চিরকালের শ্রেষ্ঠ কিশোর কবিতা
রচনায়: গাজী আবু হানিফ
১.
মানবতা
মানবতা সব মানুষের
আদর্শের হোক মূল,
ধর্ম জাতি ভেদ ছাড়িয়ে
গন্ধ বিলায় ফুল।
কেবা হিন্দু মুসলিম খ্রিস্টান
ফুল কি বিচার করে?
আপনার সব রূপ সৌন্দর্য
বিলায় সবার তরে।
সবাই তাকে আদর করে
নেয় রে ঘরে তোলে,
সৃস্টিকর্তার প্রেমে পড়ে
যায়রে হিংসা ভুলে।
এমন করে মানবতায়
সমাজ গঠন কর,
সকল জাতি মিলেমিশে
সুস্থ জীবন গড়।
যে যার ধর্ম পালন কর
স্বাধীন সুখী মনে,
এর চেয়ে কি শান্তি আছে
এই নিখিল ভুবনে।
রচনাকাল: ২২ অক্টোবর ২০২৫
২.
মানব জীবন
মানুষ হয়ে জন্মিলেও
হয় না মানুষ
মানুষ হতে হলে চাই
শিক্ষা সু-হুস।
চাই প্রতি পদে পদে
লক্ষ্য আশা ধ্যান,
চাই শক্তি মনোবল
স্বপ্ন সাহস জ্ঞান।
মা-বাবা ওস্তাদ তরে
চাই শ্রদ্ধা ভক্তি,
ঈশ্বরে সদা থেকো
অবিচল ণতি।
হইও না দূর্বল ভীরু
পথে চলিতে,
কুন্ঠিত হইও নাগো
অন্যায় দলিতে।
সততায় সৎ পথে হে-
করিও গমন
তাতেই ধন্য হবে তোমার
মানব জীবন।
রচনাকাল: ২২ অক্টোবর ২০২৫
৩.
ধন্য মানব জীবন
মায়ের মত এই ভুবনে আপন কেহ নাই
ভালোবাসো সুখেদুঃখে এমন মাকে ভাই।
বিপদ এলে মা’র স্মরণে
লুকায় ভয়ে গভীর বনে
স্বয়ং স্রস্টা নিরাপদে দেয় তাহারে ঠাঁই।
মায়ের এমন শক্তি আছে সকল শক্তির মূল
সে শক্তিতে জগত জুড়ে ফোটে আলোর ফুল।
সকল আঁধার যায় লুকিয়ে
দেয় যে সুখের রং মাখিয়ে
এমন মায়ের সাথে কি হয় ধরণীতে তুল?
মায়ের পদতলে আছে স্বর্গ নরক খোদার
সেবায় মিলে সুখশান্তি তার নইলে নরক দ্বার।
রবি শশী গ্রহ তারা
মায়ের পদে আত্মহারা
চির নতজানু থাকে সাগর নদী পাহাড়।
জন্ম থেকে কোলেপিঠে যেবা মানুষ করে
করছে বড় আদরযত্ন শত কষ্ট পরে।
এমন মাকে কষ্ট দিলে
আরশ কাঁপে তিলে তিলে
অভিশপ্ত জীবন নিয়ে সন্তান বাঁচে ওরে।
শীতের দিনে গরম ওমে মা যে রাখে কোলে
কত সন্তান এ যে সময় যায়রে একদিন ভুলে।
ভিজা বিছ্নায় নিজে ঘুমায়
সন্তান রাখে তার শুকনায়
এমন ত্যাগ করেও মা,ভাসে নয়ন জলে।
তাই তো বলি,ও বাছাধন, মায়ের কর যতন
ত্রিভুবনে হবে তোমার ধন্য মানব জীবন।
৪.
স্বাধীনতা
স্বাধীনতা জন্ম থেকেই সবার অধিকার
স্বাধীন যেমন জন্মভূমি রবি শশী তারার।
মুক্ত মনে পাখি মেলে নীল গগনে ডানা,
যেথা খুশি যায় রে সেথা নেই কোনো তার মানা।
মুক্ত আকাশ মুক্ত বাতাস যেমন খুশি বয়,
ঐ যে দেখো, মাঠের কৃষক রাখাল যেমন হয়।
স্বাধীন যেমন নিজের বাড়ি যেমন খুশি চলা,
নিজের কথা গল্প কাঁথা যত খুশি বলা।
নিজ ভাষাতে নিজ দেশেতে সুখ যে হেসে খেলে,
পরের অধীন পরের ভাষায় সুখ কি তেমন মেলে?
