মোশাররফ হোসেন শুভ, ময়মনসিংহ থেকে॥ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাকৃবি ১২০০ একর নৌকা ভ্রমণ উদযাপন কমিটি কর্তৃক বার্ষিক নৌকা ভ্রমন -২০১২ গত ১৪ জুলাই ব্রহ্মপুত্র নদে অনুষ্ঠিত হয়। বাকৃবি অতিথি ভবন সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদে ভ্রমন যাত্রাটি উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ রফিকুল হক। এ সময় স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাকৃবি ১২০০ একর নৌকা ভ্রমণ উদযাপন কমিটির সভাপতি ও এডিশনাল রেজিস্ট্রার মোঃ ইউছুব আলী মন্ডল ও বাকৃবি ১২০০ একর নৌকা ভ্রমণ উদযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক ও সহকারী রেজিস্ট্রার মোঃ আব্দুল জব্বার । উল্লেখ্য নৌকা ভ্রমনটি বাকৃবি অতিথি ভবন সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদে শুরু হয়ে গফরগাঁও উপজেলা পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয় । এতে বাকৃবিতে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ অংশ নেয় ।
গৌরীপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে চুরির মামলা
মোশাররফ হোসেন শুভ, ময়মনসিংহ থেকে ॥ ময়মনসিংহের গৌরীপুরে রামগোপালপুর ইউনিয়নের আ‘লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম মাষ্টারকে মারপিট করে অর্থ লুটের অভিযোগে যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম সহ ৮সহযোগীর নামে গৌরীপুর থানায় মামলা রজ্জ্বু হয়েছে। মামলা নং ০৩/৮২। তাং-১৮/০৭/১২। এ মামলায় যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে রোড ডাকাতি, গাড়ী চুরি, পণ্যবাহি ট্রাকের মালামাল লুট ও রাস্থার গাছ চুরি সহ নানান অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের আ‘লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম মাষ্টার ৫জুলাই বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় ব্যসায়িক কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় রামগোপাপুর বাজারে স্কুলের পার্শ্বে রামগোপলপুর গ্রামের আঃ রহমানের ছেলে সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে ৮জন সন্ত্রাসী পিস্তল ও ধারালো অস্ত্র টেকিয়ে তার গতিরোধ করে মাটিতে ফেলে মারপিট করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা তার সাথে থাকা ৩০হাজার ৫শত টাকা লুটে নেয়। এদিকে এ মামলায় অভিযুক্ত প্রধান আসামী যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম জানান, কর্মসৃজনের হতদরিদ্র শ্রমিকদের টাকা আত্মসাৎ করায় গত ৫জুলাই বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন আ‘লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম মাস্টার লাঞ্চিত হয়। এতে ৬জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় আওয়ামী যুবলীগের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে রামগোপলপুর বাজারে তার দোকানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এ ঘটনায় সে গৌরীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও কর্মসৃজনের হতদরিদ্র শ্রমিকদের টাকা আত্মসাৎ-র প্রতিবাদ করায় তার নামে ঐ মিথ্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জালাল উদ্দিন জানান, মামলাটি তদন্তাধিন আছে এবং আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে। উল্লেখ্য সাইফুল ্ইসলাম নিজেকে ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক দাবী করলেও যুবলীগ সভাপতি এ দাবী নাকজ করে দেন।
গন্ডপা গ্রামের আ: খালেক হত্যা হওয়ার ৩ মাস পরও পুলিশ কোন আসামীগ্রেফতার করতে পারেনি ॥ বাদীকে প্রান নাশের হুমকি ॥ প্রান ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বাদী
