
কর্মব্যস্তময় প্রবাসজীবনে কুয়েত প্রবাসীদের দেশীয় সংস্কৃতি ইতিহাস ঐতিহ্যের স্বাদ নিতে অপেক্ষায় থাকতে হয় কোন সংগঠনের সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কিংবা পিঠা উৎসবের। অনেক সংগঠন এমন আয়োজন করে তাদের নিজস্ব সংস্কৃতির জানান দিয়েও তৃপ্তি পায়।
প্রবাস জীবনে সবাই যে যার কর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। নিজগ্রাম শহর কিংবা জেলার পরিচিতজন প্রিয়জন অনেকের সাথে দেখা হয় না মাসের পর মাস বছরের পর বছর কর্ম ব্যস্তময় প্রবাস জীবনে। এসব প্রবাসীদের বিনোদনের জায়গা বলতে কোন প্রবাসী সংগঠনের আয়োজনে কোন এক অনুষ্ঠান। হোক সেটা আঞ্চলিক, সামাজিক, কিংবা সাংগঠনিক। কোন উৎসবের কথা শুনলেই সাধারণ প্রবাসীরা যেন হুমড়ি খেয়ে পড়েন এসব অনুষ্ঠানে। আবার প্রবাসে থাকা অনেক সংগঠন তাদের ঐতিহ্য ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে প্রতিবছরই কোন না কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন। শীতের আগমন উপলক্ষে কুয়েতে হোমনা থানার প্রবাসীদের উদ্যোগে দুইদিনব্যাপী মিলন মেলার আয়োজন করে কুয়েতে মরু অঞ্চল কাবাদ। মেলায় দেশীয় সংস্কৃতির গানবাজনার পাশাপাশি হোমনা প্রবাসী গৃহিণীদের তৈরী ঐতিহ্যবাহী নানা পিঠাপুলির সমারোহ ঘটে।বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের তৈরি জনপ্রিয় পিঠা স্থান পায় এই উৎসবে। পিঠার মধ্যে ছিল দুধ চিতই, রস মঞ্জুরি, পাটিসাপটা, খলা পিঠা, পাটিসাপটা, ভাপা পিঠা, তেলের পিঠা, পুলি পিঠা, নারকেল পিঠাসহ বিভিন্ন বাহারী নামের ও রকমের পিঠা পরিবেশন করা হয়। কুয়েতে বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলার সংস্কৃতি পরিচয় করিয়ে দিতেই এমন উদ্যোগ বলে জানান আয়োজকরা।

কর্মব্যস্তময় প্রবাস জীবনে এমন আয়োজন বিন দেশে একে অন্যের প্রতি ভ্রাত্বিত্ববন্দনে যেমন ভূমিকা রাখে তেমনি এমন বিনোদন আরো বেশি প্রত্যাশা করেন অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা। দুইদিনব্যাপী মিলন মেলায় বৃহস্পতিবার রাতে পিঠা উৎসবের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জারি সারি বাউল গান পরিবেশন করেন প্রবাসী শিল্পীরা। আপস. শুক্রবার দিনব্যাপী অতিথি আপ্যায়নে ব্যস্তসময় পার করেন আয়োজকরা। যেখানে কুয়েত প্রবাসী বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও তাদের পরিবারবর্গের উপস্থিতিতে মরু অঞ্চল কাবাদ অনুষ্ঠানস্থল একখন্ড বাংলাদেশে পরিনত হয়।








Discussion about this post