তাইতো বলি,চিরদিন কেউ রয় কি পরের অধীন,
মুক্তি প্রাণা মানুষ ঠিকই হয় রে স্বাধীন একদিন।
নিজ ভূমিতে বাঁচে তারা নিজের পরিচয়ে,
বিশ্বে করে মাথা উঁচু দিগ্বিজয়ী হয়ে।
৫.
বাড়ি
বাড়ির শোভা গাছগাছালি ফুলফলাদির হাসি,
মা-বাবা, ভাই – বোন সকলের বন্ধন তারকা রাশি।
শত ক্লান্তি শেষে আমরা ফিরি যখন ঘরে,
মায়ের মুখের হাসি দেখে মনটা তখন ভরে।
ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া বিবাদ কেউ করো না ভাই,
খুশি হয়ে শান্তির আলো দেবেন নিখিল সাঁই।
মিলেমিশে হও যে বড় জীবন মরণ কাল,
বৃক্ষের মত ধরে রেখো আঁকড়ে কান্ড ডাল।
সুখেদুখে পরস্পরে পাশে সদা থেকো,
মা-বাবাকে শত ঘাতে বুকের মাঝে রেখো।
তাদের সেবায় স্রস্টা খুশি কাটবে অভাব ঘোর,
বিপদআপদ দূরে গিয়ে আসবে সুখের ভোর।
৬.
বই
বই যে হলো জ্ঞানীর বাণী
শিক্ষা দীক্ষার মূল,
বই পড়িলে ফোটবে মনে
জ্ঞানের আলো ফুল।
লেখাপড়া করতে হলে
পড়তেই হবে বই,
ভালো বইয়ে মন ভালো হয়
পড়ে দেখ না, সই।
জগত জুড়ে জ্ঞানী গুণী
ইতিহাসের সেরা,
তাদের জ্ঞানও পাবে তুমি
খোঁজে বইয়ের ডেরা।
ধর্ম জ্ঞানও কর্মজ্ঞানও
পাবে বইয়ের মাঝে,
বই পড়িলে মুর্খ মানুষ
আলোতে তার সাজে।
আলোকিত মানুষ হতে
বইয়ের বিকল্প নাই,
তাই তো আমি আলো পেতে
বইকে পড়ি ভাই।
রচনাকাল: ২৩ অক্টোবর ২০২৫
৭.
জননী জন্মভূমি
জননী জন্মভূমি স্বর্গ হতে খাসা
মায়ের মতো যে পাই তার ভালোবাসা।
তাঁর মাটি ফুল-ফল আলো বায়ু জল
দিতেছে জীবন আমায় পবিত্র নির্মল।
জন্ম থেকে মায়ের মতো পান করি স্তন
শীত গ্রীষ্ম শান্তি দিয়ে বাঁচায় জীবন।
হাসি গান খেলাধুলা কতো করি তায়
রাত হলে বিশ্রামে যাই -তার বিছানায়।
তাঁরই মাটির পরশ -সুস্থ রাখে প্রাণ
মায়ের মমতার মতো সুখ করে দান।
মা যেমন হাত ধরে হাঁটতে শেখায়
মাটি তার দেয় ঠাঁই বুকেতে আমায়।
তাঁর বুকে স্বাধীনতায় সুখে বড় হই
এমন জন্মভূমি বলো,পাবো আর কই?
কোথা নেই ষড়ঋতুর এমন আর দেশ
নেই এতো শান্তি শীতল মুগ্ধ পরিবেশ।
আহা! কতো সুখ শান্তি তাঁর বুকে খেলে
ভোর হলে পাখি তার সুখে ডানা মেলে।
আলো ঝরা ভোর জাগে পাখিদের গানে
ফুলে ফুলে ঘ্রাণ মেখে সুখ দেয় প্রাণে।
এমন সুখের জন্মভূমি, আর প্রিয় মা
কোনো দেশের সাথে যে তাঁর হবে না তুলনা।
জননী জন্মভূমি – শ্রেষ্ঠ স্বর্গ হতে
ভালো তারে বেসে যাও পুন্য মহা ব্রতে।
৮.
