কুয়েতের স্থানীয় মাছ বিক্রি এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রায় ১ মিলিয়ন দিনারে পৌঁছেছে। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর সদ্য প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, জানুয়ারি থেকে মার্চ এই তিন মাসে মোট ৫০৮ টন মাছ বিক্রি হয়েছে, যার বাজারমূল্য দাঁড়িয়েছে ৯৭০,৫১১ দিনার। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এ সময়ে কুয়েতের জলসীমায় সাধারণত ধরা পড়া ২৫ প্রজাতির মধ্যে চিংড়ি, মেইড, হালাওয়ায়া এবং কাসুর মাছ অনুপস্থিত ছিল। বিশেষ করে চিংড়ি ধরা নিষিদ্ধ থাকায় (প্রতি বছর আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়) সরবরাহ সীমিত ছিল। প্রজাতি অনুযায়ী শীর্ষ ধরা মাছ নুওয়াইবি: সর্বাধিক ধরা মাছ, মোট ১১৭ টন। বাজারমূল্য প্রায় ২,৪০,০০০ দিনার। কিংফিশ (জানুয়ারি): ৩৭ টন ধরা পড়ে, মূল্য ৫৬,০০০ দিনার। তেলাপিয়া (ফেব্রুয়ারি): ৫১ টন বিক্রি, মূল্য ১,০১,০০০ দিনার। তেলাপিয়া (মার্চ): ৪৬ টন বিক্রি, মূল্য ৮৮,০০০ দিনার। মাসভিত্তিক পরিসংখ্যান জানুয়ারি: ১৯২ টন মাছ, মূল্য ৩,৪০,০০০ দিনার। ফেব্রুয়ারি: ১৬৭ টন মাছ, মূল্য ৩,২৫,০০০ দিনার। মার্চ: ১৪৮ টন মাছ, মূল্য ৩,০৪,০০০ দিনার। পরিসংখ্যানে আরও বলা হয়েছে, কুয়েতের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক জলসীমায় অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব বহনকারী প্রজাতির মধ্যে রয়েছে চিংড়ি, সামুদ্রিক ব্রিম এবং গ্রুপার মাছ। সামগ্রিকভাবে, চিংড়ি নিষেধাজ্ঞার কারণে সরবরাহ কিছুটা কম হলেও প্রথম প্রান্তিকে মাছ বিক্রির বাজার প্রায় ১ মিলিয়ন দিনারের ঘর ছুঁয়ে দেশের মৎস্য খাতের শক্তিশালী অবস্থান ফুটিয়ে তুলেছে।
Discussion about this post