্ন মহাদেশে এই প্রতিযোগিতাকে বিশ্বব্যাপী ইভেন্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। কুয়েতি উট রেসিং ক্লাবে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে অর্ধ মিলিয়ন আমিরাতি দিরহাম (প্রায় ৪০,০০০ কেডি) মূল্যের নগদ পুরস্কার। আয়োজক কমিটি জানায়, বাজপাখি আরব উপসাগরীয় অঞ্চলের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও অভিন্ন পরিচয়ের একটি মূল্যবান প্রতীক যা ঐক্য ও ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতাকে শক্তিশালী করে। কুয়েতে এমিরেটস ওয়ার্ল্ড ফ্যালকন রেসিং কাপের প্রথম সংস্করণের উদ্বোধনকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে এক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এটি দুই দেশের গভীর সম্পর্ক, আন্তরিক ভ্রাতৃত্ব ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার বন্ধনকে আরও মজবুত করে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ মনসুর বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের নির্দেশে এবং দুবাইয়ের দ্বিতীয় উপ শাসক ও এমিরেটস ফ্যালকনার্স ক্লাবের সভাপতি শেখ আহমেদ বিন মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০২৫–২০২৬ মৌসুম থেকে প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন মহাদেশে এই বিশ্বকাপ আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। আর সেই বিশ্বব্যাপী যাত্রার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে কুয়েতই হয়ে উঠেছে এ চ্যাম্পিয়নশিপের সূতিকাগার।









Discussion about this post