এই দেশটাকে মাতাপিতার মতো ভালোবাসতে হবে
এই দেশটাকে মায়ের মতো ভালোবাসতেই হবে
ভালোবাসতে হবে পিতার বলিষ্ঠ বীরত্বের মতো ;
হতে হবে যোগ্য উত্তরসূরী
হতে হবে একজন বলিষ্ঠ প্রাণ ন্যায়বাদী আদর্শ মানুষ।
এই দেশ আমাদের নাভি কাটা জন্মভূমি
ঔরসজাত দেশ লক্ষ লক্ষ দেশপ্রেমিকের
যাদের রক্তের প্রাণের দান তার প্রতিটি বালুকণা
প্রতি ইঞ্চি মাটি।
এই দেশ অনেক ত্যাগ সাধনায় পাওয়া দেশ
এই দেশ নতুনদের জন্য রেখে যাওয়া আমানত
এই দেশ পবিত্র ভালোবাসার হৃদয়ের নিংড়ানো
প্রেমের এক মানচিত্র দান।
এই দেশটাকে নিজ প্রাণের মতো ভালোবাসত হবে
নিজেকে তৈরি করতে হবে তার যোগ্যতম নাগরিক করে
আর উন্নত প্রযুক্তির করতে হবে ব্যবহার
প্রতিযোগিতায় আমরাও রইবো না পিছিয়ে।
১৭ অক্টোবর ২০২৫
৯.
আমি যদি মানুষ হই
গাজী আবু হানিফ
আমি যদি মানুষ হই পৃথিবীর সমান
তবেই পেয়েছি জানব মানুষের প্রাণ;
তাতেই হতে পারব সেরূপ উদার
সেরূপ মমতায় প্রেমেরই দান।
আমি যদি মানুষ হই সূর্যের সমান
আরও আরও মনুষ্যত্বে হবো মহান
সকলের তরে আমি বিলাবো আলো
তবেই হতে পারি ধার্মিক প্রাণ।
আমি যদি মানুষ হই সৃষ্টি সমান
তবেই হয়েছি জানব শ্রেষ্ঠ ইনসান
সকলের তরে আমি হবো উজার
ভালোবাসায় হতে পারি নীল আসমান।
রচনাকাল: ২৩ অক্টোবর ২০২১
১০.
দেশপ্রেম
দেশ প্রম আছে যার সে-ই মহান
কে আছে মহাপ্রাণ তার সমান?
দেশপ্রেমিক চিরদিন
দেশের তরে হয় লীন
সংসারে থাকে তার যশখ্যাতি দান
মীরজাফর চিরকাল কুখ্যাতি প্রাণ।
দেশপ্রেমিক দেশের তরে থাকে জাগ্রত
লোভ লালসা ভোগবিলাসে নয় সে বিব্রত
সকলের তরেতে সে
কাজ করে ভালোবেসে
জাতপাত হিংসা নিন্দা ভুলে সে রয়
সে জানে দেশের মানুষ এই পরিচয়।
নিজ ধর্মে পর ধর্মে জানায় সম্মান
মিলেমিশে থাকে সবে নিয়ে শান্ত প্রাণ।
করে না সে রক্তপাত
অকারণে ভুল সংঘাত
ধৈর্যে শৈর্য্যে চলে পথ শান্তি নীতি মেনে
তার পথে নিয়ে যায় সে অন্যদের টেনে।
দেশপ্রেমের গুণ থাকা সকলের চাই,
তবে সেরা মানুষ হবে জগতে হে ভাই।
নিজকে সেরূপে গড়ো
দেশেরও সেবা করো
দেশপ্রেম হীনে মানুষ পশুর সমান
দেশপ্রেমিক পায় শ্রেষ্ঠ ঈশ্বরের দান।
দল দিয়ে মত দিয়ে করো না বিচার
সকলের উর্ধ্বে সে সূর্যালোক বাহার
তার আলোয় আলোকিত
জগত হয় জাগরিত
সুখের স্বাচ্ছন্দ্যের ঐ বয় রে জোয়ার
সকলের তরে সে তেমন উপহার।
গাজী আবু হানিফ এর
দশটি শ্রেষ্ঠ কিশোর কবিতা :
১.মানবতা
মানবতা সব মানুষের আদর্শের হোক মূল,
ধর্ম জাতি ভেদ ছাড়িয়ে গন্ধ বিলায় ফুল।
কেবা হিন্দু মুসলিম খ্রিস্টান ফুল কি বিচার করে?
