
কিংডম অব থাইল্যান্ডের জাতীয় দিবস উপলক্ষে কুয়েতের রয়্যাল থাই দূতাবাস এক মনোমুগ্ধকর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করে। মঙ্গলবার রাতে দ্য রিজেন্সি হোটেলের মাহা বলরুমে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের আন্তরিক অভ্যর্থনা জানান কুয়েতে নিযুক্ত রয়্যাল থাই দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মিসেস উরাইওয়ান কোর্টাউড। অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিক মিশনের শীর্ষ কর্মকর্তারা, কুয়েতের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি, কুয়েতে বসবাসরত থাই সম্প্রদায়ের সদস্য এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা। থাইল্যান্ডের জাতীয় দিবস উপলেক্ষে আয়োজিত এই বার্ষিক কূটনৈতিক সমাবেশে কুয়েতি-থাই সম্পর্কের উষ্ণতা ও সৌহার্দ্যের প্রতিফলন দেখা যায়।

চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মিসেস উরাইওয়ান কোর্টাউড তার বক্তব্যে বলেন এই দিবসটি থাই জনগণের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটি থাইল্যান্ডের জাতীয় দিবস, পিতা দিবস এবং মহান রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদেজের জন্মদিন। তিনি উল্লেখ করেন, রাজা ভূমিবল তার দীর্ঘ ৭০ বছরের শাসনকালে জনগণের কল্যাণ, কৃষি উন্নয়ন, গ্রামীণ জীবনমান উন্নয়ন এবং পরিবেশ রক্ষায় অসংখ্য যুগান্তকারী উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছিলেন। তার মানবিক নেতৃত্ব থাই জাতিকে একটি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ জাতিতে রূপ দিয়েছে। ১৯৬৩ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে থাইল্যান্ড ও কুয়েতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ক্রমেই দৃঢ় হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন দুই দেশের সম্পর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সত্যনিষ্ঠ সহযোগিতা, গঠনমূলক আলোচনার মনোভাব এবং দীর্ঘমেয়াদি সমর্থনের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্কে তিনি জানান, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে থাইল্যান্ড ও কুয়েতের মধ্যে মোট বাণিজ্যের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। থাই পণ্য কুয়েতের বাজারে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে আগামী বছরগুলোতে এই বাণিজ্য আরও ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে কুয়েত এখন মধ্যপ্রাচ্যে থাইল্যান্ডের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল পর্যটন বাজার। প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক কুয়েতি নাগরিক চিকিৎসা, পর্যটন, কেনাকাটা এবং অবকাশযাপনের উদ্দেশ্যে থাইল্যান্ড ভ্রমণ করেন, যা দুই দেশের জনগণের মধ্যে আন্তরিকতা ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানকে আরও গভীর করছে। বক্তব্যের শেষে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স বলেন কুয়েতে অবস্থিত রয়্যাল থাই দূতাবাস সর্বদা কুয়েত, এর জনগণ এবং ব্যবসায়িক সম্প্রদায়কে সর্বোত্তম সেবা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা দুই দেশের সার্বিক সম্পর্ক অর্থনীতি, সংস্কৃতি, জনসম্পর্ক ও কূটনীতির ক্ষেত্রে আরও উন্নত করতে পূর্ণ সহযোগিতা অব্যাহত রাখবো। অনুষ্ঠানে থাই ঐতিহ্যবাহী খাবার অতিথিদের মনোযোগ কাড়ে। কূটনৈতিক সৌহার্দ্য, উন্নয়ন ও বন্ধুত্বের এক সেতুবন্ধন হিসেবে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান থাই-কুয়েত সম্পর্ককে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিল।

কিংডম অফ থাইল্যান্ড এর কুয়েতে রয়েল থাই দূতাবাসের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স মিসেস উরাইওয়ান কোর্টাউড এর সাথে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব কুয়েত’র সভাপতি মঈন উদ্দিন সরকার সুমন








Discussion about this post