কুয়েতের ফারওয়ানিয়া এলাকার একটি ব্যক্তিগত আবাসিক ভবনে অবৈধভাবে পরিচালিত একটি ক্লিনিক ভেঙে দিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ। লাইসেন্সবিহীন চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ করা এবং জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার লক্ষ্যে নিরাপত্তা অধিদপ্তর বিষয়ক সেক্টর এবং অপরাধ তদন্ত বিভাগের যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়। প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ ফাহাদ ইউসুফ সৌদ আল-সাবাহর নির্দেশে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযান চলাকালে অস্থায়ী ওই ক্লিনিক থেকে চার ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়। এর মধ্যে একজনকে চিকিৎসা সেবার অনুমোদন ছাড়াই রোগী দেখার সময় হাতেনাতে ধরে ফেলে কর্মকর্তারা। বাকি তিনজন চিকিৎসা নিতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তদন্তে আরও বেরিয়ে আসে সরকারি ওষুধের অবৈধ বিক্রি ও সরবরাহের সঙ্গে জড়িত একটি বৃহত্তর নেটওয়ার্কের তথ্য। এ ঘটনায় তিন বাংলাদেশী নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যারা সরকারি ওষুধ বিভিন্ন উপায়ে সংগ্রহ করে লাইসেন্সবিহীন চিকিৎসকের কাছে অর্থের বিনিময়ে সরবরাহ করছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে কর্মকর্তারা জানতে পারেন, একটি সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত এক বাংলাদেশী কর্মচারী তার পদের অপব্যবহার করে নিয়মিত সেখান থেকে ওষুধ চুরি করতেন এবং তা অবৈধ ক্লিনিকে সরবরাহ করতেন দেশটির সংবাদ মাধ্যমে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট আটজন ভারতীয় ও বাংলাদেশী নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় সব আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জনস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা রক্ষায় সব ধরনের অবৈধ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে তাদের কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে।







Discussion about this post