আপনার সব রূপ সৌন্দর্য বিলায় পরের তরে।
সবাই তাকে আদর করে নেয় রে ঘরে তোলে,
সৃস্টিকর্তার প্রেমে পড়ে যায়রে হিংসা ভুলে।
এমন করে মানবতায় সমাজ গঠন কর,
সকল জাতি মিলেমিশে সুস্থ জীবন গড়।
যে যার ধর্ম পালন কর স্বাধীন সুখী মনে,
এর চেয়ে কি শান্তি আছে এই নিখিল ভুবনে।
রচনাকাল: ২২ অক্টোবর ২০২৫
২.মানব জীবন
মানুষ হয়ে জন্মিলেও
হয় না মানুষ
মানুষ হতে হলে চাই
শিক্ষা সু-হুস।
চাই প্রতি পদে পদে
লক্ষ্য আশা ধ্যান,
চাই শক্তি মনোবল
স্বপ্ন সাহস জ্ঞান।
মা-বাবা ওস্তাদ তরে
চাই শ্রদ্ধা ভক্তি,
ঈশ্বরে সদা থেকো
অবিচল ণতি।
হইও না দূর্বল ভীরু
পথে চলিতে,
কুন্ঠিত হইও নাগো
অন্যায় দলিতে।
সততায় সৎ পথে হে-
করিও গমন
তাতেই ধন্য হবে তোমার
মানব জীবন।
রচনাকাল: ২২ অক্টোবর ২০২৫
৩.ধন্য মানব জীবন
মায়ের মত এই ভুবনে আপন কেহ নাই
ভালোবাসো সুখেদুঃখে এমন মাকে ভাই।
বিপদ এলে মা’র স্মরণে
লুকায় ভয়ে গভীর বনে
স্বয়ং স্রস্টা নিরাপদে দেয় তাহারে ঠাঁই।
মায়ের এমন শক্তি আছে সকল শক্তির মূল
সে শক্তিতে জগত জুড়ে ফোটে আলোর ফুল।
সকল আঁধার যায় লুকিয়ে
দেয় যে সুখের রং মাখিয়ে
এমন মায়ের সাথে কি হয় ধরণীতে তুল?
মায়ের পদতলে আছে স্বর্গ নরক খোদার
সেবায় মিলে সুখশান্তি তার নইলে নরক দ্বার।
রবি শশী গ্রহ তারা
মায়ের পদে আত্মহারা
চির নতজানু থাকে সাগর নদী পাহাড়।
জন্ম থেকে কোলেপিঠে যেবা মানুষ করে
করছে বড় আদরযত্ন শত কষ্ট পরে।
এমন মাকে কষ্ট দিলে
আরশ কাঁপে তিলে তিলে
অভিশপ্ত জীবন নিয়ে সন্তান বাঁচে ওরে।
শীতের দিনে গরম ওমে মা যে রাখে কোলে
কত সন্তান এ যে সময় যায়রে একদিন ভুলে।
ভিজা বিছ্নায় নিজে ঘুমায়
সন্তান রাখে তার শুকনায়
এমন ত্যাগ করেও মা,ভাসে নয়ন জলে।
তাই তো বলি,ও বাছাধন, মায়ের কর যতন
ত্রিভুবনে হবে তোমার ধন্য মানব জীবন।
৪.স্বাধীনতা
স্বাধীনতা জন্ম থেকেই সবার অধিকার
স্বাধীন যেমন জন্মভূমি রবি শশী তারার।
মুক্ত মনে পাখি মেলে নীল গগনে ডানা,
যেথা খুশি যায় রে সেথা নেই কোনো তার মানা।
মুক্ত আকাশ মুক্ত বাতাস যেমন খুশি বয়,
ঐ যে দেখো, মাঠের কৃষক রাখাল যেমন হয়।
স্বাধীন যেমন নিজের বাড়ি যেমন খুশি চলা,
নিজের কথা গল্প কাঁথা যত খুশি বলা।
নিজ ভাষাতে নিজ দেশেতে সুখ যে হেসে খেলে,
পরের অধীন পরের ভাষায় সুখ কি তেমন মেলে?