মোশাররফ হোসেন শুভ, ময়মনসিংহ থেকে ॥ ময়মনসিংহ সদর উপজেলার গন্ডপা গ্রামের আ: খালেক হত্যা হওয়ার ৩ মাস পরও কোতুয়ালী মডেল থানা পুলিশ এক জন আসামীকেও গ্রেফতার করতে পারেনি। হত্যা মামলার আসামীরা বাদীকে মামলা উঠিয়ে নেয়া নেয়া সহ প্রান নাশের হুমকি দিচ্ছে। আসামীদের হুমকিতে বাদী প্রান ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ঘটনার বিবরনে হত্যা হওয়া আ: খালেকের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন জানান, আমার দাদা শশুর মৃত ইনছান মন্ডল জীবিত থাকাবস্থায় একই এলাকার আনোয়ার হোসেন এর পিতা করিম মিয়াকে বহু বছর পূর্বে তাঁর স্বত্ব দখলীয় জমিতে থাকতে দেয়। করিম মিয়ার মৃত্যুর পর তার পুত্র আনোয়ার হোসেন আমার স্বামী আ: খালেক ও শশুর ইনছান মন্ডল কে না জানিয়ে উক্ত জমি অন্য লোকের নিকট বিক্রি করে দেয়। এর প্রেক্ষিতে আমার স্বামী বাদী হয়ে বিঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করে। মামলায় আনোয়ার, হান্নান, রুমান, বাদল, মোফাজ্জল, সোহাগ, জামান, আকরাম, রাজিবকে আসামী করা হয়। এতে তাদের সাথে আমার স্বামীর শত্র“তা হয়। গত ১২ মে সকাল আনুমানিক ১০টায় আমার স্বামী আমাকে নিয়ে গন্ডপা বাজারে যায়। বাজার করে ব্যাগ নিয়ে আমাকে দাঁড়াতে বলে। আমি বাজারে ব্যাগ নিয়ে দাড়িয়ে থাকি। আমার স্বামী আমার দেবরের দোকানে থাকা আশরাফুলের নিকট থেকে সিগারেট কিনে ধরানো মাত্রই মামলার আসামীরা রামদা, চাপাতি, চাকু হাতে নিয়ে তাঁকে চতুদিকে ঘিরে ফেলে। হান্নান চাকু দিয়ে আমার স্বামীকে পিঠের বামপার্শে পাজরে ঘাই মেরে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। আমার স্বামী প্রানে বাচাঁর জন্য দৌর দিয়ে সেলিম মিয়ার চায়ের দোকান ও ছাত্তার মিয়ার মনিহারী দোকানের মাঝখানে বৈদ্যতিক তারের খুটিতে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যায়। এসময় আনোয়ার তার হাতে থাকা রামদা দিয়ে আমার স্বামীর মাথায় কুব মারে। অন্যান্য আসামীরা তাঁকে এলোপাতারী কুিবয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এলোপাথারী কুবানোর পর আমার স্বামীর মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা বীর দর্পে বাড়ী ফিরে যায়। এ ঘটনাটি এলাকার অনেকেই প্রত্যক্ষ করেছে। পরে পুলিশ লাশ সুরত হাল করে। এ ব্যাপারে কোতোয়ালী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ৬৭/৪৭৭/১২। মামলা হওয়ার ৩ মাস পরও কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ এক জন আসামীও গ্রেফতার করতে পারেনি। উপরন্ত আসামীরা মামলার বাদীকে মামলা উঠিয়ে নেয়া নেয়া সহ প্রান নাশের হুমকি দিচ্ছে। আসামীদের হুমকিতে বাদী প্রান ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে । গত ২০ জুলাই কোতোয়ালী মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মো: গোলাম সারোয়ার ও তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ সহ স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য গ্রহন করেন। হত্যা মামলার ঘটনার সত্যতা বর্ননা করে স্বাক্ষী প্রদান করেন ৮নং আকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য মোছা: হামিদা খাতুন, ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: শফিউদ্দিন রবি, গন্ডপা দক্ষিনপাড়া জামে মসজিদের সাধারন সম্পাদক মো: রফিকুল ইসলাম ওরফে শুকুর, স্থানীয় মাদ্রাসার সাধারন সম্পাদক শাহাদাত হোসেন রমজান, চায়ের দোকানদার হাফেজ আবু তাহের মুন্সি, সেলিম ওরফে পেশকার, মুদির দোকানদার মো: জুলু মিয়া, ২নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মো: রফিকুল ইসলাম রফিক, এলাকার মুরব্বী জমসেদ আলী, বাদশা মিয়া, গন্ডপা প্রাইমারী স্কুলের সভাপতি হাজী মো: ইউনুস আলী, মুরুব্বী হাজী মো: আবদুর রহমান, গন্ডপা প্রাইমারী স্কুলের সদস্য মো: রফিক, হত্যা হওয়া আ: খালেকের চাচা মোলায়েম প্রমুখ।
Discussion about this post