তাইতো বলি,চিরদিন কেউ রয় কি পরের অধীন,
মুক্তি প্রাণা মানুষ ঠিকই হয় রে স্বাধীন একদিন।
নিজ ভূমিতে বাঁচে তারা নিজের পরিচয়ে,
বিশ্বে করে মাথা উঁচু দিগ্বিজয়ী হয়ে।
৫.বাড়ি
বাড়ির শোভা গাছগাছালি ফুলফলাদির হাসি,
মা-বাবা, ভাই – বোন সকলের বন্ধন তারকা রাশি।
শত ক্লান্তি শেষে আমরা ফিরি যখন ঘরে,
মায়ের মুখের হাসি দেখে মনটা তখন ভরে।
ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া বিবাদ কেউ করো না ভাই,
খুশি হয়ে শান্তির আলো দেবেন নিখিল সাঁই।
মিলেমিশে হও যে বড় জীবন মরণ কাল,
বৃক্ষের মত ধরে রেখো আঁকড়ে কান্ড ডাল।
সুখেদুখে পরস্পরে পাশে সদা থেকো,
মা-বাবাকে শত ঘাতে বুকের মাঝে রেখো।
তাদের সেবায় স্রস্টা খুশি কাটবে অভাব ঘোর,
বিপদআপদ দূরে গিয়ে আসবে সুখের ভোর।
৬.বই
বই যে হলো জ্ঞানীর বাণী
শিক্ষা দীক্ষার মূল,
বই পড়িলে ফোটবে মনে
জ্ঞানের আলো ফুল।
লেখাপড়া করতে হলে
পড়তেই হবে বই,
ভালো বইয়ে মন ভালো হয়
পড়ে দেখ না, সই।
জগত জুড়ে জ্ঞানী গুণী
ইতিহাসের সেরা,
তাদের জ্ঞানও পাবে তুমি
খোঁজে বইয়ের ডেরা।
ধর্ম জ্ঞানও কর্মজ্ঞানও
পাবে বইয়ের মাঝে,
বই পড়িলে মুর্খ মানুষ
আলোতে তার সাজে।
আলোকিত মানুষ হতে
বইয়ের বিকল্প নাই,
তাই তো আমি আলো পেতে
বই যে পড়ি ভাই।
রচনাকাল: ২৩ অক্টোবর ২০২৫
৭.জননী জন্মভূমি
জননী জন্মভূমি স্বর্গ হতে খাসা
মায়ের মতো যে পাই তার ভালোবাসা।
তাঁর মাটি ফুল-ফল আলো বায়ু জল
দিতেছে জীবন আমায় পবিত্র নির্মল।
জন্ম থেকে মায়ের মতো পান করি স্তন
শীত গ্রীষ্ম শান্তি দিয়ে বাঁচায় জীবন।
হাসি গান খেলাধুলা কতো করি তায়
রাত হলে বিশ্রামে যাই -তার বিছানায়।
তাঁরই মাটির পরশ -সুস্থ রাখে প্রাণ
মায়ের মমতার মতো সুখ করে দান।
মা যেমন হাত ধরে হাঁটতে শেখায়
মাটি তার দেয় ঠাঁই বুকেতে আমায়।
তাঁর বুকে স্বাধীনতায় সুখে বড় হই
এমন জন্মভূমি বলো,পাবো আর কই?
কোথা নেই ষড়ঋতুর এমন আর দেশ
নেই এতো শান্তি শীতল মুগ্ধ পরিবেশ।
আহা! কতো সুখ শান্তি তাঁর বুকে খেলে
ভোর হলে পাখি তার সুখে ডানা মেলে।
আলো ঝরা ভোর জাগে পাখিদের গানে
ফুলে ফুলে ঘ্রাণ মেখে সুখ দেয় প্রাণে।
এমন সুখের জন্মভূমি, আর প্রিয় মা
কোনো দেশের সাথে যে তাঁর হবে না তুলনা।
জননী জন্মভূমি – শ্রেষ্ঠ স্বর্গ হতে
ভালো তারে বেসে যাও পুন্য মহা ব্রতে।
৮.এই দেশটাকে মাতাপিতার মতো ভালোবাসতে হবে
এই দেশটাকে মায়ের মতো ভালোবাসতেই হবে
ভালোবাসতে হবে পিতার বলিষ্ঠ বীরত্বের মতো ;
হতে হবে যোগ্য উত্তরসূরী
হতে হবে একজন বলিষ্ঠ প্রাণ ন্যায়বাদী আদর্শ মানুষ।
এই দেশ আমাদের নাভি কাটা জন্মভূমি
ঔরসজাত দেশ লক্ষ লক্ষ দেশপ্রেমিকের
যাদের রক্তের প্রাণের দান তার প্রতিটি বালুকণা
প্রতি ইঞ্চি মাটি।
এই দেশ অনেক ত্যাগ সাধনায় পাওয়া দেশ
এই দেশ নতুনদের জন্য রেখে যাওয়া আমানত
এই দেশ পবিত্র ভালোবাসার হৃদয়ের নিংড়ানো
প্রেমের এক মানচিত্র দান।
এই দেশটাকে নিজ প্রাণের মতো ভালোবাসতে হবে
নিজেকে তৈরি করতে হবে তার যোগ্যতম নাগরিক করে
আর উন্নত প্রযুক্তির করতে হবে ব্যবহার
প্রতিযোগিতায় আমরাও রইবো না পিছিয়ে।
১৭ অক্টোবর ২০২৫
৯.আমি যদি মানুষ হই
আমি যদি মানুষ হই পৃথিবীর সমান
তবেই পেয়েছি জানব মানুষের প্রাণ;
তাতেই হতে পারব সেরূপ উদার
সেরূপ মমতায় প্রেমেরই দান।
আমি যদি মানুষ হই সূর্যের সমান
আরও আরও মনুষ্যত্বে হবো মহান
সকলের তরে আমি বিলাবো আলো
তবেই হতে পারি ধার্মিক প্রাণ।
আমি যদি মানুষ হই সৃষ্টি সমান
তবেই হয়েছি জানব শ্রেষ্ঠ ইনসান
সকলের তরে আমি হবো উজার
ভালোবাসায় হতে পারি নীল আসমান।
রচনাকাল: ২৩ অক্টোবর ২০২১
১০.দেশপ্রেম
দেশ প্রম আছে যার সে-ই মহান
কে আছে মহাপ্রাণ তার সমান?
দেশপ্রেমিক চিরদিন
দেশের তরে হয় লীন
সংসারে থাকে তার যশখ্যাতি দান
মীরজাফর চিরকাল কুখ্যাতি প্রাণ।
দেশপ্রেমিক দেশের তরে থাকে জাগ্রত
লোভ লালসা ভোগবিলাসে নয় সে বিব্রত
সকলের তরেতে সে
কাজ করে ভালোবেসে
জাতপাত হিংসা নিন্দা ভুলে সে রয়
সে জানে দেশের মানুষ এই পরিচয়।
নিজ ধর্মে পর ধর্মে জানায় সম্মান
মিলেমিশে থাকে সবে নিয়ে শান্ত প্রাণ।
করে না সে রক্তপাত
অকারণে ভুল সংঘাত
ধৈর্যে শৈর্য্যে চলে পথ শান্তি নীতি মেনে
তার পথে নিয়ে যায় সে অন্যদের টেনে।
দেশপ্রেমের গুণ থাকা সকলের চাই,
তবে সেরা মানুষ হবে জগতে হে ভাই।
নিজকে সেরূপে গড়ো
দেশেরও সেবা করো
দেশপ্রেম হীনে মানুষ পশুর সমান
দেশপ্রেমিক খেতাব শ্রেষ্ঠ ঈশ্বরের দান।
দল দিয়ে মত দিয়ে করো না বিচার
সকলের উর্ধ্বে সে সূর্যালোক বাহার
তার আলোয় আলোকিত
জগত হয় জাগরিত
সুখের স্বাচ্ছন্দ্যের ঐ বয় রে জোয়ার
সকলের তরে সে তেমন উপহার।







Discussion about this post